সম্পাদকীয়
ব্যাপারটা যে বিদঘুটে, সেটা যে কেউ স্বীকার করবেন। ব্যাংক মালিক এবং পরিচালকেরা অনায়াসে ব্যাংক থেকে হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে খেলাপি হচ্ছেন। সেই টাকার কত অংশ আবার ফিরে আসবে ব্যাংকের কাছে, সে কথা কেউ জানে না।
একটা লুটেরা শ্রেণি এরই মধ্যে দাঁড়িয়ে গেছে সমাজে। তাঁদের হাতে টাকা। সামাজিকভাবে তাঁদের অবস্থা সুসংহত। আইনের হাত যতই লম্বা হোক না কেন, সেই হাত তাঁদের ঘাড় পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে না। তাই নিজের ব্যাংক, জ্ঞাতি ভাইয়ের ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে জনগণের টাকা লোপাট করে দিচ্ছেন তাঁরা। ব্যাপারটা যদি এমন হতো, নিজেদের ব্যবসা চালানোর জন্য আইন মেনে তাঁরা ঋণ নিচ্ছেন, আইন মেনেই তা শোধ করছেন, তাহলে কোনো কথা ছিল না। এতে সত্যিই ব্যবসা ভালো চললে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হতো। কিন্তু আদতে কি ব্যাংক মালিক বা পরিচালকদের সবাই সেই মহৎ কর্মটিই করতে চাইছেন? ব্যাংকপাড়ার মহারথীদের ব্যাপারে খোঁজ লাগালে বোঝা যায়, পুনঃ তফসিল নামে একটা ‘হাফপ্যান্টের বুক পকেট’ সব সময় তাঁদের সুরক্ষা দেয়।
আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত ‘ব্যাংক লুটছেন মালিকেরাই’ শিরোনামে যে সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে, তাতে যতগুলো ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে, তাঁদের সবাই নিজেদের মালিক বা পরিচালকদের জন্য ব্যাংকঋণ দেওয়ার পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, এগুলো যে প্রচলিত নিয়ম মেনেই হচ্ছে, সে কথাও অপকটে বলেছেন। তাঁদের বলা কথাগুলো এত বেশি এক রকম যে নির্বিবাদে তা মেনে নিতে ইচ্ছে হয়। অন্য যেকোনো ‘ক্লায়েন্ট’-এর মতো ব্যাংক মালিক বা পরিচালক যদি ঋণ নেন, তাতে দোষের কী আছে?
না, তাতে দোষের কিছু নেই। দেশের নাগরিক হিসেবে অন্য সবার যে অধিকার আছে, সেই অধিকার নিশ্চয়ই থাকবে একজন ব্যাংক মালিক বা পরিচালকের। কিন্তু এই ঋণ তাঁরা কীভাবে নেন, তা একটু তলিয়ে দেখলেই বোঝা যাবে, ‘ডাল মে কুছ কালা হ্যায়’। বিশ্বব্যাংকের ঢাকা মিশনের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন এ ব্যাপারে কী বলেন, তা দেখা যাক। তিনি বলেছেন, ‘ব্যাংকের পরিচালকেরা পরস্পর যোগসাজশে ঋণ ভাগাভাগি করছেন। এতে নিজেদের ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার বাধাটা কার্যকর থাকছে না। আইন থাকার পরেও পরিচালকেরা ঋণ নিচ্ছেন, পরিশোধ করছেন না। এতে স্পষ্ট অনুমান করা যায়, দেশের আইনের চেয়ে শক্তিশালী ব্যাংক পরিচালকেরা।’
ব্যাংকের মালিকেরা জনগণের গচ্ছিত টাকা লুটেপুটে খাওয়ার যে তরিকা বের করেছেন, তা সফলকাম হতেই থাকবে। কারণ এর সঙ্গে সম্পর্ক, প্রভাব-প্রতিপত্তি, পারস্পরিক যোগসাজশের ব্যাপার আছে। তাঁদের হাত আইনের চেয়ে লম্বা হলে এই অরাজকতা চলতেই থাকবে। সরকারের দায়িত্বই হচ্ছে এই ক্ষমতাবানদের অবৈধ ক্ষমতা ব্যবহারের সুযোগ না দেওয়া এবং তাঁদের আইনের আওতায় আনা। কিন্তু সে অঙ্গীকার এবং ক্ষমতা কি আমাদের রাজনীতি, সরকার ব্যবহার করতে পারঙ্গম? অবস্থাদৃষ্টে কিন্তু এ ব্যাপারে হতাশার পাল্টাই ভারী।
ব্যাপারটা যে বিদঘুটে, সেটা যে কেউ স্বীকার করবেন। ব্যাংক মালিক এবং পরিচালকেরা অনায়াসে ব্যাংক থেকে হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে খেলাপি হচ্ছেন। সেই টাকার কত অংশ আবার ফিরে আসবে ব্যাংকের কাছে, সে কথা কেউ জানে না।
একটা লুটেরা শ্রেণি এরই মধ্যে দাঁড়িয়ে গেছে সমাজে। তাঁদের হাতে টাকা। সামাজিকভাবে তাঁদের অবস্থা সুসংহত। আইনের হাত যতই লম্বা হোক না কেন, সেই হাত তাঁদের ঘাড় পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে না। তাই নিজের ব্যাংক, জ্ঞাতি ভাইয়ের ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে জনগণের টাকা লোপাট করে দিচ্ছেন তাঁরা। ব্যাপারটা যদি এমন হতো, নিজেদের ব্যবসা চালানোর জন্য আইন মেনে তাঁরা ঋণ নিচ্ছেন, আইন মেনেই তা শোধ করছেন, তাহলে কোনো কথা ছিল না। এতে সত্যিই ব্যবসা ভালো চললে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হতো। কিন্তু আদতে কি ব্যাংক মালিক বা পরিচালকদের সবাই সেই মহৎ কর্মটিই করতে চাইছেন? ব্যাংকপাড়ার মহারথীদের ব্যাপারে খোঁজ লাগালে বোঝা যায়, পুনঃ তফসিল নামে একটা ‘হাফপ্যান্টের বুক পকেট’ সব সময় তাঁদের সুরক্ষা দেয়।
আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত ‘ব্যাংক লুটছেন মালিকেরাই’ শিরোনামে যে সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে, তাতে যতগুলো ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে, তাঁদের সবাই নিজেদের মালিক বা পরিচালকদের জন্য ব্যাংকঋণ দেওয়ার পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, এগুলো যে প্রচলিত নিয়ম মেনেই হচ্ছে, সে কথাও অপকটে বলেছেন। তাঁদের বলা কথাগুলো এত বেশি এক রকম যে নির্বিবাদে তা মেনে নিতে ইচ্ছে হয়। অন্য যেকোনো ‘ক্লায়েন্ট’-এর মতো ব্যাংক মালিক বা পরিচালক যদি ঋণ নেন, তাতে দোষের কী আছে?
না, তাতে দোষের কিছু নেই। দেশের নাগরিক হিসেবে অন্য সবার যে অধিকার আছে, সেই অধিকার নিশ্চয়ই থাকবে একজন ব্যাংক মালিক বা পরিচালকের। কিন্তু এই ঋণ তাঁরা কীভাবে নেন, তা একটু তলিয়ে দেখলেই বোঝা যাবে, ‘ডাল মে কুছ কালা হ্যায়’। বিশ্বব্যাংকের ঢাকা মিশনের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন এ ব্যাপারে কী বলেন, তা দেখা যাক। তিনি বলেছেন, ‘ব্যাংকের পরিচালকেরা পরস্পর যোগসাজশে ঋণ ভাগাভাগি করছেন। এতে নিজেদের ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার বাধাটা কার্যকর থাকছে না। আইন থাকার পরেও পরিচালকেরা ঋণ নিচ্ছেন, পরিশোধ করছেন না। এতে স্পষ্ট অনুমান করা যায়, দেশের আইনের চেয়ে শক্তিশালী ব্যাংক পরিচালকেরা।’
ব্যাংকের মালিকেরা জনগণের গচ্ছিত টাকা লুটেপুটে খাওয়ার যে তরিকা বের করেছেন, তা সফলকাম হতেই থাকবে। কারণ এর সঙ্গে সম্পর্ক, প্রভাব-প্রতিপত্তি, পারস্পরিক যোগসাজশের ব্যাপার আছে। তাঁদের হাত আইনের চেয়ে লম্বা হলে এই অরাজকতা চলতেই থাকবে। সরকারের দায়িত্বই হচ্ছে এই ক্ষমতাবানদের অবৈধ ক্ষমতা ব্যবহারের সুযোগ না দেওয়া এবং তাঁদের আইনের আওতায় আনা। কিন্তু সে অঙ্গীকার এবং ক্ষমতা কি আমাদের রাজনীতি, সরকার ব্যবহার করতে পারঙ্গম? অবস্থাদৃষ্টে কিন্তু এ ব্যাপারে হতাশার পাল্টাই ভারী।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫