রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি
নরসিংদীর রায়পুরায় মুছাপুর ইউনিয়নের পূর্ব হরিপুর গ্রামের দাইড়ের পার খালের ওপর সেতু না থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন কয়েক হাজার মানুষ। এখানে সেতু নির্মাণ হলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক থেকে পুরোনো ব্রহ্মপুত্রের পাশ দিয়ে চলা আলগীবাজার পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার সড়ক যান চলাচলের উপযোগী হয়ে উঠবে। অন্যদিকে প্রশাসন বলছে, ব্যক্তিগত জমি পড়ে যাওয়ায় স্থানীয় কয়েক ব্যক্তির বিরোধিতায় সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করেও বন্ধ করে দিতে হয়। পুনরায় কাজ শুরুর জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। দ্রুত দরপত্র আহ্বান করা হবে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খালের পাশে ইট-বালি ও পুরোনো রড পড়ে আছে। দুই পাশে বেশ বড় গর্ত। কয়েকজন হেঁটে এপার থেকে ওপারে যাচ্ছেন। মূল সড়কে ওঠানোর জন্য রিকশায় ঠেলা দিচ্ছেন এক যাত্রী। পথচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সেতু না থাকার কারণে পার্শ্ববর্তী উপজেলা ভৈরবের সঙ্গে সরাসরি আসা-যাওয়া করতে পারছেন না কয়েক গ্রামের মানুষ। এখানে সেতু নির্মাণ করা হলে মুছাপুর ও মহেষপুর ইউনিয়নের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থার অনেক উন্নতি হবে। এই গ্রামগুলোতে ধান, পাট, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন শাকসবজির চাষ হয়। এখানকার কৃষকেরা যাতায়াতব্যবস্থা সাবলীল না থাকায় উৎপাদিত ফসল বাজারে নিতে পারেন না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এলাকাবাসীর চাহিদার কথা বিবেচনায় প্রায় তিন বছর আগে খালের ওপর ৬৬ মিটার সেতু নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা বাজেটে তারেক নামের এক ঠিকাদার কাজটি বুঝে নেন। কাজ শুরু করার পর আবু হেনিফা নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা নিজের জমির ওপর সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে দাবি করেন। তিনি ৬৬ মিটার না করে ৩৫ থেকে ৪০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতু নির্মাণের দাবি জানান। এ নিয়ে দীর্ঘদিন জমির মালিক ও স্থানীয়দের সঙ্গে জনপ্রতিনিধিসহ প্রশাসনের লোকজন আলোচনা করেন কিন্তু কোনো সমাধান করতে পারেননি। প্রায় দুই বছর অপেক্ষার পর কর্তৃপক্ষ সেতু নির্মাণের কাজ বাতিল করে।
সেতুর নির্মাণকাজ বন্ধের আবেদন করেছিলেন আবু হেনিফা। তিনি বলেন, ‘মাহমুদাবাদ থেকে আলগীবাজার পর্যন্ত সড়কের মধ্যে খালের ওপর নির্মিত সেতুটি আমার জমিতে পড়ে। এখানে সেতু নির্মাণ করা হলে আমার ২০ শতাংশ জমি নষ্ট হবে। বড় সেতু নির্মাণ করা হলে একটি মসজিদ ও উত্তর পাশে গ্রামীণ রাস্তার সংযোগ সড়কে চলাচলে ব্যাঘাত ঘটবে। তাই সেতুটি ছোট করে নির্মাণের দাবি করেছি।’
স্থানীয় বাসিন্দা বাবুল মিয়া বলেন, ‘৬৬ মিটার দৈর্ঘ্যের না করে ৩৫ থেকে ৪০ মিটার সেতু নির্মাণের দাবি করেছি। কারণ খালের ওপর আমাদের জমি রয়েছে। তার পরেও জনস্বার্থে আমরা দিতে রাজি, তবে ছোট হলে সমস্যা নেই।’
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পুনরায় সেতু নির্মাণের জন্য সেতু নির্মাণের স্থান পরিদর্শন করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একটি প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
জানতে চাইলে উপজেলার প্রধান প্রকৌশলী শামীম ইকবাল মুন্না বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সেতুটি ছোট করার জন্য প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সেতুটি নির্মাণের জন্য দ্রুত দরপত্র আহ্বান করাসহ সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।’
নরসিংদীর রায়পুরায় মুছাপুর ইউনিয়নের পূর্ব হরিপুর গ্রামের দাইড়ের পার খালের ওপর সেতু না থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন কয়েক হাজার মানুষ। এখানে সেতু নির্মাণ হলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক থেকে পুরোনো ব্রহ্মপুত্রের পাশ দিয়ে চলা আলগীবাজার পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার সড়ক যান চলাচলের উপযোগী হয়ে উঠবে। অন্যদিকে প্রশাসন বলছে, ব্যক্তিগত জমি পড়ে যাওয়ায় স্থানীয় কয়েক ব্যক্তির বিরোধিতায় সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করেও বন্ধ করে দিতে হয়। পুনরায় কাজ শুরুর জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। দ্রুত দরপত্র আহ্বান করা হবে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খালের পাশে ইট-বালি ও পুরোনো রড পড়ে আছে। দুই পাশে বেশ বড় গর্ত। কয়েকজন হেঁটে এপার থেকে ওপারে যাচ্ছেন। মূল সড়কে ওঠানোর জন্য রিকশায় ঠেলা দিচ্ছেন এক যাত্রী। পথচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সেতু না থাকার কারণে পার্শ্ববর্তী উপজেলা ভৈরবের সঙ্গে সরাসরি আসা-যাওয়া করতে পারছেন না কয়েক গ্রামের মানুষ। এখানে সেতু নির্মাণ করা হলে মুছাপুর ও মহেষপুর ইউনিয়নের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থার অনেক উন্নতি হবে। এই গ্রামগুলোতে ধান, পাট, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন শাকসবজির চাষ হয়। এখানকার কৃষকেরা যাতায়াতব্যবস্থা সাবলীল না থাকায় উৎপাদিত ফসল বাজারে নিতে পারেন না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এলাকাবাসীর চাহিদার কথা বিবেচনায় প্রায় তিন বছর আগে খালের ওপর ৬৬ মিটার সেতু নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা বাজেটে তারেক নামের এক ঠিকাদার কাজটি বুঝে নেন। কাজ শুরু করার পর আবু হেনিফা নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা নিজের জমির ওপর সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে দাবি করেন। তিনি ৬৬ মিটার না করে ৩৫ থেকে ৪০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতু নির্মাণের দাবি জানান। এ নিয়ে দীর্ঘদিন জমির মালিক ও স্থানীয়দের সঙ্গে জনপ্রতিনিধিসহ প্রশাসনের লোকজন আলোচনা করেন কিন্তু কোনো সমাধান করতে পারেননি। প্রায় দুই বছর অপেক্ষার পর কর্তৃপক্ষ সেতু নির্মাণের কাজ বাতিল করে।
সেতুর নির্মাণকাজ বন্ধের আবেদন করেছিলেন আবু হেনিফা। তিনি বলেন, ‘মাহমুদাবাদ থেকে আলগীবাজার পর্যন্ত সড়কের মধ্যে খালের ওপর নির্মিত সেতুটি আমার জমিতে পড়ে। এখানে সেতু নির্মাণ করা হলে আমার ২০ শতাংশ জমি নষ্ট হবে। বড় সেতু নির্মাণ করা হলে একটি মসজিদ ও উত্তর পাশে গ্রামীণ রাস্তার সংযোগ সড়কে চলাচলে ব্যাঘাত ঘটবে। তাই সেতুটি ছোট করে নির্মাণের দাবি করেছি।’
স্থানীয় বাসিন্দা বাবুল মিয়া বলেন, ‘৬৬ মিটার দৈর্ঘ্যের না করে ৩৫ থেকে ৪০ মিটার সেতু নির্মাণের দাবি করেছি। কারণ খালের ওপর আমাদের জমি রয়েছে। তার পরেও জনস্বার্থে আমরা দিতে রাজি, তবে ছোট হলে সমস্যা নেই।’
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পুনরায় সেতু নির্মাণের জন্য সেতু নির্মাণের স্থান পরিদর্শন করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একটি প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
জানতে চাইলে উপজেলার প্রধান প্রকৌশলী শামীম ইকবাল মুন্না বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সেতুটি ছোট করার জন্য প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সেতুটি নির্মাণের জন্য দ্রুত দরপত্র আহ্বান করাসহ সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।’
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৬ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৬ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৬ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫