Ajker Patrika

সৌহার্দ্য বাড়ায় সালাম

ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান
সৌহার্দ্য বাড়ায় সালাম

সালাম ইসলামের একটি নিদর্শন। সালাম অর্থ পরস্পরের কল্যাণ কামনা করা, অভিবাদন জানানো। সালাম দেওয়া সুন্নত এবং উত্তর দেওয়া ওয়াজিব। সালামদাতা সংক্ষেপে বলবে ‘আস্সালামু আলাইকুম’ এবং উত্তরদাতা বলবে ‘ওয়া আলাইকুমুস সালাম’। মূলত সালামের প্রচলন আদম (আ.)-এর মাধ্যমে জান্নাতেই শুরু হয়। আল্লাহ তাআলা আদম (আ.)-কে সৃষ্টির পর তাঁর সামনে বসা ফেরেস্তাদের ‘আস্সালামু আলাইকুম’ বলে সালাম দিতে বলেন এবং তাঁরা ‘ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ’ বলে উত্তর দেন। পরে এটিই সালাম ও অভিবাদন হিসেবে গৃহীত হয়। (বুখারি)

তবে সালামদাতা যতটুকু বলে সালাম দেয়, তার চেয়ে একটু বাড়িয়ে অথবা সমপরিমাণ শব্দ ব্যবহার করে উত্তর দেওয়া আবশ্যক। উত্তরদাতা বাড়িয়ে বলতে পারেন ‘ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু’। আল্লাহ বলেন, ‘আর যখন তোমাদের সালাম দেওয়া হবে তখন তোমরা তার চেয়ে উত্তম সালাম দেবে। অথবা জবাবে সমপরিমাণ বলবে।’ (সুরা নিসা: ৮৬)

কথা বলার আগেই সালাম দেওয়া উচিত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা বাক্য বিনিময়ের আগেই সালাম দেবে।’ (তিরমিজি) সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে সামাজিক বন্ধন যেমন দৃঢ় হয়, তেমনি পারস্পরিক ভালোবাসা ও সৌহার্দ্য গাঢ় হয়। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা ইমানদার না হওয়া পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না এবং পরস্পর ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত ইমানদার হতে পারবে না। আমি কি তোমাদের এমন একটি বিষয় বলব, যার মাধ্যমে তোমরা পরস্পর পরস্পরকে ভালোবাসতে পার? তা হলো তোমরা তোমাদের মধ্যে সালামের প্রচলন কর।’ (মুসলিম)

শুধু তা-ই নয়, সালামের মাধ্যমে জান্নাতের পথও উন্মুক্ত হয়। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা সালামের প্রচলন কর, অন্যকে খাবার দাও এবং মানুষ যখন ঘুমিয়ে থাকে তখন সালাত আদায় কর, তবেই জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে।’ (তিরমিজি)

লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত