Ajker Patrika

বর্জ্যে পরিবেশের ক্ষতি

কুমিল্লা প্রতিনিধি
আপডেট : ১১ অক্টোবর ২০২১, ১১: ৫১
বর্জ্যে পরিবেশের ক্ষতি

কুমিল্লার ইপিজেড ও পাশের দুটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বিষাক্ত বর্জ্য আশপাশের গ্রামের ফসলি জমি, খাল-বিল, নদী-নালা ও জলাশয়ের পানিতে মিশে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে—এমন অভিযোগে গতকাল রোববার মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কুর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন সাবেক সাংসদ মনিরুল হক চৌধুরী।

এ সময় নগরীর দক্ষিণ এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত অর্ধশতাধিক সমবায় সমিতির নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

মনিরুল হক চৌধুরী কৃষকদের ফসল ও লক্ষাধিক পরিবারের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এর প্রতিকারের দাবি জানান। অন্যথায় কুসিক কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দেন।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, নগরীর পানি তিনটি খাল দিয়ে দক্ষিণের ডাকাতিয়া নদীতে প্রবাহিত হয়। এসব খালের পানির সঙ্গে ইপিজেডের বিষাক্ত রাসায়নিক তরল বর্জ্য দিশাবন্দ, ঢুলিপাড়া, কাজীপাড়া, উত্তর হীরাপুর, শ্রীবল্লভপুর, গোপিনাথপুর, দক্ষিণ রামপুর, দুর্গাপুর, হোসেনপুর, নোয়াপাড়া, শ্রীনিবাস, উত্তর বিজয়পুর, ছনগাঁওসহ শহরের দক্ষিণাংশের অর্ধশতাধিক গ্রামের কৃষিজমি, খাল-বিল, নদী-নালা ও জলাশয়ের পানিতে মিশে যায়।

এ ছাড়া দক্ষিণ দুর্গাপুর এলাকার সফিউল আলম স্টিল মিল ও বাতাবাড়িয়া এলাকার সামিট গ্রুপের বিদ্যুৎ প্রকল্পের বর্জ্য এসব এলাকার পানিতে মিশে একাকার হয়ে কৃষিজমির ফসল, গাছপালা ও জীববৈচিত্র্যের মারাত্মক ক্ষতি করছে। এর প্রতিকার করা না গেলে শহরের দক্ষিণের অন্তত ৪০ কিলোমিটার এলাকার মানুষজনকে বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হবে।

কুসিক মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু বলেন, এ বিষয়টি সমাধানে শিগগিরই একটি কমিটি গঠন করা হবে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করা হবে। এর প্রতিকারের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে দাখিল করা হবে।

সাক্কু আরও বলেন, ইপিজেড কর্তৃপক্ষ বর্জ্য শোধনাগার স্থাপন করলে, তারা দুই ঘণ্টার বেশি কাজ করে না। বাকি বর্জ্য শোধন ছাড়াই ড্রেনে ছেড়ে দেওয়ায় এমন ক্ষতি হচ্ছে। তারা কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে তিনিও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ইপিজেডের পানিপ্রবাহ বন্ধ করে দিয়ে এর প্রতিকারের উদ্যোগ নেবেন বলে আশ্বস্ত করেন।

কুমিল্লার ইপিজেডের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ইপিজেডের কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার ২৪ ঘণ্টা চালু থাকে। আমরা নিজেদের বর্জ্য নিজেরা নিয়ন্ত্রণে রাখি। কুমিল্লা শহরের পানি ও বর্জ্য ইপিজেডের পাশের বড় ড্রেন দিয়ে খালে প্রবাহিত হয়। নগরীর পানি প্রবাহের প্রক্রিয়া আরও উন্নত হলে পরিবেশ দূষণ কমে যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত