Ajker Patrika

‘স্পিনারদের নো বল করা ক্রাইম’

রানা আব্বাস, দুবাই থেকে
আপডেট : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১১: ২৪
‘স্পিনারদের নো বল করা ক্রাইম’

আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকেই এশিয়া কাপ শেষ বাংলাদেশ দলের। লঙ্কানদের বিপক্ষে জিতলেই যাওয়া যেত পরের রাউন্ডে। কিন্তু সেটি হয়নি। দুবাইয়ে গতকাল শ্রীলঙ্কার কাছে হারের পর এই পারফরম্যান্সের ব্যাখ্যা দিলেন বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

নো বল টার্নিং পয়েন্ট কি না 
টার্নিং পয়েন্ট তো হতেই পারে। একজন ব্যাটার আউট হয়ে গেছে কিন্তু নো বল। তাও মানা যেত, যদি পেসাররা নো বল করত। স্পিনাররা নো বল করা অবশ্যই ক্রাইম। সাধারণত আমাদের স্পিনাররা কখনো এরকম নো বল করে না। আজকে (গত রাতে) একটা চাপের ম্যাচ ছিল। বোঝা গেল আমরা চাপে কতটা ভেঙে পড়তে পারি। এই জায়গাগুলোতে আমাদের উন্নতির প্রয়োজন আছে। স্কিলের দিক থেকে তো আছেই। কিন্তু এরকম চাপের মুহূর্তে কিংবা ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে যে আমরা হেরে যাচ্ছি, এই জায়গাগুলোতে আসলে উন্নতির অনেক সুযোগ আছে। এখানে উন্নতি করাটা খুব জরুরি। এ রকম পরিস্থিতি থেকে আমরা ৫০ শতাংশ ম্যাচও জিততাম, তাহলে আমাদের রেকর্ডটা অনেক ভালো থাকত; বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে।

মুশফিকের আওয়াজ শুনতে না পারা 
কেউই শোনেনি আসলে। এখন কী বলব—আমি কাভারে ছিলাম, আমি শুনতে পাইনি। পয়েন্ট, শর্ট মিড উইকেটে যারা ছিল, কেউই বলেনি যে ভাই রিভিউটা নেওয়া যেত। বোলার থেকে শুরু করে কেউই বলেনি। 

অধিনায়কত্ব ভালো হয়েছে কি না 
কিছুই মনে পড়ে না। আপনি বিচার করতে পারেন আপনার মতো করে। 

ইবাদতের এলেমেলো বোলিং 
সে টেস্ট খেলছে নিয়মিত, ওয়ানডে খেলেছে একটা-দুইটা। আজকে (কালকে) টি-টোয়েন্টিতে ওর অভিষেক ছিল। আমার ধারণা এরকম বড় মঞ্চে সে আগে কখনো খেলেনি। ওর অনেক কিছু শেখার আছে। প্রথম দুই ওভার যেভাবে বোলিং করেছে, তাতে আমরা ম্যাচে ফিরেছিলাম। স্বাভাবিকভাবে আমরা ভেবেছি যে, আজকের দিনটা ওরই যেতে পারে কিংবা ও-ই আমাদের সেরা বোলার হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে হয়নি। 

মিরাজকে প্রথম ম্যাচে না খেলানো
আসলে আমি নতুন করে টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব পেলাম। এশিয়া কাপ দিয়েই সেটার শুরু হলো। শুধু আমার নয়, আমাদের সঙ্গে শ্রীরামেরও (টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট) এটা প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট। আমাদের যখন নতুন করে শুরু করতে হয়, তখন অনেক কিছুই চিন্তা করতে হয়। বাইরে থেকে যতটা সহজ মনে হয়, ততটা সহজ নয়। দায়িত্বটা যদি পুরোনো হতো কিংবা ৪-৫টা ম্যাচ বা সিরিজ খেলে যদি এই টুর্নামেন্টে আসতাম, তাহলে পরিকল্পনামাফিক এগোতে পারতাম।

টুর্নামেন্টের ইতিবাচক দিক
এখানে (আরব আমিরাতে) আসার আগে সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলাম, আমাদের একটা লক্ষ্য আছে। ধীরে ধীরে সে লক্ষ্যে পৌঁছাতে চাই। আপনি খেলা দেখে থাকলে দুই ম্যাচের তফাৎ বুঝতে পারবেন। আমাদের শারীরিক ভাষা, চিন্তা-ভাবনা সব আলাদা ছিল। বলতে পারেন, প্রথম ম্যাচে আমাদের ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ ভালো ছিল না। আসলে (শারজার) উইকেটটা আলাদা ছিল। হয়তো আমরা ১০-১৫ রান বেশি করতে পারতাম। যদি আমি দুই ম্যাচের তুলনা করি, তাহলে মনে হয় আগের ৩-৪ সিরিজ থেকে আমাদের অনেক উন্নতি হয়েছে। এখান থেকে আমরা শুধু সামনের দিকেই এগোতে পারি।

পেসারদের পারফরম্যান্স
বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ডে আরও ৪টা ম্যাচ থাকবে। সেখানে আমাদের পরখ করে নেওয়ার সুযোগ থাকবে। ওই সিরিজ আমাদের চোখ খুলে দিতে পারে। আমরা বুঝতে পারব চাপের মুহূর্তে আমরা কেমন বোলিং করি। সেখানকার উইকেটে তিন পেসারকে অন্তত ১০ ওভার ভালো করতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত