খান রফিক, বরিশাল
দিনে পানির অভাবে হাহাকার আর রাতে ঘুটঘুটে অন্ধকার—এ হলো বরিশাল নগরের বর্তমান চিত্র। তিন দিন ধরে পানি আর বিদ্যুতের অভাবে নগরে দুর্ভোগ বাড়ছেই। সিটি করপোরেশন আর বিদ্যুৎ বিভাগ এ ঘটনায় একে অন্যের দোষ দিচ্ছে।
বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে, তারা প্রায় ৬০ কোটি টাকা বকেয়া পান, কিন্তু এ জন্য ঢালাওভাবে লাইন কাটেননি। এদিকে গত বুধবার রাতে সংবাদ সম্মেলনে বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ দাবি করেছেন, জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী তাঁকে ২৫ কোটি টাকা পরিশোধের কথা
বললেও বিসিসির এই অর্থ মেটানোর সক্ষমতা নেই।
এদিকে নগরের সড়কবাতিতে বিদ্যুৎ সংযোগ এবং পানি সরবরাহের দাবিতে গতকাল মানববন্ধন ও সমাবেশ হয়েছে।
গতকাল নগরের রসুলপুর, পলাশপুর, বালুরমাঠ বস্তি ঘুরে দেখা গেছে, পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ওইসব বস্তির বাসিন্দারা জানান, ‘আমরা সাধারণ মানুষ প্রতি মাসের বিল পরিশোধ করে দেই। এরপরও কেন পানির কষ্টে ভুগব?’
বিসিসির পানি শাখার প্রকৌশলী সোহরাব হোসেন জানান, তাঁরা প্রতিদিন পানি সরবরাহ করতেন ৬৫ লাখ গ্যালন। বর্তমান ২০ থেকে ২২ লাখ গ্যালন পানির ঘাটতি রয়েছে, যে কারণে নগরের ১ লাখ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছেন।
বরিশাল বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্র-১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী আমজাদ হোসেন বলেন, ‘আমরা বারবার বলছি যে, নগরের পানির লাইন কাটিনি, কেবল সড়কবাতির সাতটি লাইন কেটেছি; কিন্তু সিটি করপোরেশন নিজেরা লাইন কেটে বুধবারও সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যুৎ বিভাগকে দোষারোপ করছে। সিটি করপোরেশনের কাছে যে বকেয়া তা পরিশোধ করে এ সমস্যা সমাধান করতে পারে বিসিসি। সিটি মেয়রের সঙ্গে বৈঠকে বকেয়া বিল পরিশোধের তাগিদ দিলেও তিনি সিদ্ধান্ত দেননি।’
বুধবার রাতে বিসিসি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, বকেয়া নিয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী ২৫ কোটি টাকা পরিশোধ করতে বলেছেন; কিন্তু কীভাবে সিটি করপোরেশন পরিচালিত হচ্ছে তা সবাই জানেন। এ মুহূর্তে এত টাকা করপোরেশনের নেই। কোনো ধরনের পূর্ব নোটিশ ছাড়াই সড়কবাতিসহ ১১টি পানির পাম্পের সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ‘বরিশাল নগর পানিবিহীন ও বিদ্যুৎবিহীন কেন?’ এই স্লোগানে অবিলম্বে বরিশালে সব সড়কবাতিতে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু ও পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার দাবিতে গতকাল বিকেলে অশ্বিনী কুমার টাউন হল চত্বরে বাসদের বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাসদ বরিশাল জেলা ফোরামের সদস্য দুলাল মল্লিক।
দিনে পানির অভাবে হাহাকার আর রাতে ঘুটঘুটে অন্ধকার—এ হলো বরিশাল নগরের বর্তমান চিত্র। তিন দিন ধরে পানি আর বিদ্যুতের অভাবে নগরে দুর্ভোগ বাড়ছেই। সিটি করপোরেশন আর বিদ্যুৎ বিভাগ এ ঘটনায় একে অন্যের দোষ দিচ্ছে।
বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে, তারা প্রায় ৬০ কোটি টাকা বকেয়া পান, কিন্তু এ জন্য ঢালাওভাবে লাইন কাটেননি। এদিকে গত বুধবার রাতে সংবাদ সম্মেলনে বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ দাবি করেছেন, জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী তাঁকে ২৫ কোটি টাকা পরিশোধের কথা
বললেও বিসিসির এই অর্থ মেটানোর সক্ষমতা নেই।
এদিকে নগরের সড়কবাতিতে বিদ্যুৎ সংযোগ এবং পানি সরবরাহের দাবিতে গতকাল মানববন্ধন ও সমাবেশ হয়েছে।
গতকাল নগরের রসুলপুর, পলাশপুর, বালুরমাঠ বস্তি ঘুরে দেখা গেছে, পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ওইসব বস্তির বাসিন্দারা জানান, ‘আমরা সাধারণ মানুষ প্রতি মাসের বিল পরিশোধ করে দেই। এরপরও কেন পানির কষ্টে ভুগব?’
বিসিসির পানি শাখার প্রকৌশলী সোহরাব হোসেন জানান, তাঁরা প্রতিদিন পানি সরবরাহ করতেন ৬৫ লাখ গ্যালন। বর্তমান ২০ থেকে ২২ লাখ গ্যালন পানির ঘাটতি রয়েছে, যে কারণে নগরের ১ লাখ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছেন।
বরিশাল বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্র-১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী আমজাদ হোসেন বলেন, ‘আমরা বারবার বলছি যে, নগরের পানির লাইন কাটিনি, কেবল সড়কবাতির সাতটি লাইন কেটেছি; কিন্তু সিটি করপোরেশন নিজেরা লাইন কেটে বুধবারও সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যুৎ বিভাগকে দোষারোপ করছে। সিটি করপোরেশনের কাছে যে বকেয়া তা পরিশোধ করে এ সমস্যা সমাধান করতে পারে বিসিসি। সিটি মেয়রের সঙ্গে বৈঠকে বকেয়া বিল পরিশোধের তাগিদ দিলেও তিনি সিদ্ধান্ত দেননি।’
বুধবার রাতে বিসিসি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, বকেয়া নিয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী ২৫ কোটি টাকা পরিশোধ করতে বলেছেন; কিন্তু কীভাবে সিটি করপোরেশন পরিচালিত হচ্ছে তা সবাই জানেন। এ মুহূর্তে এত টাকা করপোরেশনের নেই। কোনো ধরনের পূর্ব নোটিশ ছাড়াই সড়কবাতিসহ ১১টি পানির পাম্পের সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ‘বরিশাল নগর পানিবিহীন ও বিদ্যুৎবিহীন কেন?’ এই স্লোগানে অবিলম্বে বরিশালে সব সড়কবাতিতে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু ও পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার দাবিতে গতকাল বিকেলে অশ্বিনী কুমার টাউন হল চত্বরে বাসদের বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাসদ বরিশাল জেলা ফোরামের সদস্য দুলাল মল্লিক।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪