পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় আমন ধানে লেদা পোকা ও ফলস স্মার্ট পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। পোকার আক্রমণ থেকে ধান রক্ষা করায় বিভিন্ন ওষুধ প্রয়োগ করে কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা। ধান কাটার আগমুহূর্তে এভাবে পোকার আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় চলতি বছর ৩৪ হাজার ৬৭০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে এক শতাংশ আমন ধানের ক্ষতি হয়েছে। অপরদিকে লেদা পোকা ও ফলস স্মার্ট পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। তবে ক্ষতির পরিমাণ এখনো তালিকা করা হয়নি।
উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বিগত বছরের চেয়ে এ বছর ফলনও বাম্পার হয়েছে। খেতের প্রায় ৯০ ভাগ ধানে সোনালি রং ধরেছে; যা এক সপ্তাহ পর কাটার উপযুক্ত হবে। অথচ সেই পাকা ধানে লেদা ও ফলস স্মার্ট পোকার আক্রমণ আর ঝড়ের কারণে অবিরাম বৃষ্টির পানি জমিতে জমে যাওয়ায় কৃষক বিপাকে পড়েছে।
উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের সুলতানাবাদ গ্রামের হারুন দেওয়ান, ইউনুচ মৃধা, মাহবুব দেওয়ান, সেরাজ মাতবর, ধানদী গ্রামের আ. রহিম ও শাহজাহান মাতবর এবং কেশবপুর ইউনিয়নের ভরিপাশা গ্রামের আলমগীর গাজীসহ অনেক কৃষক জানান, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ও বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলে আমন ধান পাকার এই মুহূর্তে শিষকাটা লেদা পোকা আর ফলস স্মার্ট রোগের আক্রমণ দেখা দিয়েছে। লেদা পোকা দিনের বেলায় গাছের গোড়ায় লুকিয়ে থাকে আর রাতে শিষ কাটে। শিষ কাটার কারণে ধান মাটিতে ঝরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
কৃষক হারুন দেওয়ান বলেন, ‘প্রায় ৮০ শতাংশ জমিতে ধান চাষ করেছি। খেতে লেদা পোকার আক্রমণ দেখা দেওয়ায় কীটনাশক প্রয়োগ করেও কোনো সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। লেদা পোকায় কাটা ধান খেতেই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে।’
উপজেলার কেশবপুর ডিগ্রি কলেজের জীববিজ্ঞানের শিক্ষক তাসলিমা বেগম বলেন, ‘আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাব, রোদ, তাপমাত্রা, শীত, গাছের শক্তিমত্তার কারণে পোকার বংশ বৃদ্ধি ঘটে। লেদা পোকার সঙ্গে আমাদের এলাকার কৃষকেরা পরিচিত হলেও ফলস স্মার্ট পোকা বা লক্ষ্মীর গু পোকার সঙ্গে তাঁরা পরিচিত নন। পোকাটি দেখতে কালো গোলাকৃতি বস্তুর মতো। এর ভেতরে পোকা থাকে, যাকে ইংরেজিতে বলা হয় “ক্লামাইজোস্পোর” বাংলায় বলা হয় “অণুজীব”। এই পোকাটি প্রথমে ধানের শিষের ডগায় আশ্রয় নেয়। পরে আস্তে আস্তে বিস্তার লাভ করে ধানের ছড়ায় ছড়িয়ে পড়ে এবং একপর্যায়ে ধানের ছড়া কেটে ধানের চাল খেয়ে বিনষ্ট করে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পোকা দমনে কৃষাণ-কৃষাণির সচেতনতা সৃষ্টি খুবই জরুরি হয়েছে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘চন্দ্রদ্বীপ, ধুলিয়া ও নাজিরপুর এলাকায় লেদা পোকার আক্রমণের কথা জানা গেলেও তা আগের বছরের মতো বড় ধরনের কোনো সমস্যা সৃষ্টি করবে না। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ উপজেলায় আমন ধানের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রায় কোনো ঘাটতি হবে না। ফলস স্মার্ট সম্পর্কে কৃষকদের ভ্রান্ত ধারণা আর প্রতিকারে বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে।’
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় আমন ধানে লেদা পোকা ও ফলস স্মার্ট পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। পোকার আক্রমণ থেকে ধান রক্ষা করায় বিভিন্ন ওষুধ প্রয়োগ করে কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা। ধান কাটার আগমুহূর্তে এভাবে পোকার আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় চলতি বছর ৩৪ হাজার ৬৭০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে এক শতাংশ আমন ধানের ক্ষতি হয়েছে। অপরদিকে লেদা পোকা ও ফলস স্মার্ট পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। তবে ক্ষতির পরিমাণ এখনো তালিকা করা হয়নি।
উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বিগত বছরের চেয়ে এ বছর ফলনও বাম্পার হয়েছে। খেতের প্রায় ৯০ ভাগ ধানে সোনালি রং ধরেছে; যা এক সপ্তাহ পর কাটার উপযুক্ত হবে। অথচ সেই পাকা ধানে লেদা ও ফলস স্মার্ট পোকার আক্রমণ আর ঝড়ের কারণে অবিরাম বৃষ্টির পানি জমিতে জমে যাওয়ায় কৃষক বিপাকে পড়েছে।
উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের সুলতানাবাদ গ্রামের হারুন দেওয়ান, ইউনুচ মৃধা, মাহবুব দেওয়ান, সেরাজ মাতবর, ধানদী গ্রামের আ. রহিম ও শাহজাহান মাতবর এবং কেশবপুর ইউনিয়নের ভরিপাশা গ্রামের আলমগীর গাজীসহ অনেক কৃষক জানান, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ও বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলে আমন ধান পাকার এই মুহূর্তে শিষকাটা লেদা পোকা আর ফলস স্মার্ট রোগের আক্রমণ দেখা দিয়েছে। লেদা পোকা দিনের বেলায় গাছের গোড়ায় লুকিয়ে থাকে আর রাতে শিষ কাটে। শিষ কাটার কারণে ধান মাটিতে ঝরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
কৃষক হারুন দেওয়ান বলেন, ‘প্রায় ৮০ শতাংশ জমিতে ধান চাষ করেছি। খেতে লেদা পোকার আক্রমণ দেখা দেওয়ায় কীটনাশক প্রয়োগ করেও কোনো সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। লেদা পোকায় কাটা ধান খেতেই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে।’
উপজেলার কেশবপুর ডিগ্রি কলেজের জীববিজ্ঞানের শিক্ষক তাসলিমা বেগম বলেন, ‘আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাব, রোদ, তাপমাত্রা, শীত, গাছের শক্তিমত্তার কারণে পোকার বংশ বৃদ্ধি ঘটে। লেদা পোকার সঙ্গে আমাদের এলাকার কৃষকেরা পরিচিত হলেও ফলস স্মার্ট পোকা বা লক্ষ্মীর গু পোকার সঙ্গে তাঁরা পরিচিত নন। পোকাটি দেখতে কালো গোলাকৃতি বস্তুর মতো। এর ভেতরে পোকা থাকে, যাকে ইংরেজিতে বলা হয় “ক্লামাইজোস্পোর” বাংলায় বলা হয় “অণুজীব”। এই পোকাটি প্রথমে ধানের শিষের ডগায় আশ্রয় নেয়। পরে আস্তে আস্তে বিস্তার লাভ করে ধানের ছড়ায় ছড়িয়ে পড়ে এবং একপর্যায়ে ধানের ছড়া কেটে ধানের চাল খেয়ে বিনষ্ট করে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পোকা দমনে কৃষাণ-কৃষাণির সচেতনতা সৃষ্টি খুবই জরুরি হয়েছে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘চন্দ্রদ্বীপ, ধুলিয়া ও নাজিরপুর এলাকায় লেদা পোকার আক্রমণের কথা জানা গেলেও তা আগের বছরের মতো বড় ধরনের কোনো সমস্যা সৃষ্টি করবে না। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ উপজেলায় আমন ধানের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রায় কোনো ঘাটতি হবে না। ফলস স্মার্ট সম্পর্কে কৃষকদের ভ্রান্ত ধারণা আর প্রতিকারে বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪