সম্পাদকীয়
শওকত ওসমান একাধারে ছিলেন ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, শিশুসাহিত্যিক ও অনুবাদক। তাঁর পারিবারিক নাম ছিল শেখ আজিজুর রহমান।
১৯৩৩ সালে ১৬ বছর বয়সে পশ্চিমবঙ্গের হুগলির সবলসিংহপুরের জুনিয়র মাদ্রাসা থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়ে ভর্তি হয়েছিলেন কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসায়। পরিবারে তখন ভীষণ অভাব। মা তাঁর নিজের গয়না তুলে দিয়েছিলেন পড়াশোনা করার জন্য। মাদ্রাসার পড়াশোনা ছেড়ে ১৯৩৪ সালে আইএ ভর্তি হন কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে। এ সময় পড়াশোনার খরচ চালাতে সকাল-সন্ধ্যা টিউশনি করতেন। কিছু টাকা বাড়িতেও পাঠাতেন।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে স্নাতক শেষ করে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে ভর্তি হন। সেখান থেকে বাংলায় এমএ পাস করার পর কলকাতার গভর্নমেন্ট কমার্শিয়াল কলেজে প্রভাষক পদে যোগ দেন তিনি।
দেশভাগের পর তৎকালীন পূর্ব বাংলায় চলে আসেন। সাহিত্যজীবনের প্রারম্ভিক পর্বে কবিতা, গল্প ও শিশুসাহিত্যে সক্রিয় হলেও ক্রমেই নিপীড়িত মানুষের জীবনকাহিনি তুলে ধরেন উপন্যাসের মাধ্যমে। ১৯৫৮ সালে প্রকাশিত হয় শওকত ওসমানের উপন্যাস ‘জননী’। সে বছরই অধ্যাপক হিসেবে ঢাকা কলেজে যোগ দেন তিনি। ১৯৬৩ সালে তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস ‘ক্রীতদাসের হাসি’ প্রকাশিত হয়।
গল্প, কবিতা, উপন্যাস, প্রবন্ধ-নিবন্ধ, অনুবাদ, নাটক, দিনলিপি, স্মৃতিকথা, আত্মজীবনী ইত্যাদি মিলিয়ে বিপুল গ্রন্থের প্রণেতা হয়েও নিজেকে তিনি বলতেন ‘ঝাড়ুদার গ্রন্থকার’। কারণ, তাঁর আমৃত্যু ব্রত ছিল সাহিত্যসাধনার মধ্য দিয়ে ‘এই ক্লিষ্ট দুনিয়ার/ সব ময়লা করব সাফ’।
তাঁর উঁচুমানের প্রাবন্ধিক ভাবনার পরিচয় পাওয়া যায় ‘ভাব, ভাষা ও ভাবনা’, ‘সংস্কৃতির চড়াই-উতরাই’ ও ‘মুসলিম মানসের রূপান্তর’ প্রবন্ধ সংকলনে। যেখানে তিনি তুলে এনেছেন ভাবনার দুয়ার, চিন্তার মনোজগৎ।
জীবনবাদী এই কথাসাহিত্যিকের জন্ম ১৯১৭ সালের ২ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের হুগলির সবলসিংহপুর গ্রামে।
শওকত ওসমান একাধারে ছিলেন ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, শিশুসাহিত্যিক ও অনুবাদক। তাঁর পারিবারিক নাম ছিল শেখ আজিজুর রহমান।
১৯৩৩ সালে ১৬ বছর বয়সে পশ্চিমবঙ্গের হুগলির সবলসিংহপুরের জুনিয়র মাদ্রাসা থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়ে ভর্তি হয়েছিলেন কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসায়। পরিবারে তখন ভীষণ অভাব। মা তাঁর নিজের গয়না তুলে দিয়েছিলেন পড়াশোনা করার জন্য। মাদ্রাসার পড়াশোনা ছেড়ে ১৯৩৪ সালে আইএ ভর্তি হন কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে। এ সময় পড়াশোনার খরচ চালাতে সকাল-সন্ধ্যা টিউশনি করতেন। কিছু টাকা বাড়িতেও পাঠাতেন।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে স্নাতক শেষ করে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে ভর্তি হন। সেখান থেকে বাংলায় এমএ পাস করার পর কলকাতার গভর্নমেন্ট কমার্শিয়াল কলেজে প্রভাষক পদে যোগ দেন তিনি।
দেশভাগের পর তৎকালীন পূর্ব বাংলায় চলে আসেন। সাহিত্যজীবনের প্রারম্ভিক পর্বে কবিতা, গল্প ও শিশুসাহিত্যে সক্রিয় হলেও ক্রমেই নিপীড়িত মানুষের জীবনকাহিনি তুলে ধরেন উপন্যাসের মাধ্যমে। ১৯৫৮ সালে প্রকাশিত হয় শওকত ওসমানের উপন্যাস ‘জননী’। সে বছরই অধ্যাপক হিসেবে ঢাকা কলেজে যোগ দেন তিনি। ১৯৬৩ সালে তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস ‘ক্রীতদাসের হাসি’ প্রকাশিত হয়।
গল্প, কবিতা, উপন্যাস, প্রবন্ধ-নিবন্ধ, অনুবাদ, নাটক, দিনলিপি, স্মৃতিকথা, আত্মজীবনী ইত্যাদি মিলিয়ে বিপুল গ্রন্থের প্রণেতা হয়েও নিজেকে তিনি বলতেন ‘ঝাড়ুদার গ্রন্থকার’। কারণ, তাঁর আমৃত্যু ব্রত ছিল সাহিত্যসাধনার মধ্য দিয়ে ‘এই ক্লিষ্ট দুনিয়ার/ সব ময়লা করব সাফ’।
তাঁর উঁচুমানের প্রাবন্ধিক ভাবনার পরিচয় পাওয়া যায় ‘ভাব, ভাষা ও ভাবনা’, ‘সংস্কৃতির চড়াই-উতরাই’ ও ‘মুসলিম মানসের রূপান্তর’ প্রবন্ধ সংকলনে। যেখানে তিনি তুলে এনেছেন ভাবনার দুয়ার, চিন্তার মনোজগৎ।
জীবনবাদী এই কথাসাহিত্যিকের জন্ম ১৯১৭ সালের ২ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের হুগলির সবলসিংহপুর গ্রামে।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১০ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫