মুফতি আবু দারদা
মিরাজ মহানবী (সা.)-এর জীবনের অন্যতম সেরা অলৌকিক ঘটনা। এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা তাঁকে সংক্ষিপ্ততম সময়ে বিশেষ ব্যবস্থায় মক্কা থেকে বায়তুল মুকাদ্দাস, সেখান থেকে সাত আসমানের ওপরে আরশ, কুরসি, সিদরাতুল মুনতাহা, জান্নাত, জাহান্নাম ভ্রমণ করিয়েছেন। সেখানে মহান আল্লাহর সান্নিধ্যলাভেরও সৌভাগ্য হয় তাঁর। এই ভ্রমণেই পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের বিধান দিয়েছেন আল্লাহ তাআলা।
মিরাজ সম্পর্কে কোরআন-হাদিসে বর্ণিত বিষয়গুলোর প্রতি বিশ্বাস রাখা মুমিনের ইমানের দাবি। তবে মিরাজকে ঘিরে বিভিন্ন ধরনের ভিত্তিহীন আমল ও বেশ কিছু বানোয়াট কথা সমাজে প্রচলিত রয়েছে। যেমন বলা হয়, নবী (সা.) এত দ্রুত সময়ে মিরাজ থেকে ফিরলেন যে বিছানার চাদর তখনো উষ্ণ ছিল, উপুড় করে রেখে যাওয়া পানির পাত্রটি থেকে মাটির ওপর ফোঁটা ফোঁটা পানি ঝরছিল, দরজার শিকল কাঁপছিল ইত্যাদি।
গবেষণায় দেখা গেছে, কোরআন-হাদিসে এসব কথার কোনো ভিত্তি নেই। মিরাজ সম্পর্কিত হাদিসগুলোতে এসব কথার উল্লেখ নেই। তাই এমন কথা প্রচার করা উচিত নয়। এ ক্ষেত্রে চাদর বলতে আরবি ‘মুলাআ’ শব্দটি বলা হয়েছে, যেটি একটি নতুন সংযোজিত শব্দ; মহানবী (সা.)-এর যুগে এটির প্রচলন ছিল না। মুলাআ বলতে বিছানার চাদর বা লুঙ্গি বোঝানো হয়। (লিসানুল আরব: ১/ ১৬০; আল-নিহায়া: ৪/ ৩৫২)
শাইখ শুকাইরি (রহ.) বলেন, ‘মহানবী (সা.)-এর রাতের বেলায় মিরাজে যাওয়া এবং ফিরে এসে বিছানা উষ্ণ পাওয়ার বিষয়টি সাব্যস্ত নয়; বরং এটি মানুষের বানানো মিথ্যা কথা।’ (আস-সুনান ওয়াল মুবতাদিআত: পৃ. ১৪৩)
একইভাবে মহানবী (সা.)-এর ঘরে দরজা বন্ধ রাখার জন্য শিকল ছিল—বিষয়টি প্রমাণিত নয়। বরং ইসলামের প্রথম যুগে ঘরের দরজাই থাকত না। যেমন পবিত্র কোরআনের সুরা নূরের ৬১ নম্বর আয়াত ‘তোমাদের নিজেদের জন্যও খাওয়াদাওয়া করতে দোষ নেই তোমাদের ঘরে...অথবা তোমাদের বন্ধুদের ঘরে।’ এর ব্যাখ্যায় আবদুর রহমান ইবনে যাইদ বলেন, ‘এটি ছিল ইসলামের প্রথম যুগে। তখন তাদের ঘরের দরজা থাকত না; পর্দা টানিয়ে রাখা হতো।’ (তাফসিরে তাবারি: ১৯/ ২২১)
এ ছাড়া হাদিস থেকে এ কথাও প্রমাণিত হয় যে মহানবী (সা.)-কে ছাদ খুলেই মিরাজে নেওয়া হয়। দরজা দিয়ে নয়। আনাস (রা.) বর্ণিত হাদিসে এসেছে, আবু জর বলতেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আমি তখন মক্কায় ছিলাম। আমার ঘরের ছাদ উন্মুক্ত হয়ে গেল এবং জিবরাইল এলেন। তিনি আমার বুক ফাড়লেন। এরপর সেটাকে জমজমের পানি দিয়ে ধৌত করলেন।...’ এভাবেই মিরাজের পুরো ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। (বুখারি: ৩৩৪২; মুসলিম: ১৬৩)
বোঝা গেল, জিবরাইল (আ.) সরাসরি ছাদের ছিদ্রপথ দিয়ে নবী (সা.)-কে নিয়ে মিরাজের ভ্রমণে বেরিয়েছেন; দরজা দিয়ে নয়। সুতরাং এই হাদিস থেকেও প্রমাণিত হয়, দরজার শিকল নড়ার কথা বানোয়াট।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
মিরাজ মহানবী (সা.)-এর জীবনের অন্যতম সেরা অলৌকিক ঘটনা। এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা তাঁকে সংক্ষিপ্ততম সময়ে বিশেষ ব্যবস্থায় মক্কা থেকে বায়তুল মুকাদ্দাস, সেখান থেকে সাত আসমানের ওপরে আরশ, কুরসি, সিদরাতুল মুনতাহা, জান্নাত, জাহান্নাম ভ্রমণ করিয়েছেন। সেখানে মহান আল্লাহর সান্নিধ্যলাভেরও সৌভাগ্য হয় তাঁর। এই ভ্রমণেই পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের বিধান দিয়েছেন আল্লাহ তাআলা।
মিরাজ সম্পর্কে কোরআন-হাদিসে বর্ণিত বিষয়গুলোর প্রতি বিশ্বাস রাখা মুমিনের ইমানের দাবি। তবে মিরাজকে ঘিরে বিভিন্ন ধরনের ভিত্তিহীন আমল ও বেশ কিছু বানোয়াট কথা সমাজে প্রচলিত রয়েছে। যেমন বলা হয়, নবী (সা.) এত দ্রুত সময়ে মিরাজ থেকে ফিরলেন যে বিছানার চাদর তখনো উষ্ণ ছিল, উপুড় করে রেখে যাওয়া পানির পাত্রটি থেকে মাটির ওপর ফোঁটা ফোঁটা পানি ঝরছিল, দরজার শিকল কাঁপছিল ইত্যাদি।
গবেষণায় দেখা গেছে, কোরআন-হাদিসে এসব কথার কোনো ভিত্তি নেই। মিরাজ সম্পর্কিত হাদিসগুলোতে এসব কথার উল্লেখ নেই। তাই এমন কথা প্রচার করা উচিত নয়। এ ক্ষেত্রে চাদর বলতে আরবি ‘মুলাআ’ শব্দটি বলা হয়েছে, যেটি একটি নতুন সংযোজিত শব্দ; মহানবী (সা.)-এর যুগে এটির প্রচলন ছিল না। মুলাআ বলতে বিছানার চাদর বা লুঙ্গি বোঝানো হয়। (লিসানুল আরব: ১/ ১৬০; আল-নিহায়া: ৪/ ৩৫২)
শাইখ শুকাইরি (রহ.) বলেন, ‘মহানবী (সা.)-এর রাতের বেলায় মিরাজে যাওয়া এবং ফিরে এসে বিছানা উষ্ণ পাওয়ার বিষয়টি সাব্যস্ত নয়; বরং এটি মানুষের বানানো মিথ্যা কথা।’ (আস-সুনান ওয়াল মুবতাদিআত: পৃ. ১৪৩)
একইভাবে মহানবী (সা.)-এর ঘরে দরজা বন্ধ রাখার জন্য শিকল ছিল—বিষয়টি প্রমাণিত নয়। বরং ইসলামের প্রথম যুগে ঘরের দরজাই থাকত না। যেমন পবিত্র কোরআনের সুরা নূরের ৬১ নম্বর আয়াত ‘তোমাদের নিজেদের জন্যও খাওয়াদাওয়া করতে দোষ নেই তোমাদের ঘরে...অথবা তোমাদের বন্ধুদের ঘরে।’ এর ব্যাখ্যায় আবদুর রহমান ইবনে যাইদ বলেন, ‘এটি ছিল ইসলামের প্রথম যুগে। তখন তাদের ঘরের দরজা থাকত না; পর্দা টানিয়ে রাখা হতো।’ (তাফসিরে তাবারি: ১৯/ ২২১)
এ ছাড়া হাদিস থেকে এ কথাও প্রমাণিত হয় যে মহানবী (সা.)-কে ছাদ খুলেই মিরাজে নেওয়া হয়। দরজা দিয়ে নয়। আনাস (রা.) বর্ণিত হাদিসে এসেছে, আবু জর বলতেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আমি তখন মক্কায় ছিলাম। আমার ঘরের ছাদ উন্মুক্ত হয়ে গেল এবং জিবরাইল এলেন। তিনি আমার বুক ফাড়লেন। এরপর সেটাকে জমজমের পানি দিয়ে ধৌত করলেন।...’ এভাবেই মিরাজের পুরো ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। (বুখারি: ৩৩৪২; মুসলিম: ১৬৩)
বোঝা গেল, জিবরাইল (আ.) সরাসরি ছাদের ছিদ্রপথ দিয়ে নবী (সা.)-কে নিয়ে মিরাজের ভ্রমণে বেরিয়েছেন; দরজা দিয়ে নয়। সুতরাং এই হাদিস থেকেও প্রমাণিত হয়, দরজার শিকল নড়ার কথা বানোয়াট।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১১ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫