Ajker Patrika

করোনার টিকা আগে পাবে এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা

যশোর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৫ নভেম্বর ২০২১, ১৮: ১৭
করোনার টিকা আগে পাবে এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা

যশোরে করোনার আরও ২৩ হাজার ৪০০ ডোজ টিকা এসেছে। শিক্ষার্থীদের টিকাদান কর্মসূচি সফল করতে এসব টিকা পাঠানো হয়েছে। শুরুতে শুধু এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

আজ সোমবার প্রথম দিন ১২ শ শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। রোববার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে যশোরের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিভাগ।

তবে এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ অন্য শ্রেণির শিক্ষার্থীদের টিকা দিতেও চেষ্টা চলছে। যশোরে এক লাখ পাঁচ হাজার ৬৪৯ শিক্ষার্থীকে পর্যায়ক্রমে করোনা টিকার আওতায় আনা হবে।

সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন জানান, যশোরে প্রথম ধাপে ১৮ হাজার ৭২০ ডোজ ফাইজারের টিকা এসেছিল। এ নিয়ে দুই দফায় ৩৯ হাজার ১২০ ডোজ টিকা সরবরাহ করা হয়েছে জেলাটিতে। সেখান থেকে ১৫ হাজার ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। সে লক্ষ্যে নতুন করে ফাইজারের ২৩ হাজার ৪ শ টিকা পাঠানো হয়েছে।

সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন বলেন, পিটিআই কেন্দ্রে ছয়টি বুথ স্থাপন করে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে। সে লক্ষ্যে ১৩ জন টিকাদানকারী ও স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত রয়েছেন। শিক্ষা বিভাগের পাঠানো তালিকার ভিত্তিতে আপাতত দুটি বুথে টিকাদান কর্মসূচি চলবে।

এ ছাড়া অতিরিক্ত একজন করে মোট পাঁচজন টিকাদানকারী রাখা হবে কেন্দ্রে। পরে চাহিদা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে বুথ সংখ্যা বাড়ানো হবে।

যশোর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম গোলাম আযম জানিয়েছেন, আপাতত এইচএসসি শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে। সে ক্ষেত্রে নিবন্ধন কার্ডের দুটি ফটোকপি এবং স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে পাঠানো একটি ফরম পূরণ করলেই টিকা মিলবে।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম গোলাম আযম আরও জানান, যারা এ মুহূর্তে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন তাঁদের ক্ষেত্রে শিক্ষা মহাপরিচালকের দপ্তর থেকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিভাগে তালিকা পাঠানো হচ্ছে। পরে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিভাগ মোবাইলে খুদে বার্তার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীকে টিকার বিষয়ে পরিপূর্ণ তথ্য জানাবে। ইতিমধ্যে সে কার্যক্রমও শুরু করা হয়েছে।

শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম গোলাম আযম বলেন, ‘মাধ্যমিকের বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনতে স্ব স্ব বিদ্যাপীঠের প্রধানকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেগুলো সম্পন্ন হলে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী সব শিক্ষার্থীই টিকার আওতায় আসবে। এ লক্ষ্যে স্বাস্থ্য বিভাগের ফরম পর্যায়ক্রমে সব কলেজ এবং পরে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পাঠানো হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পাকিস্তানের সামরিক ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতার সামনে অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে ভারত: ব্রিটিশ বিশ্লেষক

পুরোনো রাউটার ফেলে না দিয়ে যে কাজে ব্যবহার করতে পারেন

পোশাকের পর অস্ত্র প্রশিক্ষণও পাচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত এডিরা

প্রথম ভাষণে গাজা প্রসঙ্গে যা বললেন পোপ লিও চতুর্দশ

গ্যাসের চুলা থেকে ছড়ায় বেনজিন, ক্যানসারসহ নানা রোগের ঝুঁকি: গবেষণা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত