Ajker Patrika

ঘর সামলে সফল খামারেও

মাহিদুল ইসলাম, কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার)
ঘর সামলে সফল খামারেও

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার জালালপুর গ্রামের গৃহবধূ মেহেরুন্নেছা। পুরোদস্তুর গৃহিণী হয়েও বাড়ির পাশে গড়ে তুলেছেন বিশাল গরুর খামার। খামার থেকে দুধ ও গরু বিক্রি করে প্রতি মাসে তাঁর আয় লাখ টাকা। সংসার সামলানোর পাশাপাশি এ রকম খামার গড়ে তোলায় উপজেলার সব মহলে প্রশংসিত হচ্ছেন মেহেরুন্নেছা।

২০১৪ সালে মাত্র ১২টি গরু নিয়ে যাত্রা হয় রহমান মরিয়ম (আরএম) ডেইরি ফার্ম অ্যান্ড অ্যাগ্রো ফিশারিজের। কয়েক বছরের ব্যবধানে খামারে গরুর সংখ্যা বেড়ে এখন দেড় শতাধিক। কর্মসংস্থান হয়েছে ১২-১৫ জন মানুষের।

২০০২ সালে মেহেরুন্নেছা স্নাতক পাস করেন। এর পরপরই পাশের গ্রাম জালালপুরের হাজী আসদ্দর আলীর ছেলে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হানিফুর রহমান বেলালের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি ও ভাশুর-ননদদের উৎসাহে গড়ে তোলেন গরুর খামার।

তাঁর স্বপ্নযাত্রায় সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা দেন শ্বশুর ও স্বামী। একই সঙ্গে দুই ভাশুর আলতাফুর রহমান ও আলাল মিয়াও কাজে সহায়তা করেন। ২০১৪ সালে ১২টি গরু নিয়ে স্বপ্নের যাত্রা শুরু হয়েছিল, তা এখন বিশাল কর্মক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। একটি শেডের ছায়া দিয়ে শুরু হওয়া সেই খামারে এখন ছায়া দেয় চারটি শেড। খামারটি থেকে প্রতিদিন গড়ে এখন সাড়ে ৫০০-৬০০ লিটার দুধ হয়। মাংসের জোগানও দেয় খামারটি। প্রতিবছর কোরবানির ঈদে ১০ থেকে ১২টি বড় ষাঁড় বিক্রি করা হয়।

মেহেরুন্নেছা বলেন, ‘একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েই আমি এ খামার প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগী হই। নিজেকে স্বাবলম্বী করার পাশাপাশি কিছু মানুষের জীবিকার সংস্থান করতে পারছি এটাই আমার বড় পাওয়া।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

‘ঘুষের জন্য’ ৯১টি ফাইল আটকে রাখেন মাউশির ডিডি: দুদক

রাখাইনে মানবিক করিডর কি প্রক্সি যুদ্ধের ফাঁদ হবে, ভারত-চীন কীভাবে দেখবে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত