Ajker Patrika

কোন মাঠে কেমন হবে বাংলাদেশের কৌশল

আমিনুল ইসলাম বুলবুল
আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২২, ১৬: ০৮
কোন মাঠে কেমন হবে বাংলাদেশের কৌশল

২৪ অক্টোবর, হোবার্ট, প্রতিপক্ষ: নেদারল্যান্ডস

মাঠ-উইকেট-কন্ডিশন
ভালো-মন্দ যা-ই বলুন, হোবার্টে এই সময়ে বৃষ্টি হবে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসেও ২৪ নভেম্বর বৃষ্টির কথা বলা আছে। বৃষ্টিবাধায় কতটুকু খেলা মাঠে গড়ায় সেটিই দেখার। অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে দক্ষিণে অবস্থিত এই মাঠে সাধারণত বেশ বাতাস এবং একটু ঠান্ডা থাকে। এখানকার যে পিচ অবশ্যই ব্যাটিংবান্ধব। যেহেতু গ্রীষ্মের শুরুতে খেলা, পেসাররা একটু সুবিধা পাবে। যেহেতু প্রথম রাউন্ড হয়ে গেছে এখানে, মনে করছি পিচ প্রস্তুত আছে। মাঠের আকৃতি খুবই স্ট্যান্ডার্ড। যেহেতু আমরা এখানো কখনোই ক্রিকেট খেলিনি, আমাদের উচিত ছিল এখানে একটু আগে এসে অনুশীলন করা।

বাংলাদেশের কৌশল কী হতে পারে
এখানে টি-টোয়েন্টির সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট বিগ ব্যাশে বেশির ভাগ সময়ই টস জিতে সবাই পরে ব্যাটিং করে। রাতের আলোয় তারা রান তাড়া করে। যেহেতু বছরের শুরুতে খেলা হচ্ছে এখানে, শিশির একটা ফ্যাক্টর হবে বিগ ব্যাশ সাধারণত ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে হয়। মনে হচ্ছে, এখানে শুরুতে ব্যাটিং করতে গেলে রাতে যে শিশির পড়বে বোলিংয়ের চেয়ে ব্যাটিংয়ে বেশি এফেক্ট করবে।

বাংলাদেশের সম্ভাবনা
জেতার সম্ভাবনা আছে এই মাঠে। একটাই অসুবিধা থাকবে, নেদারল্যান্ডস অস্ট্রেলিয়ার মাঠে আমাদের চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলে ফেলেছে। এরই মধ্যে তারা তিনটা ম্যাচ খেলেছে।

 ২৭ অক্টোবর, সিডনি; প্রতিপক্ষ: দ. আফ্রিকা

মাঠ-উইকেট-কন্ডিশন
সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ‘নিউ ইয়ার’ টেস্ট হয়। ভরা গ্রীষ্মে অস্ট্রেলিয়াকে সেখানে সব সময় দুজন স্পিনার নিয়ে খেলতে দেখেছি। স্টুয়ার্ট ম্যাকগিল-শেন ওয়ার্ন—দুজনই এক সঙ্গে খেলেছে এখানে। তার মানে সিডনির উইকেট বেশ স্পিনারদের দিকে হাত বাড়িয়ে দেয়। একটু মন্থর হয় বাকি মাঠগুলোর চেয়ে। যেহেতু এটা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট, আবহাওয়া যেমনই হোক, সমুদ্রের পারে এখানে সাধারণত ব্যাটাররা দাপট দেখায়। মাঠও প্রমাণ আকৃতির।

বাংলাদেশের কৌশল কী হতে পারে
দক্ষিণ আফ্রিকা অত্যন্ত শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। ব্রিসবেনে প্রস্তুতি ম্যাচটা হয়ে গেলে ভালো হতো, জানতে পারতাম। আমরা জানি যে দক্ষিণ আফ্রিকা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে শিরোপার দাবিদার দলগুলোর একটি। আমাদের রান করতে হবে অনেক। সুযোগ পেলে প্রথমে ব্যাটিং নিতে হবে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে রান চেজিং খুবই কঠিন। 

বাংলাদেশের সম্ভাবনা
আমাদের জন্য খুব কঠিন একটা ম্যাচ। খুব একটা সম্ভাবনা দেখি না।

 ৩০ অক্টোবর, ব্রিসবেন, প্রতিপক্ষ: জিম্বাবুয়ে

মাঠ-উইকেট-কন্ডিশন
গ্যাবার উইকেট খুবই গতিময়। যেহেতু অস্ট্রেলিয়ার পার্থের পরে সবচেয়ে হার্ড এবং সিমিং উইকেট ব্রিসবেনে। অনেক বড় মাঠ। যদিও টি-টোয়েন্টিতে একটা সাইজে রাখার চেষ্টা করে। যতই ফাস্ট বোলিংসহায়ক হোক, উসমান খাজা-মার্নাস লাবুশানেরা কিন্তু এখান থেকে বেরিয়ে এসেছে। তার মানে, যদি তারা স্ট্রোক খেলে, বিশেষ করে যারা উইকেটের সাইডে খেলে বেশি, কাট পুল-হুক যারা খেলে, তাদের জন্য এটা একটা আদর্শ মাঠ।

বাংলাদেশের কৌশল কী হতে পারে
এখানে ব্যাটিংয়ের কৌশল হওয়া উচিত নির্ভয়ে প্রচুর শট খেলা।

বাংলাদেশের সম্ভাবনা
৬৫ শতাংশ জেতার সম্ভাবনা আছে।

২ নভেম্বর, অ্যাডিলেড, প্রতিপক্ষ: ভারত

মাঠ-উইকেট-কন্ডিশন
অ্যাডিলেডের মাঠটা আমাদের পরিচিত। ২০১৫ বিশ্বকাপে আমরা ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিলাম এখানে। যদিও ওই দলের বেশির ভাগ খেলোয়াড় নেই এখন। খুবই ব্যাটিংবান্ধব উইকেট। দলের ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স এখানকার ব্যাটিং কোচ ছিলেন, বহু বছর খেলেছেন দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার হয়ে। তিনি আরও ভালো পরামর্শ দিতে পারবেন, উইকেট কীভাবে ব্যবহার করা যায়। শর্ট বল খুব সাবধানে করতে হবে। যেহেতু মাঠটা লম্বা বেশি, দুই পাশে কম।

বাংলাদেশের কৌশল কী হতে পারে
ভারতের যে ব্যাটিং লাইনআপ, তাদের ফাস্ট বোলিং, যে স্পিন বিভাগ আছে, তারা এই বিশ্বকাপ জেতার অন্যতম দাবিদার। ভারতের বিপক্ষে অবশ্যই রান করতে হবে।

আমাদের দুর্বল জায়গা ব্যাটিং। ব্যাটিং এবং ফিল্ডিং ভালো করতে হবে। একটা তারুণ্যনির্ভর দলের কাছে ভালো ফিল্ডিং আশা করি।

সম্ভাবনা
ম্যাচটা কঠিন হবে। জেতার সম্ভাবনা কম।

 ৬ নভেম্বর, অ্যাডিলেড,প্রতিপক্ষ: পাকিস্তান

মাঠ-উইকেট-কন্ডিশন

একই মাঠে খেলছি পাকিস্তান-ভারতের সঙ্গে। উইকেট একই থাকবে। কন্ডিশন-আবহাওয়া সব একই থাকছে। খুবই ব্যাটিংসহায়ক, দুই দলের জন্যই সমান।

বাংলাদেশের কৌশল কী হতে পারে
আবারও বলি আমাদের যে দুর্বল জায়গা ব্যাটিং, এটা যদি ভালো করা যায়, আমাদের জেতার সম্ভাবনা আছে এই ম্যাচে।

বাংলাদেশের সম্ভাবনা
৫০-৫০ সম্ভাবনা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত