Ajker Patrika

জন্মনিবন্ধনে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ

আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর ২০২১, ১০: ২৭
জন্মনিবন্ধনে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ

পটুয়াখালীর বাউফলে ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভায় জন্মনিবন্ধন করতে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে পরিষদের সচিব জেলা প্রশাসক, ইউএনও এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বরাত দিয়ে এ অর্থ আদায় করছেন।

জানা গেছে, উপজেলায় ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা রয়েছে। সরকারি বিধান অনুযায়ী শিশুর জন্মদিন থেকে ৪৫ দিন পর্যন্ত জন্মনিবন্ধনের জন্য কোনো ফি নেওয়া যাবে না। ৪৫ দিন থেকে ৫ বছর বয়সী পর্যন্ত শিশুর ২৫ টাকা এবং ৫ বছরের ওপরে সব বয়সীদের জন্য ৫০ টাকা ফি নেওয়া যাবে। অথচ সেই বিধান উপেক্ষা করে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন পরিষদের কর্মরত উদ্যোক্তারা। এ কাজে সহযোগিতা করছেন পরিষদের সচিবেরা। চাহিদাকৃত টাকা না দিলে দিনের পর দিন নানা অজুহাতে ঘুরতে হয় সেবা গ্রহীতাদের।

সরেজমিন উপজেলার কয়েকটি পরিষদের কার্যালয় গিয়ে জানা গেছে, শিশু, কিশোর ও বৃদ্ধরা জন্মনিবন্ধন করতে গেলে বরাদ্দকৃত টাকা দিতে বাধ্য হচ্ছেন। চাহিদাকৃত টাকা না দিলে ফিরে আসতে হচ্ছে তাদের। কালাইয়া এলাকার রুমা বেগম বলেন, ‘কালাইয়া ইউনিয়ন পরিষদে তাঁর নবজাতকের জন্মসনদে ২০০ টাকা দিতে হয়েছে। টাকা না দিলে বিভিন্ন অজুহাতে মাসের পরে মাস ঘুরতে হয়। প্রায় ৩ মাস পর আমি জন্মসনদ হাতে পেয়েছি।’

দাসপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা নুরুল হক বলেন, ‘ভাইয়ের মেয়ের জন্য জন্মনিবন্ধন করার জন্য ৩০০ টাকা দিয়েছি। টাকা দিতে অনীহা প্রকাশ করলে জন্মনিবন্ধন দিতে বিভিন্ন টালবাহানা করেন। পড়ে বাধ্য হয়ে টাকা দিয়েই জন্মনিবন্ধন নিয়েছি।’ এ ধরনের অভিযোগ প্রায় সব ইউনিয়নেই রয়েছে।

এ বিষয়ে একাধিক ইউনিয়ন পরিষদের সচিব বলেন, ‘উদ্যোক্তা নিয়োগ দিয়েছেন পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউএনও এবং ডিসি মহোদয়। তাঁদের নির্দেশেই উদ্যোক্তার বেতন দেওয়ার জন্য এই টাকা নেওয়া হচ্ছে।’

পরিষদের একাধিক চেয়ারম্যান বলেন, ‘পরিষদের এ ধরনের কাজে যে টাকা পাওয়া যায়, তা দিয়েই একজন উদ্যোক্তাকে বেতন-ভাতা দেওয়া হয়। তবে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার কোনো নির্দেশনা নেই।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল আমিন বলেন, ‘অতিরিক্ত টাকা আদায়ের কোনো সুযোগ নেই। যদি অতিরিক্ত টাকা আদায় করে সে বিষয়ে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ নিয়েছে, তারা অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত