Ajker Patrika

কেপিএমের ভবনগুলো ধ্বংসের পথে

কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২১, ১৬: ৫৬
কেপিএমের ভবনগুলো ধ্বংসের পথে

রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে কর্ণফুলী পেপার মিলের (কেপিএম) আবাসিক ভবনগুলো কেবলই স্মৃতি। উপজেলার চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নে পরিত্যক্ত ভবনগুলো এখন ধ্বংসের পথে।

বাংলাদেশ কেমিক্যালস ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) অন্যতম কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী পেপার মিল (কেপিএম) স্থাপিত হয় ১৯৫১ সালে। তৎকালে ৬৭ দশমিক ৫৭ মিলিয়ন রুপি ব্যয়ে এটি প্রতিষ্ঠিত কেপিএম। এর পাশে অবস্থিত বিসিআইসির আরেক প্রতিষ্ঠান কেআরসি। ১০ বছর আগেও দুটি প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তা, স্থায়ী-অস্থায়ী শ্রমিক-কর্মচারী মিলে প্রায় ১২ হাজার লোক কাজ করতেন। তাঁদের আবাসনের জন্য কেপিএম মিলের এক কিলোমিটারের বেশি এলাকা জুড়ে তৈরি করা হয়ে ছিল আবাসিক ভবন।

স্থানীয় বাসিন্দা ও শ্রমিকেরা জানান, হাতের নাগালে গ্যাস, বিদ্যুৎ আর পানি সমৃদ্ধ এই ভবনে বাসা পাওয়া ছিল সোনার হরিণ। এ জন্য কারখানার ব্যবস্থাপনা ও সিবিএ নেতাদের কাছে ধরনা দিতেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তখন গোটা কেপিএম এলাকায় ছিলে উৎসব মুখর পরিবেশ।

কেপিএম সূত্রে জানা গেছে, গত এক দশকে কেপিএমের উৎপাদন হ্রাস পাওয়ার স্থায়ী শ্রমিক ছাঁটাই করা হয়েছে। ধাপে ধাপে এখানকার কর্মকর্তা-শ্রমিকদের বিসিআইসির অন্য প্রতিষ্ঠানে বদলি করেছেন। বর্তমানে কেপিএমে কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলিয়ে ২০০ জনের অধিক কর্মরত আছে। ফলে কেপিএমের অভ্যন্তরে ভবনগুলো দিনের পর দিন খালি পড়ে আছে।

সম্প্রতি কেপিএমের বারঘোনিয়া মার্কেট সংলগ্ন কবরস্থান এলাকা ঘুরে দেখা যায় যায়, কেপিএমের আবাসিক অসংখ্য ভবন পরিত্যক্ত পড়ে আছে। কবরস্থানে পাশেই রয়েছে কর্ণফুলী ভবন ২ সহ একতলা বিশিষ্ট পাশাপাশি অনেক ভবন।

পথে দেখা হয় মিলের শ্রমিক মফিজুল হকের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘১৯৮৩ সাল হতে মিলে চাকরি করি। এই কর্ণফুলী ভবনের ১০টি ফ্ল্যাট কখনো খালি ছিল না। এর পাশের ঘরগুলোও আমি কখনো খালি দেখি নাই। এখন সব নীরব। ভবনের পাশে ঝোপ ঝাড়। সন্ধ্যা হলে শেয়াল নামে। যেন ভুতুড়ে পরিবেশ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত