Ajker Patrika

অবৈধভাবে বালু উত্তোলন

নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৫ অক্টোবর ২০২১, ১২: ৩৩
অবৈধভাবে বালু উত্তোলন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে প্রশাসনের একাধিকবার অভিযানের পরও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন থামছেই না। খননযন্ত্রের মাধ্যমে মেঘনা নদী থেকে বালু তোলার প্রভাবে উপজেলার গোয়ালনগর ইউনিয়নের চর পিয়ালপুর গ্রাম, শতবর্ষী একটি কবরস্থান, পাশের জেলা কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার বাঙ্গালপাড়া ও অষ্টগ্রামের বিভিন্ন অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

সম্প্রতি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদি হাসান খান শাওন গোয়ালনগর ইউনিয়নের লালুয়ারটুক গ্রামের পার্শ্ববর্তী মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযান চালান।

অভিযানে ৫ জনকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। তাার হলেন উপজেলার গোয়ালনগর ইউনিয়নের বাসিন্দা দুলাল মিয়া (৩২), হেলাল মিয়া (৩৪), সজীব মিয়া (৩২), শাহ ও আলম (২৪)।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নদীর একপাড় নাসিরনগরের গোয়ালনগর ইউনিয়নের রামপুর, লালারটুক, চরপিয়ালপুর ও গোয়ালনগর।

আর অপরপাড় কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামের বাঙ্গালপাড়া ও অষ্টগ্রাম। গত দুই বছর ধরে প্রতি বর্ষা মৌসুমে বালু উত্তোলন করছে প্রভাবশালী একটি মহল।

স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় প্রশাসনের নাকের ডগায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চললেও চক্রটির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে এ চক্রটি দিনরাত খননযন্ত্র দিয়ে বালু উত্তোলন করে প্রকাশ্যে বিক্রি করছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আশিক মিয়া বলেন, ‘চক্রটি এলাকায় বেশ প্রভাবশালী। এই কার্যক্রমের সঙ্গে বাঙ্গালপাড়া, অষ্টগ্রামের স্থানীয় প্রভাবশালী লোকজনও জড়িত।’

গোয়ালনগর ইউনিয়ন উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা নুরুল আমিন বলেন, ‘কিছুদিন পরপরই এই নদী থেকে এই চক্রটি অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে।

প্রতিবারই ভ্র‍াম্যমাণ আদালতে অভিযান চালানো হয়। খবর পেয়ে চক্রের সদস্যরা পালিয়ে যান। চক্রটির সঙ্গে অষ্টগ্রাম ও স্থানীয় কিছু লোক জড়িত।’

নাসিরনগর সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান খান শাওন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বালু উত্তোলনের বিষয়টি জানার পর অভিযান পরিচালনা করে কয়েকজনকে আটক করে জরিমানা ও সতর্ক করেছি। পুনরায় এমন হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত