মোকারম হোসেন, ঢাকা
ফুলটির সঙ্গে প্রথম পরিচয় প্রায় ১৬ বছর আগে, মিরপুর জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানে। প্রথম দেখায় কিছুটা দ্বিধায় পড়েছিলাম সেদিন। পাতা ও গাছের গড়ন অনেকটা গন্ধরাজের মতো হলেও ফুল ঠিক তেমনটা নয়। আবার গন্ধরাজের তুলনায় গাছটিও বেশ বড়। তাহলে গাছটির সঠিক পরিচয় কী হতে পারে? নানা কিছু ভাবতে ভাবতে ছবি তুলে বাসায় ফিরি। পরে বই দেখে নিশ্চিত হই, এ গাছের নাম কনিয়ারি বা কইনার। প্রথম দেখার কয়েক বছর পর রাঙামাটির পাহাড়ে প্রাকৃতিক আবাসেই দুটি গাছ দেখি। ঢাকায় তেজগাঁও শিল্প এলাকায় বেগুনবাড়ি সড়কে প্রায় এক দশক থেকে একটি গাছ দেখছি। সম্প্রতি দুটো গাছ দেখেছি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ উদ্যানে। স্থানীয় পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী কনিয়ারি বর্তমানে বিপন্ন বৃক্ষ। একহারা গড়ন, পাতার আলঙ্কারিক অবয়ব আর ফুলের অপার সৌন্দর্য ও সৌরভ এই উদ্ভিদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য। এ কারণে এরা পথতরু হিসেবেও আদর্শ।
কনিয়ারি (Gardenia coronaria) আমাদের পাহাড়ি ফুল হলেও নগর-উদ্যানে অনেকটাই দুর্লভ। আমাদের তিন পার্বত্য জেলায় এরা খুব সহজেই জন্মে ও বেড়ে ওঠে। সেখানকার পাহাড়ি ঢাল এবং বনের প্রান্তে বেশি দেখা যায়। ঢাকায় মিরপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনে কয়েকটি গাছ দেখা যায়। বসন্তের প্রায় শেষ দিকে সারা গাছজুড়ে অসংখ্য ফুল ফুটতে শুরু করে। এই ফুলের প্রস্ফুটন প্রক্রিয়া ততটা নিবিড় না হলেও ফুলের মধুগন্ধই প্রধান আকর্ষণ। স্থানীয়ভাবে এই গাছ আরও অনেক নামে পরিচিত, যেমন—বনকমল, বাতা, বেলা, কনিয়ারি, কইনর, কোনিয়ারা, রাঙখাই ইত্যাদি।
গন্ধরাজ গুল্মশ্রেণির ঝোপাল ধরনের গাছ হলেও কনিয়ারি মূলত মাঝারি উচ্চতার গাছ। ডালপালা বিক্ষিপ্ত, পাতাও ততটা ঘনবদ্ধ নয়। বছরে একবার পাতা ঝরায়। পাতা মসৃণ, বল্লমাকার এবং উপপত্রযুক্ত। পাতার বোঁটা খাটো, অন্তত ১ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। পত্রফলক ৬ থেকে ২০ সেন্টিমিটার, শীর্ষ অভিমুখ অনেকটাই অস্পষ্ট। ফুল একক, সুগন্ধি ও পাতার কোলেই ফোটে। বৃতি ফলক বেলানকার চকচকে ও পাতলা। এই ফুলের পাপড়ির সংখ্যা ৫। ফুলের রঙ প্রথমে হালকা হলুদ থাকে, পরে ধীরে ধীরে গাঢ় হলুদ রঙ ধারণ করে। ফুলের নল ৫ থেকে ১০ সেন্টিমিটার লম্বা। ফুল শেষ হওয়ার আগেই গাছে ফল আসে। ফল আড়াই সেন্টিমিটার লম্বা এবং মসৃণ খাঁজযুক্ত।
ফুলটির সঙ্গে প্রথম পরিচয় প্রায় ১৬ বছর আগে, মিরপুর জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানে। প্রথম দেখায় কিছুটা দ্বিধায় পড়েছিলাম সেদিন। পাতা ও গাছের গড়ন অনেকটা গন্ধরাজের মতো হলেও ফুল ঠিক তেমনটা নয়। আবার গন্ধরাজের তুলনায় গাছটিও বেশ বড়। তাহলে গাছটির সঠিক পরিচয় কী হতে পারে? নানা কিছু ভাবতে ভাবতে ছবি তুলে বাসায় ফিরি। পরে বই দেখে নিশ্চিত হই, এ গাছের নাম কনিয়ারি বা কইনার। প্রথম দেখার কয়েক বছর পর রাঙামাটির পাহাড়ে প্রাকৃতিক আবাসেই দুটি গাছ দেখি। ঢাকায় তেজগাঁও শিল্প এলাকায় বেগুনবাড়ি সড়কে প্রায় এক দশক থেকে একটি গাছ দেখছি। সম্প্রতি দুটো গাছ দেখেছি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ উদ্যানে। স্থানীয় পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী কনিয়ারি বর্তমানে বিপন্ন বৃক্ষ। একহারা গড়ন, পাতার আলঙ্কারিক অবয়ব আর ফুলের অপার সৌন্দর্য ও সৌরভ এই উদ্ভিদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য। এ কারণে এরা পথতরু হিসেবেও আদর্শ।
কনিয়ারি (Gardenia coronaria) আমাদের পাহাড়ি ফুল হলেও নগর-উদ্যানে অনেকটাই দুর্লভ। আমাদের তিন পার্বত্য জেলায় এরা খুব সহজেই জন্মে ও বেড়ে ওঠে। সেখানকার পাহাড়ি ঢাল এবং বনের প্রান্তে বেশি দেখা যায়। ঢাকায় মিরপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনে কয়েকটি গাছ দেখা যায়। বসন্তের প্রায় শেষ দিকে সারা গাছজুড়ে অসংখ্য ফুল ফুটতে শুরু করে। এই ফুলের প্রস্ফুটন প্রক্রিয়া ততটা নিবিড় না হলেও ফুলের মধুগন্ধই প্রধান আকর্ষণ। স্থানীয়ভাবে এই গাছ আরও অনেক নামে পরিচিত, যেমন—বনকমল, বাতা, বেলা, কনিয়ারি, কইনর, কোনিয়ারা, রাঙখাই ইত্যাদি।
গন্ধরাজ গুল্মশ্রেণির ঝোপাল ধরনের গাছ হলেও কনিয়ারি মূলত মাঝারি উচ্চতার গাছ। ডালপালা বিক্ষিপ্ত, পাতাও ততটা ঘনবদ্ধ নয়। বছরে একবার পাতা ঝরায়। পাতা মসৃণ, বল্লমাকার এবং উপপত্রযুক্ত। পাতার বোঁটা খাটো, অন্তত ১ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। পত্রফলক ৬ থেকে ২০ সেন্টিমিটার, শীর্ষ অভিমুখ অনেকটাই অস্পষ্ট। ফুল একক, সুগন্ধি ও পাতার কোলেই ফোটে। বৃতি ফলক বেলানকার চকচকে ও পাতলা। এই ফুলের পাপড়ির সংখ্যা ৫। ফুলের রঙ প্রথমে হালকা হলুদ থাকে, পরে ধীরে ধীরে গাঢ় হলুদ রঙ ধারণ করে। ফুলের নল ৫ থেকে ১০ সেন্টিমিটার লম্বা। ফুল শেষ হওয়ার আগেই গাছে ফল আসে। ফল আড়াই সেন্টিমিটার লম্বা এবং মসৃণ খাঁজযুক্ত।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫