বরগুনা ও পাথরঘাটা প্রতিনিধি
৪২ বছরের পুরোনো জরাজীর্ণ ভবনে চলছে দেশের বৃহত্তম পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের কার্যক্রম। ঝুঁকি নিয়ে সেখানে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালাচ্ছেন মাছ ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া ব্যবসায়ী ও জেলের সংখ্যা বাড়ার ফলে অবতরণ কেন্দ্রের অকশন শেডে মাছ কেনাবেচার জন্য স্থান সংকুলান হচ্ছে না। ফলে মাছ বেচাকেনা নিয়ে বিপাকে রয়েছেন মৎস্য ব্যবসায়ীরা।
বিএফডিসি পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র কার্যালয়ের তথ্যমতে, উপকূলীয় জেলেদের মাছ বিক্রি সহজ করতে ১৯৮১ সালের ১৯ মার্চ এ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র নির্মাণ করেন তৎকালীন সরকার। এই মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটি দেশের সর্ববৃহৎ। এখানে মোট ২৬৭ জন আড়তদার দুই শতাধিক ক্ষুদ্র পাইকার মৎস্য ব্যবসায় যুক্ত আছেন। এ ছাড়া অবতরণ কেন্দ্রের দ্বিতীয় তলায় আড়তদার রয়েছেন ৩৭ জন। সামনের দুটি টলঘরে মাছ কেনাবেচা করছেন আরও ১২ জন পাইকার। চার শতাধিক আড়তদার-পাইকার মাছ কেনাবেচা ও প্যাকেজিং করছেন খোলা আকাশের নিচে। জেলেদের বিক্রি করা মাছের প্রতি ১০০ টাকায় ১.২৫ পয়সা রাজস্ব পায় সরকার।
ট্রলার মালিক ও জেলেরা বলছেন, ঘাটের ছোট পন্টুনে একসঙ্গে ১০টির বেশি ট্রলার ভিড়তে পারছে না। ফলে মাছ অবতরণের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় জেলেদের। প্রতিদিনই বাড়ছে ট্রলার, বাড়ছে জেলের সংখ্যা। ট্রলার মালিক এনামুল হোসাইন বলেন, ‘মাছভর্তি ট্রলার ঘাটে নোঙর ও আনলোড করতে তাঁদেরও অপেক্ষা করতে হচ্ছে এক থেকে দুই দিন। কখনো পচে যাচ্ছে মাছ, আবার পচার হাত থেকে রক্ষা করতে কিনতে হচ্ছে বাড়তি বরফ।’
আড়তদার সেন্টু খান বলেন, ‘পাথরঘাটা থেকে ইলিশ মাছ কিনে ঢাকা, রাজশাহী, কুমিল্লা, রংপুরে পাঠাই। ব্যবসায়ীর সংখ্যা বেড়েছে, জায়গা বাড়েনি। যে কারণে আমার বরাদ্দকৃত জায়গা থেকে কমিয়ে নিতে বলা হয়েছে। পরে ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে ভবনের বাইরে জায়গা নিয়ে খোলা আকাশের নিচেই মাছ কেনাবেচা করছি।’
পাইকারি ব্যবসায়ী সুলতান ফরাজী বলেন, ‘স্থান সংকটের কারণে মাছ কিনে মাপতে, বরফ দিয়ে আবার প্যাকেট করতে প্রচুর জায়গার দরকার হয়। এরপর সেসব মাছ ট্রাকে ওঠাতেও প্রচুর স্থান দরকার। কিন্তু স্থান সংকটে এখন চরম ভোগান্তিতে পড়েছি।’
আড়তদার সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘একাধিকবার লিখিতভাবে অবতরণ কেন্দ্রের কর্তাদের কাছে স্থান নির্ধারণ ও ভবন তৈরি করে দিতে আবেদন করলেও কর্মকর্তার পর কর্মকর্তার বদলি হয়ে যায়, কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়নি।’
বাংলাদেশ মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ‘নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, মাদারীপুর, বাগেরহাট, ঝালকাঠিসহ দেশের বিভিন্ন জেলার জেলেরা মাছ শিকার করে বিক্রি করতে আসেন এই ঘাটে। দিন দিন ট্রলারের সংখ্যা বেড়েছে পাঁচ গুণ। সপ্তাহে গড়ে চার থেকে পাঁচ হাজার মাছবোঝাই ট্রলার আসে এখানে। একটি ট্রলার থেকে মাছ নামাতে অন্তত এক ঘণ্টা সময় লাগে। একই সঙ্গে ১৪-১৬টি ট্রলার ঘাটের পন্টুনে অবতরণ করে। যখন সাগরে মাছ বেশি হয়, তখন ঘাটে আনলোড করতে আসা মাছবোঝাই ট্রলারগুলো এক থেকে দুই দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করে। এ কারণে অনেক মাছ ট্রলারেই পচে যায়।’
পাথরঘাটা মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক লে. লুৎফর রহমান বলেন, ‘আমি যোগদানের পর ব্যবসায়ীদের ভোগান্তির বিষয়টি জানতে পেরে নতুন করে টলঘর নির্মাণ, ট্রলার ভেড়ানোর জন্য নতুন আরও একটি পন্টুন স্থাপন করার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’
৪২ বছরের পুরোনো জরাজীর্ণ ভবনে চলছে দেশের বৃহত্তম পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের কার্যক্রম। ঝুঁকি নিয়ে সেখানে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালাচ্ছেন মাছ ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া ব্যবসায়ী ও জেলের সংখ্যা বাড়ার ফলে অবতরণ কেন্দ্রের অকশন শেডে মাছ কেনাবেচার জন্য স্থান সংকুলান হচ্ছে না। ফলে মাছ বেচাকেনা নিয়ে বিপাকে রয়েছেন মৎস্য ব্যবসায়ীরা।
বিএফডিসি পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র কার্যালয়ের তথ্যমতে, উপকূলীয় জেলেদের মাছ বিক্রি সহজ করতে ১৯৮১ সালের ১৯ মার্চ এ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র নির্মাণ করেন তৎকালীন সরকার। এই মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটি দেশের সর্ববৃহৎ। এখানে মোট ২৬৭ জন আড়তদার দুই শতাধিক ক্ষুদ্র পাইকার মৎস্য ব্যবসায় যুক্ত আছেন। এ ছাড়া অবতরণ কেন্দ্রের দ্বিতীয় তলায় আড়তদার রয়েছেন ৩৭ জন। সামনের দুটি টলঘরে মাছ কেনাবেচা করছেন আরও ১২ জন পাইকার। চার শতাধিক আড়তদার-পাইকার মাছ কেনাবেচা ও প্যাকেজিং করছেন খোলা আকাশের নিচে। জেলেদের বিক্রি করা মাছের প্রতি ১০০ টাকায় ১.২৫ পয়সা রাজস্ব পায় সরকার।
ট্রলার মালিক ও জেলেরা বলছেন, ঘাটের ছোট পন্টুনে একসঙ্গে ১০টির বেশি ট্রলার ভিড়তে পারছে না। ফলে মাছ অবতরণের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় জেলেদের। প্রতিদিনই বাড়ছে ট্রলার, বাড়ছে জেলের সংখ্যা। ট্রলার মালিক এনামুল হোসাইন বলেন, ‘মাছভর্তি ট্রলার ঘাটে নোঙর ও আনলোড করতে তাঁদেরও অপেক্ষা করতে হচ্ছে এক থেকে দুই দিন। কখনো পচে যাচ্ছে মাছ, আবার পচার হাত থেকে রক্ষা করতে কিনতে হচ্ছে বাড়তি বরফ।’
আড়তদার সেন্টু খান বলেন, ‘পাথরঘাটা থেকে ইলিশ মাছ কিনে ঢাকা, রাজশাহী, কুমিল্লা, রংপুরে পাঠাই। ব্যবসায়ীর সংখ্যা বেড়েছে, জায়গা বাড়েনি। যে কারণে আমার বরাদ্দকৃত জায়গা থেকে কমিয়ে নিতে বলা হয়েছে। পরে ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে ভবনের বাইরে জায়গা নিয়ে খোলা আকাশের নিচেই মাছ কেনাবেচা করছি।’
পাইকারি ব্যবসায়ী সুলতান ফরাজী বলেন, ‘স্থান সংকটের কারণে মাছ কিনে মাপতে, বরফ দিয়ে আবার প্যাকেট করতে প্রচুর জায়গার দরকার হয়। এরপর সেসব মাছ ট্রাকে ওঠাতেও প্রচুর স্থান দরকার। কিন্তু স্থান সংকটে এখন চরম ভোগান্তিতে পড়েছি।’
আড়তদার সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘একাধিকবার লিখিতভাবে অবতরণ কেন্দ্রের কর্তাদের কাছে স্থান নির্ধারণ ও ভবন তৈরি করে দিতে আবেদন করলেও কর্মকর্তার পর কর্মকর্তার বদলি হয়ে যায়, কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়নি।’
বাংলাদেশ মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ‘নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, মাদারীপুর, বাগেরহাট, ঝালকাঠিসহ দেশের বিভিন্ন জেলার জেলেরা মাছ শিকার করে বিক্রি করতে আসেন এই ঘাটে। দিন দিন ট্রলারের সংখ্যা বেড়েছে পাঁচ গুণ। সপ্তাহে গড়ে চার থেকে পাঁচ হাজার মাছবোঝাই ট্রলার আসে এখানে। একটি ট্রলার থেকে মাছ নামাতে অন্তত এক ঘণ্টা সময় লাগে। একই সঙ্গে ১৪-১৬টি ট্রলার ঘাটের পন্টুনে অবতরণ করে। যখন সাগরে মাছ বেশি হয়, তখন ঘাটে আনলোড করতে আসা মাছবোঝাই ট্রলারগুলো এক থেকে দুই দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করে। এ কারণে অনেক মাছ ট্রলারেই পচে যায়।’
পাথরঘাটা মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক লে. লুৎফর রহমান বলেন, ‘আমি যোগদানের পর ব্যবসায়ীদের ভোগান্তির বিষয়টি জানতে পেরে নতুন করে টলঘর নির্মাণ, ট্রলার ভেড়ানোর জন্য নতুন আরও একটি পন্টুন স্থাপন করার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪