Ajker Patrika

সুবিধাহীন ট্রাফিক পুলিশ বক্স

জহিরুল আলম পিলু, কদমতলী (ঢাকা)
সুবিধাহীন ট্রাফিক পুলিশ বক্স

নানা অব্যবস্থাপনায় রয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারী বিভাগের বেশির ভাগ ট্রাফিক বক্স। অনেক স্থানে ছোট খুপরিঘরের মধ্যেই চলছে ট্রাফিক পুলিশ, সার্জেন্ট ও ট্রাফিক ইন্সপেক্টরদের (টিআই) একটু বিশ্রাম নেওয়ার কাজ। কয়েকটি ট্রাফিক বক্স কিছুটা আধুনিক হলেও বেশির ভাগ বক্সই বেহাল। প্রধান সড়কের পাশে অবস্থিত এসব বক্সের ভেতরে নেই চাহিদা অনুযায়ী বসার চেয়ার। কোনো কোনো বক্সে নেই টেবিল। অনেক স্থানে নেই শৌচাগার ও পানির ব্যবস্থা। এতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েন সড়কের শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা; বিশেষ করে বেশি বিপাকে পড়তে হয় নারী সদস্যদের।

ওয়ারী বিভাগের (ট্রাফিক) তথ্য অনুযায়ী, এই বিভাগে মোট ট্রাফিক পুলিশ বক্স রয়েছে ১৩টি। এগুলোর মধ্যে ডেমরা জোনে তিন, যাত্রাবাড়ী জোনে ছয় ও ওয়ারী জোনে চারটি। সরেজমিনে ওয়ারী বিভাগের কয়েকটি ট্রাফিক বক্স ঘুরে দেখা যায়, ট্রাফিক বক্সগুলো বেহাল। এই বিভাগের দয়াগঞ্জ মোড়, বানিয়ার নগর মোড়, সায়েদাবাদ ব্রিজ, জনপদ, শনির আখড়া, ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টারসহ বেশির ভাগ ট্রাফিক বক্স খুবই ছোট। টংঘরের মতো এসব ঘরে রয়েছে একটি করে বৈদ্যুতিক পাখা। তবে নেই প্রয়োজনীয় চেয়ার-টেবিল। প্রধান রাস্তার পাশে টিন বা ইস্পাত দিয়ে তৈরি করা এসব বক্সে সব সময়ই অসহনীয় তাপমাত্রা বিরাজ করে। আবার বৃষ্টির দিনে ঘরে পানি পড়ে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় দায়িত্বরত ট্রাফিক-সার্জেন্টদের।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ট্রাফিক পুলিশের এক সার্জেন্ট বলেন, ‘দীর্ঘ সময় রাস্তায় দায়িত্ব পালন করতে হয়। কিন্তু ট্রাফিক বক্সে শৌচাগার না থাকায় বিপাকে পড়তে হয়। রাস্তার আশপাশের বাড়িঘর বা অফিসে গিয়ে প্রাকৃতিক কাজ সারতে হয়।’

শনির আখড়ায় দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ শরীফুল জানান, ‘৮/১০ ঘণ্টা ডিউটি করলে টয়লেটের দরকার তো হবেই। তাই নিকটতম বা দূরের কোনো মসজিদ, মার্কেটের টয়লেটে যাওয়া ছাড়া উপায় থাকে না।’

ওয়ারী বিভাগের ডেমরা জোনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) মৃদুল কুমার পাল বলেন, ‘আমাদের প্রধান সমস্যা শৌচাগার। এটা খুবই জরুরি। এ ছাড়া বক্সটি টিনের হওয়ায় অনেক গরম লাগে, বৃষ্টি এলে পানি পড়ে। এ ছাড়া ধুলাবালি তো আছেই। বলতে গেলে নাগরিক সুবিধা নেই। ট্রাফিক বক্সগুলো আধুনিক বা মানসম্মত করা উচিত।’

দয়াগঞ্জ মোড়ে দায়িত্বরত ওয়ারী জোনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, ‘শৌচাগার নেই, পানি নেই। ছোট বক্স, বসার পরিবেশ নেই।’

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, ‘আমি এখানে নতুন দায়িত্ব নিয়েছি। অবশ্যই খোঁজখবর নেব। সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইরানের পতন হলে, এরপরই রাশিয়া—অভিমত রুশ বিশ্লেষকদের

ইসরায়েলে ২০ লাখ রুশভাষীর বাস, রাশিয়াকে তাঁদের কথা ভাবতে হয়: পুতিন

হরমুজ প্রণালিতে প্রবেশ করে ইউটার্ন নিল দুটি জাহাজ

লাইভ-২ (২৩ জুন, ২০২৫) ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কাঁপল ইসরায়েল, তেহরানে ভয়াবহ বিস্ফোরণ

চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি থেকে বিদায় নিচ্ছে সাইফ পাওয়ারটেক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত