Ajker Patrika

কিয়েভকে অস্ত্র না দিতে হুঁশিয়ারি মস্কোর

আজকের পত্রিকা ডেস্ক
আপডেট : ১৭ এপ্রিল ২০২২, ১১: ৪৬
কিয়েভকে অস্ত্র না দিতে হুঁশিয়ারি মস্কোর

ইউক্রেনের যুদ্ধ স্পষ্টত নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পরিকল্পনা ‘এ’ ব্যর্থ হওয়ার পর এই পর্যায় পরিকল্পনা ‘বি’ বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে রুশ সেনাবাহিনী। আর ‘এ’-এর মতো দ্বিতীয় পরিকল্পনা ‘বি’কেও ব্যর্থ করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে ইউক্রেনের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো। এ জন্য ইউক্রেনে অস্ত্র সহায়তা বাড়িয়েছে দেশগুলো।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট জানায়, ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তা বন্ধ করতে গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সদস্যদের প্রতি একটি বিশেষ কূটনৈতিক চিঠি দিয়েছে মস্কো। এতে বলা হয়, যুদ্ধ শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ বাড়িয়েছে, যা চলমান যুদ্ধে ঘি ঢালছে। ওয়াশিংটন ও তার মিত্রদের এসব অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করতে হবে। অন্যতায়, ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে।

রয়টার্স জানায়, এ চিঠির খবর বের হওয়ার দিনই গত বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কৃষ্ণসাগরে ডুবে গেছে রাশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ রণতরী। এতে বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিরোধের বিভিন্ন ব্যবস্থা ছিল। নৌসেনা সদস্য ছিল প্রায় ৫০০। গত ৪০ বছরে প্রতিপক্ষের হামলা এত বড় রণতরী ডুবে যাওয়ার এটাই প্রথম ঘটনা।

রণতরীটি ডুবে যাওয়ার পর রাশিয়ার সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ওয়ানে বলা হয়, রণতরী ‘মস্কভা’ আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। শুধু ইউক্রেন নয়, যারা ইউক্রেনকে লাগাতার মদদ দিয়ে যাচ্ছে, যুদ্ধের পরিসমাপ্তি বিলম্বিত করছে, তাদেরও এর ফল ভোগ করতে হবে।

নিউইয়র্ক টাইমসের এক বিশ্লেষণে বলা হয়, চলতি মাসের শুরু থেকে রুশ সেনারা ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের আশপাশ থেকে সরে গিয়ে দক্ষিণ ও পূর্বদিকের দনবাস অঞ্চলে মনোযোগ বাড়িয়েছে। যুদ্ধের ইতি টানার জন্য আপাতদৃষ্টিতে এটাকে ইতিবাচক ভাবা হয়েছিল। কিন্তু আসলে তা নয়।

কারণ, এরপর থেকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘের মতো আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোকে কাজে লাগানো হচ্ছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা থেকে রাশিয়াকে বের করে দেওয়া হয়েছে। সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের ন্যাটোর যোগদানের আলোচনা বেড়েছে।

এসব কিছু মাথায় নিয়েই ইউক্রেন যুদ্ধের বর্তমান অবস্থা বিবেচনা করতে হবে। এ অবস্থায় অল্প সময়ে দনবাসের স্বঘোষিত গণপ্রজাতন্ত্রী লুহানস্ক ও দনেস্কে স্বাধীন করতে মরণ কামড় দেবে রাশিয়া।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হরমুজ প্রণালিতে প্রবেশ করে ইউটার্ন নিল দুটি জাহাজ

ইসরায়েলে ২০ লাখ রুশভাষীর বাস, রাশিয়াকে তাঁদের কথা ভাবতে হয়: পুতিন

গুমে জড়িত ছিল ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা: গুম কমিশনের প্রতিবেদন

ইরানের হামলার তীব্র নিন্দা কাতারের, পাল্টা জবাবের হুঁশিয়ারি

মধ্যপ্রাচ্যের চার দেশে পরবর্তী ঘোষণার আগপর্যন্ত বাংলাদেশি সব ফ্লাইট বাতিল

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত