Ajker Patrika

নতুন এলাকায় ঢুকছে পানি

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
নতুন এলাকায় ঢুকছে পানি

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণের কারণে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে নদীতীরবর্তী নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। তলিয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি। শহরবাসীর মধ্যে বন্যার আতঙ্ক বিরাজ করছে। পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েছে নদীর ভাঙন। গত ২৪ ঘণ্টায় (গত সোমবার বেলা ৩টা থেকে গতকাল মঙ্গলবার বেলা ৩টা পর্যন্ত) যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্ট এলাকায় ৩৫ সেন্টিমিটার বেড়েছে।

২ জুন সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে সিরাজগঞ্জে বন্যার সতর্কবার্তা জারি করার পর অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে যমুনা নদীর পানি। পানি বৃদ্ধির শুরুতেই নদীর আকস্মিক ভাঙনে চৌহালীতে বিলীন হয়েছে তিনটি তাঁত কারখানাসহ অন্তত ১০টি বসতভিটা ও বিস্তীর্ণ ফসলি জমি। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাটবাজারসহ অসংখ্য বসতবাড়ি। ভাঙন নিয়ন্ত্রণে জিওব্যাগ ফেলা শুরু হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক হাসানুর রহমান জানান, সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্ট এলাকায় যমুনা 
নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। এই বাঁধ এলাকায় পানির বিপৎসীমা ধরা হয় ১৩ দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটার। গত সোমবার বেলা ৩টায় এই পয়েন্টে পানি রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৫ সেন্টিমিটার পানি বাড়লেও তা বিপৎসীমার ২ দশমিক ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম জানান, গত দুই দিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে অস্বাভাবিক হারে বাড়তে শুরু করেছে যমুনা নদীর পানি। পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে জেলার চৌহালীতে শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন। সোমবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভাঙনে চৌহালী উপজেলার দেওয়ানগঞ্জ বাজার এলাকায় অন্তত তিনটি তাঁত কারখানা, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ ১০টি বসতভিটা ও বিস্তীর্ণ ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। ভাঙন নিয়ন্ত্রণে জিওব্যাগ ফেলা শুরু হয়েছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত