Ajker Patrika

প্রধানমন্ত্রীর সহায়তার চেক পেল লিতুন জিরা

মনিরামপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ এপ্রিল ২০২২, ১২: ৩০
প্রধানমন্ত্রীর সহায়তার চেক পেল লিতুন জিরা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহায়তার ৫ লাখ টাকার চেক পেয়েছে হাত–পা ছাড়া জন্ম নেওয়া অদম্য মেধাবী ছাত্রী মনিরামপুরের লিতুন জিরা।

গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে তার হাতে সহায়তার চেক তুলে দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তাঁর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া লিতুন জিরার হাতে চেক তুলে দেন।

এ সময় মনিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমা খানম, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী, অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক আমিনুদ্দিন, মিলন ঘোষাল, লিতুন জিরার বাবা প্রভাষক হাবিবুর রহমান, মা জাহানারা খাতুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত ৩ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছার কথা জানিয়ে চিঠি লেখে লিতুন জিরা। তখন লিতুন জিরার লেখাপড়ার জন্য আর্থিক সহায়তার দিতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গোলাম রব্বানী। এরপর প্রধানমন্ত্রী তাঁর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে লিতুন জিরার জন্য ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেন।

গত ২৮ মার্চ ডাকযোগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পেয়েছেন লিতুন জিরার বাবা। চিঠি পেয়ে তিনি মেয়েকে নিয়ে গত শনিবার রাতে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।

লিতুন জিরার বাবা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘রোববার সকালে মেয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সহায়তার ৫ লাখ টাকার চেক পেয়েছি। মেয়ের ইচ্ছা, চিকিৎসক হওয়ার। সহায়তার এ টাকা মেয়ের লেখাপড়ার পেছনে ব্যয় করব। প্রধানমন্ত্রীর এ মহানুভবতায় আমরা খুশি।’

হাবিবুর রহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে নিজের গল্প শোনাতে চেয়েছিল লিতুন জিরা। ব্যস্ততার কারণে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) লিতুন জিকে সময় দিতে পারেননি।’

২০০৮ সালে মনিরামপুরের শেখপাড়া খানপুর গ্রামে হাবিবুর-জাহানার খাতুনের কোল জুড়ে আসে লিতুন জিরা। তার দুই পা নেই। নেই দুই হাতের কনুইয়ের নিচের অংশ।

প্রতিবন্ধী হলেও ছোটবেলা থেকে লেখাপড়ার খুব আগ্রহ লিতুন জিরার। ডান হাতের বাহুর আগা দিয়ে কলম চেপে ধরে চোয়াল দিয়ে লিখে ২০১৯ সালে স্থানীয় খানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সে পিইসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ ও বৃত্তি পায়। ব

র্তমানে সে গোপালপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৮ম শ্রেণিতে পড়ছে। ৬৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে লিতুন জিরা প্রথম। নিয়মিত বাবা-মার কোলে চড়ে সে ক্লাসে যায়।

লিতুন জিরার বাবা মনিরামপুরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এ আর কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রভাষক। ২০ বছর বিনা বেতনে তিনি সেখানে কর্মরত আছেন। তিনি উপজেলা তাঁতি লীগের সাধারণ সম্পাদকও।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত