সম্পাদকীয়
আলু নিয়ে কী কাণ্ডটাই না ঘটে চলেছে। সিন্ডিকেট আলুকেও রেহাই দেয়নি। বছরখানেক ধরে ধারাবাহিকভাবে যেভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছে, সেই পরিপ্রেক্ষিতে কথাটা বলা।
চিনি, সয়াবিন তেল, পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, ডিম থেকে শুরু করে বর্তমানে আলুতে গিয়ে পৌঁছেছে দামের এই ঊর্ধ্বগতি। নির্ধারিত কয়েকটি পণ্যের দাম সরকার বেঁধে দিলেও খুচরা বাজারে এই দাম কমার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। কয়েক মাস আগেও খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আলুর দাম ছিল ২০ থেকে সর্বোচ্চ ২৫ টাকা। কী এমন ঘটনা ঘটল যে কয়েক মাসের ব্যবধানে দ্বিগুণ দাম হয়ে গেল?
শনিবার দুপুরে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান সদর উপজেলার মুক্তারপুর এলাকায় রিভারভিউ কোল্ডস্টোরেজ পরিদর্শনে যান জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। সেখানে গিয়ে তিনি বুঝতে পারেন, আলুর বাজারে অস্থিরতার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
মূলত আলু উৎপাদনের পরিমাণ সরেজমিনে দেখতে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর থেকে সারা দেশে যাওয়া হচ্ছে। সে কারণে মহাপরিচালক মুক্তারপুর এলাকার হিমাগার পরিদর্শনে গিয়েছিলেন আলুর প্রকৃত মজুত দেখতে। সেখানে গিয়ে তিনি দেখতে পান, যে পরিমাণ আলু উৎপাদিত হয়েছে, তাতে কোনো ঘাটতি থাকার কথা নয়। ২৫-২৬ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হলেও যথেষ্ট লাভ থাকে।
তাহলে দাম বাড়ছে কেন? এই প্রশ্নের উত্তর অজানা নয়। ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে পণ্যের দাম বাড়ছে। বাণিজ্যমন্ত্রীও নিশ্চয়ই তা বোঝেন। কিন্তু সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ার কোনো নিদান বুঝি তাঁর কাছে নেই। এই ব্যবসায়ী গোষ্ঠীটাকে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।
মন্ত্রী মহোদয় কি তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে বসে আছেন? আর এরই ফাঁক দিয়ে এই গোষ্ঠী স্রেফ মুনাফার জন্যই কোনো কারণ ছাড়াই রাতারাতি তাদের মর্জিমাফিক পণ্যের দাম বাড়িয়ে যাচ্ছে। আর তার প্রভাব খুচরা বাজারে পড়তে বেশি সময় লাগছে না। কয়েক দিনের মধ্যে তারা কয়েক হাজার কোটি টাকা সাধারণ জনগণের পকেট থেকে কেটে নিয়েছে।
তাদের কাছে সততা, বিবেকের কোনো মূল্য নেই। ব্যবসারও তো কিছু নিয়ম-নীতি, শিষ্টাচার থাকার কথা। সেটা তাদের মধ্যে নেই। স্রেফ মুনাফাই তাদের কাছে বড় বিষয়।
রাষ্ট্রের কর্তাব্যক্তিরা এসব বিষয় জানার পরেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এই গোষ্ঠীটি কি এতটাই শক্তিশালী যে তাদের অপতৎপরতা বন্ধ করার কোনো সুযোগ নেই?
যাঁদের বাজার নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব, তাঁরা যদি সেই দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন না করেন, তাহলে সিন্ডিকেটের অরাজকতাই শেষ পর্যন্ত টিকে থাকে। বাজারের সাধারণ সূত্র হলো, স্বাভাবিক মুনাফা ধরে বিক্রেতার কাছে পণ্য পৌঁছে দেওয়া হলে বাজারে অস্থিরতা থাকবে না।
সেটা পালন করা হচ্ছে না বলেই অস্থিরতা কমছে না। সিন্ডিকেট ভেঙেচুরে না দিলে সাধারণ মানুষের জীবন এ রকম দুঃসহ হয়ে থাকবে।
আলু নিয়ে কী কাণ্ডটাই না ঘটে চলেছে। সিন্ডিকেট আলুকেও রেহাই দেয়নি। বছরখানেক ধরে ধারাবাহিকভাবে যেভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছে, সেই পরিপ্রেক্ষিতে কথাটা বলা।
চিনি, সয়াবিন তেল, পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, ডিম থেকে শুরু করে বর্তমানে আলুতে গিয়ে পৌঁছেছে দামের এই ঊর্ধ্বগতি। নির্ধারিত কয়েকটি পণ্যের দাম সরকার বেঁধে দিলেও খুচরা বাজারে এই দাম কমার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। কয়েক মাস আগেও খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আলুর দাম ছিল ২০ থেকে সর্বোচ্চ ২৫ টাকা। কী এমন ঘটনা ঘটল যে কয়েক মাসের ব্যবধানে দ্বিগুণ দাম হয়ে গেল?
শনিবার দুপুরে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান সদর উপজেলার মুক্তারপুর এলাকায় রিভারভিউ কোল্ডস্টোরেজ পরিদর্শনে যান জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। সেখানে গিয়ে তিনি বুঝতে পারেন, আলুর বাজারে অস্থিরতার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
মূলত আলু উৎপাদনের পরিমাণ সরেজমিনে দেখতে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর থেকে সারা দেশে যাওয়া হচ্ছে। সে কারণে মহাপরিচালক মুক্তারপুর এলাকার হিমাগার পরিদর্শনে গিয়েছিলেন আলুর প্রকৃত মজুত দেখতে। সেখানে গিয়ে তিনি দেখতে পান, যে পরিমাণ আলু উৎপাদিত হয়েছে, তাতে কোনো ঘাটতি থাকার কথা নয়। ২৫-২৬ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হলেও যথেষ্ট লাভ থাকে।
তাহলে দাম বাড়ছে কেন? এই প্রশ্নের উত্তর অজানা নয়। ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে পণ্যের দাম বাড়ছে। বাণিজ্যমন্ত্রীও নিশ্চয়ই তা বোঝেন। কিন্তু সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ার কোনো নিদান বুঝি তাঁর কাছে নেই। এই ব্যবসায়ী গোষ্ঠীটাকে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।
মন্ত্রী মহোদয় কি তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে বসে আছেন? আর এরই ফাঁক দিয়ে এই গোষ্ঠী স্রেফ মুনাফার জন্যই কোনো কারণ ছাড়াই রাতারাতি তাদের মর্জিমাফিক পণ্যের দাম বাড়িয়ে যাচ্ছে। আর তার প্রভাব খুচরা বাজারে পড়তে বেশি সময় লাগছে না। কয়েক দিনের মধ্যে তারা কয়েক হাজার কোটি টাকা সাধারণ জনগণের পকেট থেকে কেটে নিয়েছে।
তাদের কাছে সততা, বিবেকের কোনো মূল্য নেই। ব্যবসারও তো কিছু নিয়ম-নীতি, শিষ্টাচার থাকার কথা। সেটা তাদের মধ্যে নেই। স্রেফ মুনাফাই তাদের কাছে বড় বিষয়।
রাষ্ট্রের কর্তাব্যক্তিরা এসব বিষয় জানার পরেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এই গোষ্ঠীটি কি এতটাই শক্তিশালী যে তাদের অপতৎপরতা বন্ধ করার কোনো সুযোগ নেই?
যাঁদের বাজার নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব, তাঁরা যদি সেই দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন না করেন, তাহলে সিন্ডিকেটের অরাজকতাই শেষ পর্যন্ত টিকে থাকে। বাজারের সাধারণ সূত্র হলো, স্বাভাবিক মুনাফা ধরে বিক্রেতার কাছে পণ্য পৌঁছে দেওয়া হলে বাজারে অস্থিরতা থাকবে না।
সেটা পালন করা হচ্ছে না বলেই অস্থিরতা কমছে না। সিন্ডিকেট ভেঙেচুরে না দিলে সাধারণ মানুষের জীবন এ রকম দুঃসহ হয়ে থাকবে।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫