শাহীন রহমান, পাবনা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নে চেত্রা নদীর ওপর প্রায় ৭০০ ফুট দীর্ঘ বাঁশের সাঁকোটির নির্মাণকাজ আবার গত শুক্রবার শুরু হয়েছে। এতে খরচ হবে প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা।
গত পাঁচ দশক ধরে এই নদীর ওপর একটি পাকা সেতুর দাবি জানিয়ে আসছেন এলাকাবাসী। তাঁরা গেছেন জনপ্রতিনিধিদের কাছে। জনপ্রতিনিধিরা দৌড়াদৌড়ি করেছেন সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। এতে বড় অভিমান হয় এলাকাবাসীর। তাই প্রায় ২৭ বছর আগে তাঁরা নিজেরাই উদ্যোগ নেন বাঁশের সাঁকোটি নির্মাণের। এরপর থেকে নিয়মিত চলছে পুনর্নির্মাণ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাঁকোটি ব্যবহার করা হয় প্রতিবছর অক্টোবর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত। বাকি মাসগুলো নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় খুলে ফেলা হয়। বর্তমানে নদীর পানি কমছে। তাই সাঁকোটি পুনর্নির্মাণ শুরু হয়েছে। ১৫ জন শ্রমিকের রাত-দিন পরিশ্রমে আগামী এক মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে নির্মাণকাজ।
প্রথমবার এই বাঁশের সাঁকো তৈরিতে খরচ হয়েছিল প্রায় ৭ লাখ টাকা। এরপর থেকে প্রতিবছর পুনর্নির্মাণে খরচ হয় প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা। এ সময় আগের সাঁকোর পুরোনো কিছু বাঁশ, কাঠসহ নানা সামগ্রী ব্যবহার করা হয়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সাঁকোটি ব্যবহার করেন অরুয়াইল ইউনিয়নের অরুয়াইল, রানীদিয়া, কাকরিয়া, চর-কাকরিয়া, রাজাপুর, বুনিয়ারটেক, ধামাউড়া, দুবাজাইল, সিঙ্গাপুর এবং পাকশিমুল ইউনিয়নের পাকশিমুল, ফতেহপুর, পরমান্দপুর, হরিপুর, ষাটবাড়িয়া এবং বড়ইছাড়াসহ অন্তত ২০ গ্রামের মানুষ। এ ছাড়া অরুয়াইল ও পাকশিমুল ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব ও বাজিতপুর উপজেলার কয়েকটি গ্রামের মানুষও ব্যবহার করেন এই সাঁকো। এসব গ্রামে এক লাখের বেশি মানুষের বসবাস। এসব গ্রামের মানুষের অর্থনীতির প্রধান কেন্দ্র অরুয়াইল বাজার। সেখানে রয়েছে সহস্রাধিক দোকানপাট। অরুয়াইল বাজার ও আশপাশেই রয়েছে কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
কিন্তু সেখানে একটি স্থায়ী সেতু না থাকায় দুর্ভোগের অন্ত নেই কৃষিনির্ভর এই এলাকার মানুষের। তাঁরা শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ নানা দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়েছেন। তাই এলাকাবাসী বাধ্য হয়ে বাঁশের এই দীর্ঘ সাঁকো তৈরি করে নিয়েছেন।
রাণীদিয়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আবুল কালাম বলেন, বাঁশের সাঁকোটি তৈরি না করলে তাঁদের যাতায়াতে অনেক অসুবিধা হতো।
অরুয়াইল ইউপির চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে এলাকাবাসী এখানে সেতুর দাবি করে আসছে। কিন্তু এখনো সেতু হয়নি। ফলে মুমূর্ষু রোগী, প্রসূতি, নবজাতক ও বৃদ্ধদের নিয়ে বিপাকে পড়েন এলাকাবাসী। তিনি বলেন, ‘আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকেই চেত্রা নদীর ওপর পাকা সেতু করার লক্ষ্যে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে দৌড়াদৌড়ি করছি। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।’
এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান বলেন, চেত্রা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঢাকা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। ঢাকা থেকে কাগজপত্র যাবে চট্টগ্রাম। প্রয়োজনীয় অনুমোদনের পরই সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হবে। তবে এই অনুমোদন কবে মিলবে, নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নে চেত্রা নদীর ওপর প্রায় ৭০০ ফুট দীর্ঘ বাঁশের সাঁকোটির নির্মাণকাজ আবার গত শুক্রবার শুরু হয়েছে। এতে খরচ হবে প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা।
গত পাঁচ দশক ধরে এই নদীর ওপর একটি পাকা সেতুর দাবি জানিয়ে আসছেন এলাকাবাসী। তাঁরা গেছেন জনপ্রতিনিধিদের কাছে। জনপ্রতিনিধিরা দৌড়াদৌড়ি করেছেন সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। এতে বড় অভিমান হয় এলাকাবাসীর। তাই প্রায় ২৭ বছর আগে তাঁরা নিজেরাই উদ্যোগ নেন বাঁশের সাঁকোটি নির্মাণের। এরপর থেকে নিয়মিত চলছে পুনর্নির্মাণ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাঁকোটি ব্যবহার করা হয় প্রতিবছর অক্টোবর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত। বাকি মাসগুলো নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় খুলে ফেলা হয়। বর্তমানে নদীর পানি কমছে। তাই সাঁকোটি পুনর্নির্মাণ শুরু হয়েছে। ১৫ জন শ্রমিকের রাত-দিন পরিশ্রমে আগামী এক মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে নির্মাণকাজ।
প্রথমবার এই বাঁশের সাঁকো তৈরিতে খরচ হয়েছিল প্রায় ৭ লাখ টাকা। এরপর থেকে প্রতিবছর পুনর্নির্মাণে খরচ হয় প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা। এ সময় আগের সাঁকোর পুরোনো কিছু বাঁশ, কাঠসহ নানা সামগ্রী ব্যবহার করা হয়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সাঁকোটি ব্যবহার করেন অরুয়াইল ইউনিয়নের অরুয়াইল, রানীদিয়া, কাকরিয়া, চর-কাকরিয়া, রাজাপুর, বুনিয়ারটেক, ধামাউড়া, দুবাজাইল, সিঙ্গাপুর এবং পাকশিমুল ইউনিয়নের পাকশিমুল, ফতেহপুর, পরমান্দপুর, হরিপুর, ষাটবাড়িয়া এবং বড়ইছাড়াসহ অন্তত ২০ গ্রামের মানুষ। এ ছাড়া অরুয়াইল ও পাকশিমুল ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব ও বাজিতপুর উপজেলার কয়েকটি গ্রামের মানুষও ব্যবহার করেন এই সাঁকো। এসব গ্রামে এক লাখের বেশি মানুষের বসবাস। এসব গ্রামের মানুষের অর্থনীতির প্রধান কেন্দ্র অরুয়াইল বাজার। সেখানে রয়েছে সহস্রাধিক দোকানপাট। অরুয়াইল বাজার ও আশপাশেই রয়েছে কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
কিন্তু সেখানে একটি স্থায়ী সেতু না থাকায় দুর্ভোগের অন্ত নেই কৃষিনির্ভর এই এলাকার মানুষের। তাঁরা শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ নানা দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়েছেন। তাই এলাকাবাসী বাধ্য হয়ে বাঁশের এই দীর্ঘ সাঁকো তৈরি করে নিয়েছেন।
রাণীদিয়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আবুল কালাম বলেন, বাঁশের সাঁকোটি তৈরি না করলে তাঁদের যাতায়াতে অনেক অসুবিধা হতো।
অরুয়াইল ইউপির চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে এলাকাবাসী এখানে সেতুর দাবি করে আসছে। কিন্তু এখনো সেতু হয়নি। ফলে মুমূর্ষু রোগী, প্রসূতি, নবজাতক ও বৃদ্ধদের নিয়ে বিপাকে পড়েন এলাকাবাসী। তিনি বলেন, ‘আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকেই চেত্রা নদীর ওপর পাকা সেতু করার লক্ষ্যে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে দৌড়াদৌড়ি করছি। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।’
এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান বলেন, চেত্রা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঢাকা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। ঢাকা থেকে কাগজপত্র যাবে চট্টগ্রাম। প্রয়োজনীয় অনুমোদনের পরই সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হবে। তবে এই অনুমোদন কবে মিলবে, নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫