খান রফিক, বরিশাল
নগরীর উপকণ্ঠ তালতলী বাজারে ভোর হলেই চাপিলা চাপিলা বলে ডাক ওঠে। এক থেকে দুই ইঞ্চির এই মাছ মূলত ইলিশের বাচ্চা বা জাটকা। যার কেজি মাত্র ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। অভয়াশ্রমে নিষেধাজ্ঞার পর থেকে হিজলা, মেহেন্দীগঞ্জ ও বরিশাল সদরের একাংশের নদ-নদীতে চরঘেরা ও বেহেন্দী জাল দিয়ে ইলিশের বাচ্চাসহ নানা ধরনের ছোট মাছ নির্বিচারে নিধন চলছে।
মৎস্য কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, একেকটি জাল দুই থেকে তিন কিলোমিটার চরে জোয়ারের সময় পেতে ভাটায় তুলে নির্বিচারে ছোট মাছ শিকার করা হয়। বেপরোয়া এই জেলেদের হামলা ও তৎপরতায় অনেকটা অসহায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও মৎস্য অধিদপ্তর।
গত মঙ্গলবার বরিশাল সদর উপজেলার তালতলী বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে চাপিলা নামের মাছে সয়লাব। সাজিতে সাজিয়ে বিক্রি চলছে এই মাছ। একাধিক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, অভয়াশ্রমের আওতাধীন আড়িয়াল খাঁ নদ থেকে ইলিশের বাচ্চা বা জাটকা ধরে এনে চাপিলা নামে বিক্রি করছেন। নগরের বাজার রোড, চৌমাথাসহ পোর্ট রোডেও এই মাছ বিক্রি চলছে। গতকাল বুধবার সকালে নগরের নবগ্রাম রোডে মাথায় করে কয়েকজনকে ওই মাছ বিক্রি করতে দেখা গেছে। ভ্রাম্যমাণ মাছ বিক্রেতা শফিক উদ্দিন বলেন, ‘আসলে এটি চাপিলা নয়, ইলিশের বাচ্চা।’
জানতে চাইলে বরিশাল জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা (ইলিশ) ড. বিমল চন্দ্র দাস জানান, তিনি মঙ্গলবারও তালতলীসহ কয়েকটি বাজারে চাপিলা নামে ইলিশের বাচ্চা বিক্রি করতে দেখেছেন। কিন্তু ততটা না। চরঘেরা ও বেহেন্দী জাল দিয়ে ধরলে ইলিশের বাচ্চা ওঠে। এর সঙ্গে বেলেসহ নানা ধরনের মাছের পোনা শিকার হচ্ছে। তিনি বলেন, ক্ষতিকর এই জাল বন্ধ না হলে ইলিশের সর্বনাশ হবে।
নগরের বাইরে ইলিশের ষষ্ঠ অভয়াশ্রমের মূল ঘাঁটি হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জে মধ্য মার্চ থেকে ইলিশের বাচ্চা শিকারের মহোৎসব চলছে।
হিজলা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা পারভেজ হোসেন বলেন, তিনি মঙ্গলবার ৫০ মণ জাটকা জব্দ করেছেন। এর মধ্যে ইলিশের ও বেলে মাছের বাচ্চাই বেশি। চরঘেরা জাল দিয়ে ১ থেকে ২ ইঞ্চির এই ইলিশের বাচ্চার সর্বনাশ করছেন জেলেরা।
পারভেজ হোসেন বলেন, জোয়ার-ভাটাকে কেন্দ্র করে গভীর রাতে জেলেরা নদীতে নামেন। মশারি আকৃতির চরঘেরা জাল একাধিক জোড়া দিয়ে দুই-তিন কিলোমিটার চরে জোয়ারে পেতে রাখেন। ভাটায় ওই জাল ভরে যায় ইলিশের বাচ্চায় (জাটকা)। তিনি বলেন, রাতে কোস্টগার্ড, পুলিশ যেতে চায় না। যে কারণে তাঁরাও ঝুঁকি নিয়ে সব সময় রাতে অভিযান যেতে পারেন না। এ সুযোগটি নিচ্ছেন জেলেরা। মৎস্য কর্মকর্তা পারভেজ বলেন, ১ মার্চ অভয়াশ্রমে নিষেধাজ্ঞার পর থেকে এ পর্যন্ত হিজলায় প্রায় ১০০ মণ জাটকা এবং ২ লাখ মিটার জাল জব্দ করা হয়।
হিজলা অপেক্ষা মেঘনা ঘেরা মেহেন্দীগঞ্জের চিত্র আরও ভয়াবহ। সেখানকার উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামাল হোসেন বলেন, মেহেন্দীগঞ্জের জেলেরা বেহেন্দী ও চরঘেরা জাল নিয়ে রাতভর চরে ইলিশের সর্বনাশ করেন। তিনি বলেন, গতকাল উপজেলার উলানিয়ায় কোস্টগার্ড নৌকা ও জাল জব্দ করে। সেখানে শত শত নারী-পুরুষ কোস্টগার্ডকে ঘেরাও করেন। একপর্যায়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যের জিম্মায় সেগুলো রেখে আসতে বাধ্য হয়েছেন। পাঁচ দিন আগে মল্লিকপুরে জেলেদের হামলায় এক নৌপুলিশ সদস্য আহত হন। পুলিশের ব্যবহারকারী নৌকার মাঝির দাঁত পড়ে যায় হামলায়।
বেপরোয়া এই জেলেরা রাতে নদীতে জাল ফেলে সব নৌকা একত্রে থাকে। অভিযানিক দল দেখলেই একযোগে হামলা করেন। এঁদের দমাতে রাজনৈতিক সহায়তা চাইলেও পাননি। কামাল হোসেনের মতে, নিষেধাজ্ঞাকালে এ পর্যন্ত ২০ লাখ মিটার জাল জব্দ করেছেন। এর মধ্যে ৩০টি চরঘেরা ও ৮টি বেহেন্দী রয়েছে।
জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির বরিশাল জেলা সমিতির সভাপতি মো. সেলিম এ তথ্য স্বীকার করে বলেন, ইলিশ ধ্বংসের সঙ্গে সব জেলে জড়িত নন। যাঁরা চাপিলার নামে ইলিশের বাচ্চা নির্বিচারে শিকার করছেন তাঁরা ‘অপেশাদার জেলে’। অপেশাদার এই জেলে নামধারীরা চোরাগোপ্তা ইলিশের বাচ্চা শিকার করছে। তিনি মঙ্গলবারও নগরের বাজার রোডে এক বিক্রেতাকে চাপিলা নামে ইলিশের বাচ্চা বিক্রি করায় ধমকিয়েছেন। ওই বিক্রেতা দাবি করেছেন, সারা বাজারে বিক্রি হচ্ছে এগুলো।
নগরীর উপকণ্ঠ তালতলী বাজারে ভোর হলেই চাপিলা চাপিলা বলে ডাক ওঠে। এক থেকে দুই ইঞ্চির এই মাছ মূলত ইলিশের বাচ্চা বা জাটকা। যার কেজি মাত্র ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। অভয়াশ্রমে নিষেধাজ্ঞার পর থেকে হিজলা, মেহেন্দীগঞ্জ ও বরিশাল সদরের একাংশের নদ-নদীতে চরঘেরা ও বেহেন্দী জাল দিয়ে ইলিশের বাচ্চাসহ নানা ধরনের ছোট মাছ নির্বিচারে নিধন চলছে।
মৎস্য কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, একেকটি জাল দুই থেকে তিন কিলোমিটার চরে জোয়ারের সময় পেতে ভাটায় তুলে নির্বিচারে ছোট মাছ শিকার করা হয়। বেপরোয়া এই জেলেদের হামলা ও তৎপরতায় অনেকটা অসহায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও মৎস্য অধিদপ্তর।
গত মঙ্গলবার বরিশাল সদর উপজেলার তালতলী বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে চাপিলা নামের মাছে সয়লাব। সাজিতে সাজিয়ে বিক্রি চলছে এই মাছ। একাধিক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, অভয়াশ্রমের আওতাধীন আড়িয়াল খাঁ নদ থেকে ইলিশের বাচ্চা বা জাটকা ধরে এনে চাপিলা নামে বিক্রি করছেন। নগরের বাজার রোড, চৌমাথাসহ পোর্ট রোডেও এই মাছ বিক্রি চলছে। গতকাল বুধবার সকালে নগরের নবগ্রাম রোডে মাথায় করে কয়েকজনকে ওই মাছ বিক্রি করতে দেখা গেছে। ভ্রাম্যমাণ মাছ বিক্রেতা শফিক উদ্দিন বলেন, ‘আসলে এটি চাপিলা নয়, ইলিশের বাচ্চা।’
জানতে চাইলে বরিশাল জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা (ইলিশ) ড. বিমল চন্দ্র দাস জানান, তিনি মঙ্গলবারও তালতলীসহ কয়েকটি বাজারে চাপিলা নামে ইলিশের বাচ্চা বিক্রি করতে দেখেছেন। কিন্তু ততটা না। চরঘেরা ও বেহেন্দী জাল দিয়ে ধরলে ইলিশের বাচ্চা ওঠে। এর সঙ্গে বেলেসহ নানা ধরনের মাছের পোনা শিকার হচ্ছে। তিনি বলেন, ক্ষতিকর এই জাল বন্ধ না হলে ইলিশের সর্বনাশ হবে।
নগরের বাইরে ইলিশের ষষ্ঠ অভয়াশ্রমের মূল ঘাঁটি হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জে মধ্য মার্চ থেকে ইলিশের বাচ্চা শিকারের মহোৎসব চলছে।
হিজলা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা পারভেজ হোসেন বলেন, তিনি মঙ্গলবার ৫০ মণ জাটকা জব্দ করেছেন। এর মধ্যে ইলিশের ও বেলে মাছের বাচ্চাই বেশি। চরঘেরা জাল দিয়ে ১ থেকে ২ ইঞ্চির এই ইলিশের বাচ্চার সর্বনাশ করছেন জেলেরা।
পারভেজ হোসেন বলেন, জোয়ার-ভাটাকে কেন্দ্র করে গভীর রাতে জেলেরা নদীতে নামেন। মশারি আকৃতির চরঘেরা জাল একাধিক জোড়া দিয়ে দুই-তিন কিলোমিটার চরে জোয়ারে পেতে রাখেন। ভাটায় ওই জাল ভরে যায় ইলিশের বাচ্চায় (জাটকা)। তিনি বলেন, রাতে কোস্টগার্ড, পুলিশ যেতে চায় না। যে কারণে তাঁরাও ঝুঁকি নিয়ে সব সময় রাতে অভিযান যেতে পারেন না। এ সুযোগটি নিচ্ছেন জেলেরা। মৎস্য কর্মকর্তা পারভেজ বলেন, ১ মার্চ অভয়াশ্রমে নিষেধাজ্ঞার পর থেকে এ পর্যন্ত হিজলায় প্রায় ১০০ মণ জাটকা এবং ২ লাখ মিটার জাল জব্দ করা হয়।
হিজলা অপেক্ষা মেঘনা ঘেরা মেহেন্দীগঞ্জের চিত্র আরও ভয়াবহ। সেখানকার উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামাল হোসেন বলেন, মেহেন্দীগঞ্জের জেলেরা বেহেন্দী ও চরঘেরা জাল নিয়ে রাতভর চরে ইলিশের সর্বনাশ করেন। তিনি বলেন, গতকাল উপজেলার উলানিয়ায় কোস্টগার্ড নৌকা ও জাল জব্দ করে। সেখানে শত শত নারী-পুরুষ কোস্টগার্ডকে ঘেরাও করেন। একপর্যায়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যের জিম্মায় সেগুলো রেখে আসতে বাধ্য হয়েছেন। পাঁচ দিন আগে মল্লিকপুরে জেলেদের হামলায় এক নৌপুলিশ সদস্য আহত হন। পুলিশের ব্যবহারকারী নৌকার মাঝির দাঁত পড়ে যায় হামলায়।
বেপরোয়া এই জেলেরা রাতে নদীতে জাল ফেলে সব নৌকা একত্রে থাকে। অভিযানিক দল দেখলেই একযোগে হামলা করেন। এঁদের দমাতে রাজনৈতিক সহায়তা চাইলেও পাননি। কামাল হোসেনের মতে, নিষেধাজ্ঞাকালে এ পর্যন্ত ২০ লাখ মিটার জাল জব্দ করেছেন। এর মধ্যে ৩০টি চরঘেরা ও ৮টি বেহেন্দী রয়েছে।
জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির বরিশাল জেলা সমিতির সভাপতি মো. সেলিম এ তথ্য স্বীকার করে বলেন, ইলিশ ধ্বংসের সঙ্গে সব জেলে জড়িত নন। যাঁরা চাপিলার নামে ইলিশের বাচ্চা নির্বিচারে শিকার করছেন তাঁরা ‘অপেশাদার জেলে’। অপেশাদার এই জেলে নামধারীরা চোরাগোপ্তা ইলিশের বাচ্চা শিকার করছে। তিনি মঙ্গলবারও নগরের বাজার রোডে এক বিক্রেতাকে চাপিলা নামে ইলিশের বাচ্চা বিক্রি করায় ধমকিয়েছেন। ওই বিক্রেতা দাবি করেছেন, সারা বাজারে বিক্রি হচ্ছে এগুলো।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪