বাবলু মোস্তাফিজ, ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া)
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোট ২৭ জন চিকিৎসক থাকার কথা। তবে বর্তমানে কর্তব্যরত আছেন ১০ জন। চিকিৎসক সংকটের কারণে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে একজন মাত্র বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আছেন। শিশু বিভাগে কোনো চিকিৎসক না থাকায় বন্ধ রাখা হয়েছে এ বিভাগের চিকিৎসাসেবাও। এ ছাড়া অবেদনবিদ (অ্যানেসথেটিস্ট) না থাকায় অস্ত্রোপচার হচ্ছে না। গাইনি বিভাগে কোনো চিকিৎসক নেই। এ কারণে প্রসূতিসহ নারীরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না। তাই তাঁর যাচ্ছেন প্রাইভেট ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও সদর হাসপাতালে।
জুনিয়াদহ ইউনিয়নের বাসিন্দা একরাম হোসেন বলেন, ‘আমার স্ত্রীর সন্তান প্রসবের ব্যথা উঠলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। পরে জানতে পারি এই বিভাগের চিকিৎসক নাই। পরে আমার স্ত্রীকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই।’
গতকাল শুক্রবার হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা হালিমা খাতুন বলেন, ‘ডাক্তার দেখাতে এসেছি সকাল ৯টায়। ১২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করার পর ডাক্তার দেখাতে পেরেছি।’
তাপসী রানী নামের আরেকজন বলেন, এখানে শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় তাঁর দুই বছরের সন্তানকে নিয়ে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে যান।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, এখানকার ২৭ জন চিকিৎসকের মধ্যে কর্তব্যরত আছেন ১০ জন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মধ্যে অর্থোপেডিক ছাড়া বাকি সব পদই শূন্য রয়েছে দীর্ঘদিন। অর্থোপেডিক বিভাগের চিকিৎসক সপ্তাহে মাত্র দুদিন রোগী দেখেন।
আরও জানা গেছে, গাইনি চিকিৎসক ও অবেদনবিদ না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে অস্ত্রোপচার বন্ধ রয়েছে। অস্ত্রোপচার, মেডিসিন, শিশু, চক্ষু, চর্ম ও যৌন, নাক-কান-গলা ও কার্ডিওলজি চিকিৎসকসহ ১৭ জন চিকিৎসকের পদ দীর্ঘদিন ধরে খালি।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মিজানুর রহমান বলেন, ১০ জন চিকিৎসকের মধ্যে প্রশাসনিক কাজে নিয়োজিত রয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, আরএমও এবং করোনা ও ইপিআর নিয়ে কাজ করেন একজন। ডেন্টাল ও আল্ট্রাসনোগ্রাম বিভাগে একজন করে চিকিৎসক দায়িত্ব পালন করছেন। জরুরি বিভাগে কাজ করেন তিনজন চিকিৎসক। বাকি দুই চিকিৎসক আউটডোরে নিয়মিত রোগী দেখেন। আউটডোরে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন অন্যান্য দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকেরা। পর্যাপ্ত চিকিৎসক না থাকায় আউটডোরের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকদের ওপর বাড়তি চাপ পড়ছে। এ অবস্থায় প্রতিদিন আউটডোরে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা শত শত রোগীকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নুরুল আমিন জানান, ‘স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর চাপে কোনো বেড ও কেবিন খালি নেই। শূন্য পদে জনবল নিয়োগসহ হাসপাতালটির শয্যা সংখ্যা ১০০ করা দরকার। পাশাপাশি নার্স ও আধুনিক চিকিৎসাসামগ্রী সংযোজন করা জরুরি। জনবলের অভাবসহ বিভিন্ন সমস্যার বিষয়ে ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে জানানো হয়েছে। আশা করি খুব দ্রুতই সমাধান হবে।’
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোট ২৭ জন চিকিৎসক থাকার কথা। তবে বর্তমানে কর্তব্যরত আছেন ১০ জন। চিকিৎসক সংকটের কারণে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে একজন মাত্র বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আছেন। শিশু বিভাগে কোনো চিকিৎসক না থাকায় বন্ধ রাখা হয়েছে এ বিভাগের চিকিৎসাসেবাও। এ ছাড়া অবেদনবিদ (অ্যানেসথেটিস্ট) না থাকায় অস্ত্রোপচার হচ্ছে না। গাইনি বিভাগে কোনো চিকিৎসক নেই। এ কারণে প্রসূতিসহ নারীরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না। তাই তাঁর যাচ্ছেন প্রাইভেট ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও সদর হাসপাতালে।
জুনিয়াদহ ইউনিয়নের বাসিন্দা একরাম হোসেন বলেন, ‘আমার স্ত্রীর সন্তান প্রসবের ব্যথা উঠলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। পরে জানতে পারি এই বিভাগের চিকিৎসক নাই। পরে আমার স্ত্রীকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই।’
গতকাল শুক্রবার হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা হালিমা খাতুন বলেন, ‘ডাক্তার দেখাতে এসেছি সকাল ৯টায়। ১২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করার পর ডাক্তার দেখাতে পেরেছি।’
তাপসী রানী নামের আরেকজন বলেন, এখানে শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় তাঁর দুই বছরের সন্তানকে নিয়ে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে যান।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, এখানকার ২৭ জন চিকিৎসকের মধ্যে কর্তব্যরত আছেন ১০ জন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মধ্যে অর্থোপেডিক ছাড়া বাকি সব পদই শূন্য রয়েছে দীর্ঘদিন। অর্থোপেডিক বিভাগের চিকিৎসক সপ্তাহে মাত্র দুদিন রোগী দেখেন।
আরও জানা গেছে, গাইনি চিকিৎসক ও অবেদনবিদ না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে অস্ত্রোপচার বন্ধ রয়েছে। অস্ত্রোপচার, মেডিসিন, শিশু, চক্ষু, চর্ম ও যৌন, নাক-কান-গলা ও কার্ডিওলজি চিকিৎসকসহ ১৭ জন চিকিৎসকের পদ দীর্ঘদিন ধরে খালি।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মিজানুর রহমান বলেন, ১০ জন চিকিৎসকের মধ্যে প্রশাসনিক কাজে নিয়োজিত রয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, আরএমও এবং করোনা ও ইপিআর নিয়ে কাজ করেন একজন। ডেন্টাল ও আল্ট্রাসনোগ্রাম বিভাগে একজন করে চিকিৎসক দায়িত্ব পালন করছেন। জরুরি বিভাগে কাজ করেন তিনজন চিকিৎসক। বাকি দুই চিকিৎসক আউটডোরে নিয়মিত রোগী দেখেন। আউটডোরে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন অন্যান্য দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকেরা। পর্যাপ্ত চিকিৎসক না থাকায় আউটডোরের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকদের ওপর বাড়তি চাপ পড়ছে। এ অবস্থায় প্রতিদিন আউটডোরে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা শত শত রোগীকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নুরুল আমিন জানান, ‘স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর চাপে কোনো বেড ও কেবিন খালি নেই। শূন্য পদে জনবল নিয়োগসহ হাসপাতালটির শয্যা সংখ্যা ১০০ করা দরকার। পাশাপাশি নার্স ও আধুনিক চিকিৎসাসামগ্রী সংযোজন করা জরুরি। জনবলের অভাবসহ বিভিন্ন সমস্যার বিষয়ে ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে জানানো হয়েছে। আশা করি খুব দ্রুতই সমাধান হবে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪