Ajker Patrika

শেরপুরের মুড়ি কারখানায় দিনভর ব্যস্ততা

শেরপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৩ এপ্রিল ২০২২, ১২: ৫৭
শেরপুরের মুড়ি কারখানায় দিনভর ব্যস্ততা

রমজান মাসে বাড়তি মুড়ির চাহিদা সামাল দিতে শেরপুরে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) মুড়ি কারখানাগুলোয় ব্যস্ত সময় কাটছে শ্রমিকদের। রমজানের আগ থেকেই তাঁরা মুড়ি তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে যান। এদিকে রমজান শুরু হলেও এখনো কমেনি তাঁদের কাজের চাপ। শেরপুর জেলাসহ আশপাশের জেলার পাইকারদের হাতে মুড়ি তুলে দিতে রমজানের শুরু থেকে কারখানায় ব্যস্ততা শুরু হয়।

নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, ভেজাল মুড়ি যেন বাজারে না আসে, সে জন্য নিয়মিত তদারকি করছে জেলা নিরাপদ খাদ্য বিভাগ।

জানা গেছে, রমজান মাসে ইফতারের অন্যতম একটি খাদ্য উপকরণ হচ্ছে মুড়ি। প্রতিবছর রমজানকে সামনে রেখে মুড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটান মুড়ি কারখানার শ্রমিকেরা। তবে এবার রমজান শুরু হয়ে গেলেও শেরপুরের মুড়ি কারখানার মালিক-শ্রমিকদের ব্যস্ততা কমেনি। রাত-দিন মেশিনের খটখট শব্দে মুখরিত মিলগুলো।

জেলার চাহিদা মিটিয়ে এখানকার মুড়ি আশপাশের জেলাগুলোয়ও যাচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে এসব চিত্র দেখা গেছে। এবার ৬০-৬২ টাকা কেজি দরে মুড়ি পাইকারি বিক্রি হচ্ছে। আর খোলাবাজারে মুড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শেরপুর শহরের বিসিক এলাকায় তিনটি মিলে আধুনিক মেশিনে মুড়ি তৈরি করা হয়। কারখানাগুলো ঘুরে দেখা গেছে, মুড়ি শ্রমিকেরা ব্যস্ত সময় পার করছেন।

কেউ মেশিনে চাল ঢালছেন, কেউ মেশিন চালাচ্ছেন। আবার কেউ গরম-গরম ভাজা মুড়িগুলো বস্তায় তুলছেন, আর কেউ মুড়ি পলিথিন কাগজে ভরে ওজন করছেন। আবার কেউ মাথায় নিয়ে সেগুলো গুদামজাত করছেন।

মুড়ি কারখানার শ্রমিক মো. আব্বাস উদ্দিন বলেন, ‘রমজান মাসে মুড়ির চাহিদা বেশি থাকে। তাই তখন দিনরাত কাজ করে মুড়ি ভাজি। কাজের চাপও বেশি থাকে। কারখানার মহিলা শ্রমিক মোছা. সাজেদা বেগম বলেন, ‘আমি মুড়ি ওজন করে কাগজে প্যাকেট করি। এখন রমজান মাস, তাই আমাদের কাজের চাপ অনেক বেশি। সারা বছর এত চাপ থাকে না।’

মুড়ি কারখানার ব্যবস্থাপক আব্দুল মান্নান বলেন, ‘আমাদের উৎপাদিত মুড়ি শেরপুরের বাজারগুলোয় নিয়মিত বিক্রি হয়। পাশাপাশি জেলার চাহিদা মিটিয়ে জামালপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা ও কুড়িগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায়ও যাচ্ছে। তবে বাজারে অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার মুড়ির বিক্রি একটু কম। তবে রোজা কয়েকটি গেলে মুড়ির চাহিদা বাড়বে বলে আশা করছি। কমদামে মুড়ি কিনতে অনেকেই বিসিকে অবস্থিত কারখানা আসেন।’

সেখানে মুড়ি কিনতে আসা স্থানীয় বাসিন্দা মো. আবু জাফর বলেন, ‘বাজারের চাইতে এখানে কমদামে মুড়ি পাওয়া যায়।’

এ ব্যাপারে জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘ভেজাল মুড়ি যেন বাজারে না আসে, সে জন্য নিয়মিত তদারকি করছে জেলা নিরাপদ খাদ্য বিভাগ। বিসিকের কারখানাগুলো ও দোকানে দোকানে আমরা নিয়মিত পরিদর্শনে যাচ্ছি। সেই সঙ্গে কারখানার মালিকদের কাউন্সেলিং করাচ্ছি, যাতে তাঁরা মুড়িতে কোনো ভেজাল না করেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

বিবাহিতদের পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশ না করার প্রস্তাব

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

‘ঘুষের জন্য’ ৯১টি ফাইল আটকে রাখেন মাউশির ডিডি: দুদক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত