Ajker Patrika

করোনার লন্ড্রি ব্যবসায় ধস কোয়েলের খামারে সাফল্য

সাদ্দাম হোসেন, ঠাকুরগাঁও
আপডেট : ২০ জানুয়ারি ২০২২, ১৬: ২১
করোনার লন্ড্রি ব্যবসায় ধস  কোয়েলের খামারে সাফল্য

লন্ড্রির ব্যবসা করতেন ঠাকুরগাঁও শহরের হাজিপাড়া এলাকার জাহিদুল ইসলাম জাহিদ। কিন্তু করোনার প্রকোপ শুরু হলে লকডাউনে ব্যবসায় ধস নামে। বিপাকে পড়েন তিনি। পরে কোয়েল পাখির খামার করার সিদ্ধান্ত নেন। কোয়েলের খামার করে নিজের ভাগ্য বদল করতে সক্ষম হয়েছেন জাহিদুল। দেখেছেন সফলতার মুখ।

জানা গেছে, গত বছর লকডাউনের সময় ঠাকুরগাঁও সদরের সালান্দর এলাকায় জমি লিজ নিয়ে কোয়েল পালন শুরু করেন জাহিদুল। দুই মাস পর ডিম দিতে শুরু করে কোয়েল। বর্তমানে খামারে আড়াই থেকে তিন হাজার কোয়েল রয়েছে। প্রতিদিন ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৩০০টি ডিম সংগ্রহ করা হচ্ছে। খামারের দেখভালের জন্য ছয়জন মানুষ নিয়মিত কাজ করেন। এতে উদ্যোক্তা জাহিদুলের পাশাপাশি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে এ সব মানুষের।

খামারি জাহেদুল ইসলাম অভিযোগ বলেন, ‘এখন শীতে প্রতিদিন ৫-১০টি কোয়েল মারা যাচ্ছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে কোনো সহযোগিতা পাচ্ছি না।’

তিনি জানান, একটি কোয়েল ৪৫ দিনে ডিম দেওয়া শুরু করে। ৬০ দিন থেকে নিয়মিত ডিম দেয়। খামার থেকেই ডিম সংগ্রহ করে নিয়ে যান ব্যবসায়ীরা। বর্তমানে খামারের ডিম বিক্রি করে সব খরচ বাদ দিয়ে মাসে ৩০ হাজার টাকার মতো লাভ থাকে।

খামারে কাজ করেন সুমন। তিনি জানান, তিন বেলা সময় মতো খাবার ও পানি দেওয়া হয় পাখিগুলোকে। ৭ দিন পর পর খামার পরিষ্কার করা হয়। এই পাখির রোগবালাই খুবই কম, তবে এখন ঠান্ডায় অনেক পাখি মারা যাচ্ছে।

খামারের ম্যানেজার শরিফ জানান, সঠিকভাবে পরিচর্যা করলে কোয়েলের খামার করে লাভবান হওয়া সম্ভব।

ডিম কিনতে আসা সরিফুল নামে একজন বলেন, ‘৯ টাকা হালি দরে ডিম কিনে নিয়ে যাই। বাজারে খুচরা ১২ টাকা হালি দরে বিক্রি হয়।’

সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. শাহরিয়ার মান্নান জানান, হাঁস-মুরগির মতো কোয়েল পাখি পালন করে অনেকেই স্বাবলম্বী হচ্ছেন। কোয়েল পাখির রোগব্যাধি কম। এ জন্য টিকা দিতে হয় না। কৃমির ওষুধও খাওয়াতে হয় না। তীব্র শীতে কোয়েল পাখি মারা যেতে পারে, এ জন্য খামারে বাড়তি তাপের ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেন এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত