বিদ্রোহী ঠেকাতে মরিয়া আ.লীগ দল গোছাতে ব্যস্ত বিএনপি

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) ২৮ নভেম্বর নির্বাচন। দল থেকে মনোনয়ন না পেয়ে অনেকই স্বতন্ত্রী প্রার্থী হয়েছেন। জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থীরা। তবে বিদ্রোহী প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে দল থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এদিকে নির্বাচনে না থাকলেও দল গোছাতে ব্যস্ত বিএনপি।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ফজলুল হক বলেন, ‘আওয়ামী লীগ হচ্ছে নির্বাচনমুখী দল। ইউপি নির্বাচনের প্রচারে ব্যস্ত আওয়ামী লীগ। আর বিদ্রোহী প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে দলীয় নেতা-কর্মীরা কাজ করছেন। তবুও কেউ প্রার্থী হলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

নয়াবিল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী লতিফুল ইসলাম বকুল বলেন, ‘দল থেকে অযোগ্য ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তাই ইউনিয়নবাসীর ইচ্ছায় আমি প্রার্থী হয়েছি।’

উপজেলা আওয়ামী লীগের উপপ্রচার সম্পাদক ও যোগানিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী তাকিজুল ইসলাম বলেন, ‘দল তৃণমূলের চাহিদা মূল্যায়ন করে প্রার্থী দেয়নি। আমি ও আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। এই ইউনিয়নে আমি প্রার্থী না হলে মানুষ চেয়ারম্যান পদে তাঁদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হতো। সাধারণ মানুষের সমর্থনে ও এই ইউনিয়নের মানুষের সেবা করার লক্ষ্যেই আমি প্রার্থী হয়েছি। আশা করি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে এখানে জনতার বিজয় হবে।’

অন্যদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগ কয়েকজন নেতা বলেন, তৃতীয় ধাপের ১২টি ইউপিতে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগ এখন সব ইউপিতে দলীয় প্রার্থীদের বিজয় নিশ্চিত করতে সাংগঠনিকভাবে কাজ করছে। যেসব ইউপিতে বিদ্রোহী প্রার্থী আছেন, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। আজ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। যদি দলীয় সিদ্ধান্ত কেউ না মেনে বিদ্রোহী হন, পরবর্তীকালে তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে বিএনপি কমিটি গঠন নিয়ে ব্যস্ত। উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন কমিটির মধ্যে গত বছর ১০টি কমিটি গঠন করে। বাকি দুটি ইউনিয়নে গত শুক্র ও শনিবার ভোটের মাধ্যমে গঠন করে দল। আগামী ডিসেম্বরে উপজেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছে উপজেলা বিএনপি।

উপজেলা বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে জেলা বিএনপির উদ্যোগে উপজেলা ১০৩ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। ডিসেম্বরেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে। ১০ ইউনিয়নে গত বছর কমিটি গঠন করা হলেও নন্নী ও রাজনগর—এ দুটি ইউনিয়নে কমিটি গঠন করা হয়নি।

উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও নয়াবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইউনুস আলী দেওয়ান বলেন, ‘বর্তমান সরকারের আমলে বিএনপির কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না। এখন মূল লক্ষ্য নিবেদিত ও আস্থাশীলদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করা।’