আব্দুর রাজ্জাক, ঘিওর (মানিকগঞ্জ)
সরু আঁকাবাঁকা মেঠোপথ। গ্রামের কোল ঘেঁষে বয়ে গেছে কালীগঙ্গা নদী। ঘন সবুজের ছায়াঘেরা পথ যেখানে থেমেছে সেই জায়গাটা খুবই সুন্দর। সেখানে গাছের কাণ্ড ফুঁড়ে বেরিয়েছে থোকা থোকা ফুল। কমলা আর লালে মেশানো ফুলগুলো খুবই ঝলমলে। এর নাম অশোক।
অশোক প্রাচীন একটি ফুল, কামদেবের পঞ্চশরের অন্যতম শর। এই ফুলের রং লেগে আছে রবীন্দ্রনাথের গানেও। ‘তোমার অশোকে কিংশুকে, অলক্ষ্য রং লাগল আমার, অকারণের সুখে’—লিখেছেন কবিগুরু।
অশোকে বর্ণশোভা মিলবে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার প্রত্যন্ত সাইংজুরী গ্রামে। অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক আব্দুল মতিন দেওয়ানের বাড়িতে থাকা এই ফুল দেখতে প্রতিদিনই সেখানে ভিড় করে বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা মানুষ। দেখেই যেন চোখ জুড়িয়ে যায়।
সেখানে কথা হয় শিক্ষক আব্দুল মতিন দেওয়ানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে তিন দশক ধরে অশোক ফুল ফুটছে। মানুষ বিভিন্ন এলাকা থেকে দেখতে আসছে, ছবি তুলছে। সবার আনন্দ দেখলে আমারও ভালো লাগে।’
দুই দশক আগেও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রচুর অশোকগাছ দেখা যেত। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ গাছের সংখ্যা কমে এসেছে। তবে এখনো উপজেলার রামদিয়া নালী, জাবরা, সাইংজুরী, বড়টিয়া, সিংজুরী এলাকায় এখনো কিছু আশোকগাছ দেখা যায়।
অশোকের গাঢ়-সবুজ পাতাগুলো দীর্ঘ, চওড়া ও বর্শাফলাকৃতির। কচিপাতা কোমল, নমনীয়, ঝুলন্ত ও তামাটে। ফুল ফোটার প্রধান মৌসুম বসন্তকাল। তবে হেমন্ত অবধি প্রস্ফুটন প্রাচুর্য চোখে পড়ে। শীতকালে ফুল ফোটলেও সংখ্যায় খুব একটা বেশি হয় না।
লাল, হলুদ, গোলাপি আর সাদা রঙের মিশেল রয়েছে অশোকে। ফুলের মুকুট শত শত ছোট ফুলের সমন্বয়ে গঠিত। গড়ে ৩০ ফুট উচ্চতার অশোকগাছকে হেমাপুষ্প, অঞ্জনপ্রিয়া, মধুপুষ্প ইত্যাদি বাহারি নামে ডাকা হয়। বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনের তফসিল-৪ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত। অর্থাৎ আইনের ৬ ধারা মোতাবেক এই প্রজাতির উদ্ভিদ ইচ্ছাকৃতভাবে ওঠানো, ওপড়ানো, ধ্বংস বা সংগ্রহ করা যাবে না।
পরিবেশ ও প্রকৃতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিকের মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক সমন্বয়কারী বিমল রায় বলেন, ‘অশোক দিনে দিনে বিলুপ্তির পথে। সরকারি ও বেসরকারিভাবে অশোকের বংশবিস্তারে উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি। অন্যথায়, এ জাতের ফুল হারিয়ে যাবে।’
প্রকৃতি, প্রেম, ঔষধি গুণ আর কাব্যের বাইরেও অশোকের খ্যাতি আছে। হিন্দু ও বৌদ্ধদের কাছে এ বৃক্ষ অত্যন্ত পবিত্র। কথিত আছে, এ তরুতলেই মহামতি গৌতমবুদ্ধের জন্ম। হিন্দু পৌরাণিক অনুযায়ী, গৌরী দেবী এই বৃক্ষের নিচে তপস্যা করে সিদ্ধি লাভ করে শোক থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। রামায়ণে বলে সীতাকে অপহরণ করে অশোক বনে রাখা হয়েছিল। এমন সব গুণ অশোককে বাড়তি খ্যাতি এনে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশবাদী লেখিকা লক্ষ্মী চ্যাটার্জি। মানিকগঞ্জ সাধনা ঔষধালয়ের হেকিম উত্তম কুমার পালিত বলেন, ‘স্ত্রীরোগ, রক্তক্ষরণ এবং আমাশয়ে অশোকের ছালের রস কার্যকর। শুষ্ক ফল সিফিলিস ও ডায়াবেটিস নিরাময়ে ব্যবহার হয়।’
সরু আঁকাবাঁকা মেঠোপথ। গ্রামের কোল ঘেঁষে বয়ে গেছে কালীগঙ্গা নদী। ঘন সবুজের ছায়াঘেরা পথ যেখানে থেমেছে সেই জায়গাটা খুবই সুন্দর। সেখানে গাছের কাণ্ড ফুঁড়ে বেরিয়েছে থোকা থোকা ফুল। কমলা আর লালে মেশানো ফুলগুলো খুবই ঝলমলে। এর নাম অশোক।
অশোক প্রাচীন একটি ফুল, কামদেবের পঞ্চশরের অন্যতম শর। এই ফুলের রং লেগে আছে রবীন্দ্রনাথের গানেও। ‘তোমার অশোকে কিংশুকে, অলক্ষ্য রং লাগল আমার, অকারণের সুখে’—লিখেছেন কবিগুরু।
অশোকে বর্ণশোভা মিলবে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার প্রত্যন্ত সাইংজুরী গ্রামে। অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক আব্দুল মতিন দেওয়ানের বাড়িতে থাকা এই ফুল দেখতে প্রতিদিনই সেখানে ভিড় করে বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা মানুষ। দেখেই যেন চোখ জুড়িয়ে যায়।
সেখানে কথা হয় শিক্ষক আব্দুল মতিন দেওয়ানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে তিন দশক ধরে অশোক ফুল ফুটছে। মানুষ বিভিন্ন এলাকা থেকে দেখতে আসছে, ছবি তুলছে। সবার আনন্দ দেখলে আমারও ভালো লাগে।’
দুই দশক আগেও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রচুর অশোকগাছ দেখা যেত। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ গাছের সংখ্যা কমে এসেছে। তবে এখনো উপজেলার রামদিয়া নালী, জাবরা, সাইংজুরী, বড়টিয়া, সিংজুরী এলাকায় এখনো কিছু আশোকগাছ দেখা যায়।
অশোকের গাঢ়-সবুজ পাতাগুলো দীর্ঘ, চওড়া ও বর্শাফলাকৃতির। কচিপাতা কোমল, নমনীয়, ঝুলন্ত ও তামাটে। ফুল ফোটার প্রধান মৌসুম বসন্তকাল। তবে হেমন্ত অবধি প্রস্ফুটন প্রাচুর্য চোখে পড়ে। শীতকালে ফুল ফোটলেও সংখ্যায় খুব একটা বেশি হয় না।
লাল, হলুদ, গোলাপি আর সাদা রঙের মিশেল রয়েছে অশোকে। ফুলের মুকুট শত শত ছোট ফুলের সমন্বয়ে গঠিত। গড়ে ৩০ ফুট উচ্চতার অশোকগাছকে হেমাপুষ্প, অঞ্জনপ্রিয়া, মধুপুষ্প ইত্যাদি বাহারি নামে ডাকা হয়। বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনের তফসিল-৪ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত। অর্থাৎ আইনের ৬ ধারা মোতাবেক এই প্রজাতির উদ্ভিদ ইচ্ছাকৃতভাবে ওঠানো, ওপড়ানো, ধ্বংস বা সংগ্রহ করা যাবে না।
পরিবেশ ও প্রকৃতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিকের মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক সমন্বয়কারী বিমল রায় বলেন, ‘অশোক দিনে দিনে বিলুপ্তির পথে। সরকারি ও বেসরকারিভাবে অশোকের বংশবিস্তারে উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি। অন্যথায়, এ জাতের ফুল হারিয়ে যাবে।’
প্রকৃতি, প্রেম, ঔষধি গুণ আর কাব্যের বাইরেও অশোকের খ্যাতি আছে। হিন্দু ও বৌদ্ধদের কাছে এ বৃক্ষ অত্যন্ত পবিত্র। কথিত আছে, এ তরুতলেই মহামতি গৌতমবুদ্ধের জন্ম। হিন্দু পৌরাণিক অনুযায়ী, গৌরী দেবী এই বৃক্ষের নিচে তপস্যা করে সিদ্ধি লাভ করে শোক থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। রামায়ণে বলে সীতাকে অপহরণ করে অশোক বনে রাখা হয়েছিল। এমন সব গুণ অশোককে বাড়তি খ্যাতি এনে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশবাদী লেখিকা লক্ষ্মী চ্যাটার্জি। মানিকগঞ্জ সাধনা ঔষধালয়ের হেকিম উত্তম কুমার পালিত বলেন, ‘স্ত্রীরোগ, রক্তক্ষরণ এবং আমাশয়ে অশোকের ছালের রস কার্যকর। শুষ্ক ফল সিফিলিস ও ডায়াবেটিস নিরাময়ে ব্যবহার হয়।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫