Ajker Patrika

জনবলের অভাব, সেবা বিঘ্ন

জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৮: ৩৫
জনবলের অভাব, সেবা বিঘ্ন

নীলফামারীর জলঢাকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই নিজস্ব কোনো সনোলজিস্ট ও কার্ডিওগ্রাফার। লোকবলের অভাবে প্রতিনিয়ত বঞ্চিত হচ্ছে সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ।

উপজেলার প্রায় চার লাখ মানুষ দীর্ঘদিন থেকে টেকনিশিয়ানের অভাবে এসব সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। হার্টের রোগীদের তাৎক্ষণিক ইসিজি করার প্রয়োজন হলে নেই কার্ডিওগ্রাফার। গর্ভবতী নারীদের আলট্রাসনোগ্রামের প্রয়োজন, কিন্তু সনোলজিস্টের অভাবে বাইরে থেকে চড়া দাম দিয়ে করতে হচ্ছে তাঁদের।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কথা হয় কয়েকজন রোগী ও তাঁদের স্বজনদের সঙ্গে। বুকে ব্যথা নিয়ে আসা এনামুল হক বলেন, ‘আমি এসেছি ইসিজি করতে। কিন্তু জানতে পারলাম এখানে কার্ডিওগ্রাফার নেই। তাই বাধ্য হয়ে বাইরে থেকে করতে হবে আমাকে।’ অপরদিকে অন্য আরেক রোগীর স্বজন মোতাহারা বেগম বলেন, ‘এসেছি আলট্রাসনোগ্রাফি করাতে। কিন্তু পারছি না।’

এ ছাড়া জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বর্ষাকালে হাঁটুপানিতে তলিয়ে যায় হাসপাতাল চত্বর। এতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হয় পুরো হাসপাতালে।

অন্যদিকে পুরোনো স্থাপনা হওয়ায় ঝুঁকিতে থাকতে হয় অফিস স্টাফসহ রোগীদের। পুরোনো আমলের ইলেকট্রিক সংযোগটি রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়। যেকোনো সময় শর্টসার্কিটের মাধ্যমে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এ ছাড়া পৃথক স্টোরেজের অভাবে প্রয়োজনীয় রুমেই রাখতে হচ্ছে জিনিসপত্র।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা এ এইচ এম ডা. রেজওয়ানুল কবীর বলেন, ‘এক্স-রে মেশিনটি চলছে ধার করা টেকনিশিয়ান দিয়ে। এ ছাড়া আমাদের এখানে সনোলজিস্ট ও কার্ডিওগ্রাফার না থাকায় সাধারণ সেবা ব্যাহত হচ্ছে। দীর্ঘদিনের স্থাপনা পুরুষ-মহিলা ওয়ার্ডগুলো রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়। এ বিষয়গুলো নিয়ে কয়েক দফা চিঠি চালাচালি হয়েছে। এ ছাড়া হাসপাতালটিতে পৃথক স্টোরেজ না থাকায় গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ­

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত