Ajker Patrika

গোলের গুড়ে বদলে গেছে বেহালা গ্রাম

তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ জানুয়ারি ২০২২, ১২: ১৯
গোলের গুড়ে বদলে গেছে বেহালা গ্রাম

শীতে গোলগাছিদের কর্মযজ্ঞে বদলে গেছে বরগুনার তালতলী উপজেলার বেহেলা গ্রামের চিত্র। গোলের গুড়ে গ্রামের প্রায় দুই হাজার মানুষের জীবিকার সংস্থান হয়েছে। গোল গুড় বিক্রি করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন তাঁরা। তবে গাছিদের দাবি, মানসম্মত প্রশিক্ষণ ও গুড় সরকারিভাবে বাজারজাতকরণে সহযোগিতা করলে গ্রামটি হবে অর্থনীতির মডেল।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ৯০ হেক্টর জমিতে গোলগাছের সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার। এসব গোলগাছের বাহর থেকে সংগৃহীত রস জ্বালিয়ে প্রতি শীতে প্রায় ১০ হাজার টনের বেশি গুড় উৎপাদিত হয়। সবচেয়ে বেশি গাছ আছে বেহেলা গ্রামে। গ্রামটিতে গোলগাছের সংখ্যা ১৫ হাজার। এরপরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গাছ রয়েছে গেন্ডামারা গ্রামে। এটিসহ উপজেলার অন্যান্য কয়েকটি গ্রাম মিলিয়ে রয়েছে হাজার পাঁচেক গাছ।

জানা যায়, নভেম্বর মাস থেকে ফেব্রুয়ারির শেষ সময় পর্যন্ত রস সংগ্রহের উপযোগী থাকে। শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে গোলগাছের রস ঝরা শুরু হলে সেই রস সংগ্রহ করেন। শীত যত তীব্র হয় এই রসের চাহিদাও তত বেড়ে যায়। শীতকালীন এ কয়েক মাসে গোল রস ও গুড় বিক্রি করে লাখ টাকাও আয় করেন চাষিরা। গোলের রস প্রতি কলস ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ও গুড় প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়। এক কলস রস দিয়ে ৩ কেজি গুড় তৈরি হয়।

তালতলীর বেহেলা গ্রামের দীলিপ কুমার হাওলাদার বলেন, ‘আমার ৩০০ গাছ আছে, এগুলো নিজেই কেটে রস সংগ্রহ করে তারপর গুড় তৈরি করে গ্রামে বিক্রি করি। ৩০০ গাছ থেকে প্রায় ৮ কলস রস হয়, এতে প্রতিদিন গড়ে দুই হাজার টাকার গুড় আসে।’

নারী গাছি চামেলী বলেন, ‘এই মৌসুমে যে গোলের রস পাই তাতে ধান চাষের চেয়ে গোলের রস ও গুড়ে আয় বেশি। ৩৩ শতাংশ জমিতে যে পরিমাণ ধান চাষ হয়, তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি হয় গোলের গুড়ে। এ জন্য আমরা ধান চাষ রেখে গোল চাষে আগ্রহী হয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘গোল পাতাও বিক্রি করা যায়। আর গোলের পরিত্যক্ত ঠগা জ্বালানি হিসেবেও বিক্রি করা হয়। সব মিলিয়ে গোল চাষে আমার লাভ বেশি হয়।’

তালতলী কৃষি অফিসার সি এম রেজাউল করিম বলেন, ‘গোলের গুড়ের এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে গবেষণার মাধ্যমে গোলগাছচাষিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হলে এটা খুব কাজে লাগবে। এ জন্য সরকারিভাবে উদ্যোগ নেওয়া খুব জরুরি। এ বিষয়ে আমার দপ্তর থেকে দ্রুত প্রস্তাব পাঠানো হবে কৃষি মন্ত্রণালয়ে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে আর খাওয়ার অভাবে’, চিরকুটে লেখা

বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত আমদানির ঘোষণা দিতেই ভারতে হু হু করে বাড়ছে চালের দাম

ফেসবুকে ছাত্রলীগ নেতার ‘হুমকি’, রাবিতে ১৫ আগস্টের কনসার্টে যাচ্ছে না আর্টসেল

জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে উচ্চপদস্থ বোর্ড গঠন: আইএসপিআর

পাবনায় প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে এএসআই উধাও, থানায় শ্বশুরের জিডি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত