বরগুনা প্রতিনিধি
বরগুনার তিনটি নদনদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনাসহ গোটা উপকূলীয় এলাকা অবৈধ বেহুন্দি জালে সয়লাব এখন। সূক্ষ্ম ফাঁসের নিষিদ্ধ এ জালে মারা পড়ছে নানা প্রজাতির মাছের পোনা। বিশেষ করে বেহুন্দি জাল দিয়ে শিকার করা হচ্ছে ইলিশের পোনা।
প্রায় ৫০–৭০ ফুট দীর্ঘ ও ২০–২৫ ফুট প্রশস্ত সূক্ষ্ম ফাঁসের একপ্রকার জাল হলো বেহুন্দি। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, এর ব্যবহার সারা বছরই নিষিদ্ধ। সাধারণত ভাটির প্রবেশ স্রোতের সময় নদীর গভীরে খুঁটি ও ভারী বস্তু বেঁধে এ জাল পাতা হয়।
শীতের মৌসুমের শুরুতেই বঙ্গোপসাগরের মোহনা ও পায়রা, বলেশ্বর ও বিষখালী নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে বেহুন্দি জাল দিয়ে মাছ শিকার চলে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিষখালী নদীর বেতাগী লঞ্চঘাট থেকে মোকামিয়া, কাঠালিয়া, বামনা, রামনা, কালিকাবাড়ি, ফুলঝুড়ি, পাতাকাটা, কাকচিড়া খালের উত্তর দিকে, বরইতলা, কুপদোন ও নলী পয়েন্টে প্রায় দুই শতাধিক বেহুন্দি জাল দিয়ে মাছ শিকার করা হয়।
একইভাবে পায়রা নদীর তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া, সোনাকাটা, নিদ্রা ও সখিনা, গোরাপদ্মা, পালের বালিয়াতলী, কুমিরমারার চর, সোনাতলা সৃজিত বনাঞ্চল, বগীসহ এই নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে এবং বলেশ্বরের হরিণঘাটা, লালদিয়া, রুহিতা, পদ্মা, চরদুয়ানী থেকে কাঁঠালতলী এলাকা পর্যন্ত শতাধিক পয়েন্টে বেহুন্দি জাল দিয়ে মাছ শিকার করা হয়।
এ ছাড়া পায়রা, বলেশ্বর ও বিষখালী এই তিন নদীর মোহনা বেহুন্দি জালে সয়লাব। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে মৎস্য বিভাগ বিভিন্ন সময়ে অভিযান পরিচালনা করলেও কোনোভাবেই জেলেদের থামানো যায়নি।
বরগুনা সদরের ঢলুয়া ইউনিয়নের বড়ইতলায় দেখা যায়, বিষখালী নদীতে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ২০–২৫ জন জেলে বেহুন্দি জাল দিয়ে মাছ শিকার করছেন। সাড়ে ৮টার দিকে জেলেরা মাছ নিয়ে তীরে আসেন। এ সময় দেখা যায়, পোয়া, ট্যাংরা, গুলিশাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পাশাপাশি অসংখ্য মাছের পোনা আটকা পড়েছে। জাটকার চেয়েও ছোট সাইজের ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ছোট ফাঁসের এসব জালে ধরা পড়েছে। ক্ষুদ্রাকৃতির এসব পোনা ‘গুঁড়া মাছ’ হিসেবে কেজি দরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে।
পাথরঘাটার হরিণঘাটা এলাকার বাসিন্দা ও জেলে নুরুল ইসলাম, কালাম মিয়া ও আবুল হোসেন জানান, বেহুন্দি দিয়ে মাছ শিকারে অনেক জেলেকে নিষেধ করা হলেও তাঁরা উল্টো ভয়ভীতি দেখায়। এই জেলেরা বেহুন্দি জাল বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান।
বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ‘ইলিশ ডিম ছেড়েছে, ঠিক এই মুহূর্তে যদি এসব জালে মাছ শিকার চলতেই থাকে তবে বাচ্চা ইলিশ মারা পড়বে। আর এ কারণে ইলিশের বংশবিস্তার বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়বে। এমনিতেই এবার ডুবোচরে বাঁধা পেয়ে ইলিশ গতিপথ পাল্টেছে। এখন যদি পোনা নিধন চলে তবে দক্ষিণের উপকূলে আর ইলিশের দেখা মিলবে না।’
ইলিশের সঠিক প্রজনন সময় নির্ধারণ, বংশ বৃদ্ধির পরিবেশ সৃষ্টি এবং সংরক্ষণ নিয়ে গবেষণা করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. ইয়ামিন হোসেন। তিনি বলেন, ‘মা ইলিশদের যদি ডিম দেওয়ার পরিপূর্ণ সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া যায়, তাহলে ১ হাজার ৪০০ গ্রামের একটি ইলিশ থেকে ১৬ লাখ ইলিশের বাচ্চা পাওয়া যাবে। আমরা যদি আর্থিক লাভের কথা চিন্তা করি তাহলে একটি মাত্র ইলিশ থেকে ৭৬ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা আয় হবে। ঠিক এই সময়টা ইলিশের বাচ্চা বড় হওয়ার মৌসুম। এই সম্পদকে রক্ষা ও যথাযথভাবে লালন–পালন করা আমাদের সকলের দায়িত্ব।’
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ দেব বলেন, ‘অবৈধ জাল পাতা বন্ধে মৎস্য বিভাগ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু জাল পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। এ ছাড়া স্থানীয় জেলেদের নিয়ে সচেতনতামূলক বৈঠক করে আসছি। তবে করোনার কারণে কার্যক্রম কিছুটা স্তিমিত আছে। শিগগিরই অভিযান আরও জোরদার করা হবে।’
বরগুনার তিনটি নদনদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনাসহ গোটা উপকূলীয় এলাকা অবৈধ বেহুন্দি জালে সয়লাব এখন। সূক্ষ্ম ফাঁসের নিষিদ্ধ এ জালে মারা পড়ছে নানা প্রজাতির মাছের পোনা। বিশেষ করে বেহুন্দি জাল দিয়ে শিকার করা হচ্ছে ইলিশের পোনা।
প্রায় ৫০–৭০ ফুট দীর্ঘ ও ২০–২৫ ফুট প্রশস্ত সূক্ষ্ম ফাঁসের একপ্রকার জাল হলো বেহুন্দি। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, এর ব্যবহার সারা বছরই নিষিদ্ধ। সাধারণত ভাটির প্রবেশ স্রোতের সময় নদীর গভীরে খুঁটি ও ভারী বস্তু বেঁধে এ জাল পাতা হয়।
শীতের মৌসুমের শুরুতেই বঙ্গোপসাগরের মোহনা ও পায়রা, বলেশ্বর ও বিষখালী নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে বেহুন্দি জাল দিয়ে মাছ শিকার চলে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিষখালী নদীর বেতাগী লঞ্চঘাট থেকে মোকামিয়া, কাঠালিয়া, বামনা, রামনা, কালিকাবাড়ি, ফুলঝুড়ি, পাতাকাটা, কাকচিড়া খালের উত্তর দিকে, বরইতলা, কুপদোন ও নলী পয়েন্টে প্রায় দুই শতাধিক বেহুন্দি জাল দিয়ে মাছ শিকার করা হয়।
একইভাবে পায়রা নদীর তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া, সোনাকাটা, নিদ্রা ও সখিনা, গোরাপদ্মা, পালের বালিয়াতলী, কুমিরমারার চর, সোনাতলা সৃজিত বনাঞ্চল, বগীসহ এই নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে এবং বলেশ্বরের হরিণঘাটা, লালদিয়া, রুহিতা, পদ্মা, চরদুয়ানী থেকে কাঁঠালতলী এলাকা পর্যন্ত শতাধিক পয়েন্টে বেহুন্দি জাল দিয়ে মাছ শিকার করা হয়।
এ ছাড়া পায়রা, বলেশ্বর ও বিষখালী এই তিন নদীর মোহনা বেহুন্দি জালে সয়লাব। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে মৎস্য বিভাগ বিভিন্ন সময়ে অভিযান পরিচালনা করলেও কোনোভাবেই জেলেদের থামানো যায়নি।
বরগুনা সদরের ঢলুয়া ইউনিয়নের বড়ইতলায় দেখা যায়, বিষখালী নদীতে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ২০–২৫ জন জেলে বেহুন্দি জাল দিয়ে মাছ শিকার করছেন। সাড়ে ৮টার দিকে জেলেরা মাছ নিয়ে তীরে আসেন। এ সময় দেখা যায়, পোয়া, ট্যাংরা, গুলিশাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পাশাপাশি অসংখ্য মাছের পোনা আটকা পড়েছে। জাটকার চেয়েও ছোট সাইজের ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ছোট ফাঁসের এসব জালে ধরা পড়েছে। ক্ষুদ্রাকৃতির এসব পোনা ‘গুঁড়া মাছ’ হিসেবে কেজি দরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে।
পাথরঘাটার হরিণঘাটা এলাকার বাসিন্দা ও জেলে নুরুল ইসলাম, কালাম মিয়া ও আবুল হোসেন জানান, বেহুন্দি দিয়ে মাছ শিকারে অনেক জেলেকে নিষেধ করা হলেও তাঁরা উল্টো ভয়ভীতি দেখায়। এই জেলেরা বেহুন্দি জাল বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান।
বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ‘ইলিশ ডিম ছেড়েছে, ঠিক এই মুহূর্তে যদি এসব জালে মাছ শিকার চলতেই থাকে তবে বাচ্চা ইলিশ মারা পড়বে। আর এ কারণে ইলিশের বংশবিস্তার বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়বে। এমনিতেই এবার ডুবোচরে বাঁধা পেয়ে ইলিশ গতিপথ পাল্টেছে। এখন যদি পোনা নিধন চলে তবে দক্ষিণের উপকূলে আর ইলিশের দেখা মিলবে না।’
ইলিশের সঠিক প্রজনন সময় নির্ধারণ, বংশ বৃদ্ধির পরিবেশ সৃষ্টি এবং সংরক্ষণ নিয়ে গবেষণা করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. ইয়ামিন হোসেন। তিনি বলেন, ‘মা ইলিশদের যদি ডিম দেওয়ার পরিপূর্ণ সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া যায়, তাহলে ১ হাজার ৪০০ গ্রামের একটি ইলিশ থেকে ১৬ লাখ ইলিশের বাচ্চা পাওয়া যাবে। আমরা যদি আর্থিক লাভের কথা চিন্তা করি তাহলে একটি মাত্র ইলিশ থেকে ৭৬ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা আয় হবে। ঠিক এই সময়টা ইলিশের বাচ্চা বড় হওয়ার মৌসুম। এই সম্পদকে রক্ষা ও যথাযথভাবে লালন–পালন করা আমাদের সকলের দায়িত্ব।’
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ দেব বলেন, ‘অবৈধ জাল পাতা বন্ধে মৎস্য বিভাগ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু জাল পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। এ ছাড়া স্থানীয় জেলেদের নিয়ে সচেতনতামূলক বৈঠক করে আসছি। তবে করোনার কারণে কার্যক্রম কিছুটা স্তিমিত আছে। শিগগিরই অভিযান আরও জোরদার করা হবে।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫