Ajker Patrika

বিনা দোষে জেল খাটা নজরুল বাঁচতে চান

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ জানুয়ারি ২০২২, ১৩: ১৬
বিনা দোষে জেল খাটা নজরুল বাঁচতে চান

শ্যামনগরের বিনা দোষে জেল খাটা সেই নজরুল এখন বাঁচতে চান। ১৯৮০ ১৩ বছর। এ বয়সে পায়ে সাড়ে সাত কেজি ওজনের ডান্ডাবেড়ি পরে শুরু হয় জেল খাটা। বিনা দোষে তাঁকে ১২ বছর ১৮ দিন জেল খাটতে হয়। পরে আদালত সরকারকে তাঁর ক্ষতিপূরণ দেওয়া এবং একই সঙ্গে তাঁর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু তা আজও প্রতিপালিত হয়নি।

সেই নজরুল এখন শয্যাশায়ী। তাঁর শরীরের কোমর থেকে নিচের অংশ পুরোপুরি চেতনাহীন হয়ে গেছে। স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে তিনি মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। নেই ওষুধপত্র কেনার টাকা-পয়সা। এ অবস্থায় তিনি বাঁচার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

নজরুল ইসলাম জানান, তিনি ১৩ বছর বয়সে কাজের সন্ধানে বের হন। এরপর খুলনার আবদুল মোতালেবের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়। মোতালেব তাঁকে একটি রিকশা কিনে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে তিনি তাঁর বাড়িতে যান। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখেন বাড়িতে মোতালেবকে পুলিশ আগের রাতে গ্রেপ্তার করেছে। বাড়ি থেকে বের হয়ে রাস্তায় নামতেই পুলিশ তাঁকে মোতালেবের সহযোগী সন্দেহে আটক করে। এবং পরবর্তীতে রিমান্ডে নেয়। পরে ১৯৯২ সালের ১৫ ডিসেম্বর আদালত তাঁকে মুক্তি দেন। একই সঙ্গে সরকারকে তার ক্ষতিপূরণ ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেওয়ার নির্দেশ দেন।

কিন্তু সে সময় সরকার এ ব্যাপারে কিছুই না করলেও আরব বাংলাদেশ ব্যাংক তাঁকে পিয়নের চাকরি দেয়। কিন্তু বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা এতটাই খারাপ যে তিনি আর চাকরি করতে পারছেন না। তাঁকে থেরাপি দিয়ে বাঁচিয়ে রাখতে হচ্ছে। পরিবারের পক্ষে তাকে আর হাসপাতালে চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছে না।

নজরুল প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘আমার কোনো দোষ ছিল না। অথচ মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে ১২ বছর জেলে রাখা হয়েছে। রিমান্ডের নামে কিশোর বয়সে আমার ওপর অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে। তবুও সরকার আমাকে কোনো ক্ষতিপূরণ দেয়নি। এখন বিনয়ের সঙ্গে আপনার কাছে আবেদন আমার জীবন রক্ষা করুন’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত