Ajker Patrika

১৮ মাসের নির্মাণকাজ শেষ হয়নি ৬ বছরেও

আনোয়ার হোসেন শামীম, গাইবান্ধা 
আপডেট : ২১ মার্চ ২০২৪, ০৮: ৩৬
১৮ মাসের নির্মাণকাজ শেষ হয়নি ৬ বছরেও

গাইবান্ধা সদর হাসপাতালকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও দীর্ঘদিন থেকে হাসপাতালটির কার্যক্রম চলছে পুরোনো ১০০ শয্যার ভবনে। এতে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রোগীরা।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শয্যাসংকট কাটাতে হাসপাতালে নতুন দুটি ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২০১৮ সালের ৭ জুন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ভবনগুলো কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঠিকাদারের গড়িমসিতে ১৮ মাসের কাজ শেষ হয়নি প্রায় ৬ বছরেও। কাজ শেষ না হওয়ায় একদিকে যেমন দুর্ভোগে পড়েছে রোগীরা, তেমনি চিকিৎসাসেবা দিতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে চিকিৎসকদেরও।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে নিয়মিত ভর্তি থাকে প্রায় ৩০০ রোগী। মেঝে আর বারান্দায় বিছানা পেতে সেবা নিতে হয় তাদের। এ ছাড়া বহির্বিভাগে প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে আসে এক থেকে দেড় হাজার রোগী। বহির্বিভাগে আসা রোগীদের সেবা দেওয়ার জন্য চিকিৎসকদের বসার ব্যবস্থাও নেই হাসপাতালটিতে।

এদিকে নির্মাণাধীন নতুন ভবন দুটিতে পর্যাপ্ত কেবিন, ১৫০ শয্যার ওয়ার্ড, বহির্বিভাগে রোগীদের সেবা দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা, আইসিইউ, ডায়ালাইসিসের ব্যবস্থা, আধুনিক অপারেশন থিয়েটারসহ আধুনিক সব চিকিৎসাসুবিধা থাকার কথা। কিন্তু কাজ শেষ না হওয়ায় সুফল থেকে বঞ্চিত জেলাবাসী।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দ্যা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড আর্কিটেক্টস লিমিটেড নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে যৌথ উদ্যোগে হাসপাতাল ভবন নির্মাণের কাজ পান মতলুবর রহমান ও আব্দুল হালিম মণ্ডল। ২০১৮ সালের ৭ জুন সাড়ে ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ছয়তলা ও নয়তলা দুটি ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। পরে ব্যয় বাড়িয়ে করা হয় ৩৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা। তবে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে পারেননি তাঁরা। কবে নাগাদ শেষ হবে সে বিষয়েও স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা মিনি বেগম বলেন, এই হাসপাতালের যে অবস্থা। রোগী তো দূরের কথা, স্বাভাবিক মানুষ কয়েক ঘণ্টা থাকলেই অসুস্থ হয়ে যাবে। রোগী মুন্নাফ কামাল বলেন, ‘জেলার ৩০ লাখ লোকের একমাত্র চিকিৎসাকেন্দ্র এই হাসপাতালটি। হাসপাতালটি ১০০ শয্যার বলা হলেও ৫০ শয্যার বেশি কোনো কিছুর কার্যক্রম নেই এখানে।

গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মাহাবুব হোসেন বলেন, হাসপাতালের এই স্বল্প পরিসরে ২৫০ জন রোগীকে ওয়ার্ডে রাখা সম্ভব না। এক্স-রে-আল্ট্রাসনোগ্রাম করার মতো কোনো ঘর নেই। পাশাপাশি চিকিৎসকদের বসার কক্ষও নেই। নতুন ভবন বুঝে পেলে রোগীদের আধুনিক চিকিৎসাসেবা দেওয়া সম্ভব হবে।

গাইবান্ধা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম রফিকুল হাসানের কাছে হাসপাতালের ভবন দুটি হস্তান্তরের বিষয়ে জানতে চাইলে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত