মো. জহিরুল হক বাবু, বুড়িচং
নিমপাতার রস ও মেহগনি বীজ থেকে ঘরোয়া পদ্ধতিতে জৈব কীটনাশক তৈরি করছেন কৃষক। এটি ব্যবহারে পোকামাকড় দূর হওয়ার পাশাপাশি ফসলের বিভিন্ন রোগবালাই কম হচ্ছে। এতে বেশি দামের রাসায়নিক কীটনাশকের খরচ কমে যাওয়ায় লাভবান হচ্ছেন কৃষক। ফলনও বাড়ছে। অপর দিকে বিষমুক্ত সবজি পাচ্ছেন ভোক্তারা।
এই পদ্ধতিতে সাফল্য পেয়ে এলাকায় সাড়া ফেলেছেন বুড়িচং উপজেলার ভারেল্লা দক্ষিণ ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলাম। তাঁকে এ কাজে সাহায্য করছে উপজেলা কৃষি অফিস।
এই কীটনাশক তৈরির পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, এক কেজি নিমপাতা ছেঁচে রস বের করে তিন লিটার পানিতে মেশানো হয়। এটি ২০ মিনিট চুলায় তাপ দিলে লাল চায়ের মতো রং ধারণ করে। এরপর এক লিটার পানির সঙ্গে পাঁচ মিলি নিমতেল ও তিন গ্রাম ডিটারজেন্ট মিশ্রণ করা হয়। হাতের তৈরি এই কীটনাশক ছিটিয়ে দিলে পোকামাকড়, রোগবালাইয়ের আক্রমণ থাকে না।
এবার সিরাজুল ইসলাম এই পদ্ধতি ব্যবহার করে এক একর জমিতে বিষমুক্ত টমেটো চাষে সাফল্য পেয়েছেন। তা ছাড়া মেহগনিগাছের বীজের ভেতরের সাদা অংশ ছেঁচে রাতে পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হয়। সকালে পরিমাণ মতো রসুন, ডিটারজেন্ট মিশ্রণ করে জমিতে ছিটানো যায়।
নিরাপদ এই সবজি উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বুড়িচং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বিক তত্ত্বাবধানে রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার ছাড়া টমেটো চাষের সাফল্যের পর পর্যায়ক্রমে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ পদ্ধতি ব্যবহার শুরুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, বুড়িচং উপজেলার নিমসার, রামপুর, শংকুচাইল, ভারেল্লাসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে কৃষকদের জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করাতে বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। শুরুতে উপসহকারী কৃষি অফিসারদের পাক্ষিক প্রশিক্ষণে জৈব বালাইনাশক তৈরি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। পরবর্তীকালে তাঁরা স্থানীয় কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে বিষমুক্ত সবজি চাষ কার্যক্রমটি বাস্তবায়ন করছেন।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোছা. সুলতানা ইয়াসমিন জানান, প্রতিবছর টমেটো চাষ করলেও কীটনাশকের খরচ ও রোগবালাইয়ের আক্রমণ মিলিয়ে আর্থিকভাবে কৃষক লাভবান হতে পারছিলেন না।
কৃষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘কৃষি বিভাগ থেকে হাতে বালাইনাশক তৈরির প্রশিক্ষণ পেয়েছি। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর জমিতে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ কম হয়েছে। খরচ কমে অর্ধেকে নেমে এসেছে এবং ফলন হয়েছে দ্বিগুণ।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা বানিন রায় বলেন, পোকা দমনে অতি মাত্রায় রাসায়নিক কীটনাশকের ব্যবহার করা হতো। যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। পাশাপাশি বিষ ছিটানোয় কৃষকেরা জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই কৃষকদের বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন এবং প্রয়োজনে রাসায়নিক কীটনাশকের যুক্তিসংগত ব্যবহার বিষয়ে অভ্যস্ত করতে কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
নিমপাতার রস ও মেহগনি বীজ থেকে ঘরোয়া পদ্ধতিতে জৈব কীটনাশক তৈরি করছেন কৃষক। এটি ব্যবহারে পোকামাকড় দূর হওয়ার পাশাপাশি ফসলের বিভিন্ন রোগবালাই কম হচ্ছে। এতে বেশি দামের রাসায়নিক কীটনাশকের খরচ কমে যাওয়ায় লাভবান হচ্ছেন কৃষক। ফলনও বাড়ছে। অপর দিকে বিষমুক্ত সবজি পাচ্ছেন ভোক্তারা।
এই পদ্ধতিতে সাফল্য পেয়ে এলাকায় সাড়া ফেলেছেন বুড়িচং উপজেলার ভারেল্লা দক্ষিণ ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলাম। তাঁকে এ কাজে সাহায্য করছে উপজেলা কৃষি অফিস।
এই কীটনাশক তৈরির পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, এক কেজি নিমপাতা ছেঁচে রস বের করে তিন লিটার পানিতে মেশানো হয়। এটি ২০ মিনিট চুলায় তাপ দিলে লাল চায়ের মতো রং ধারণ করে। এরপর এক লিটার পানির সঙ্গে পাঁচ মিলি নিমতেল ও তিন গ্রাম ডিটারজেন্ট মিশ্রণ করা হয়। হাতের তৈরি এই কীটনাশক ছিটিয়ে দিলে পোকামাকড়, রোগবালাইয়ের আক্রমণ থাকে না।
এবার সিরাজুল ইসলাম এই পদ্ধতি ব্যবহার করে এক একর জমিতে বিষমুক্ত টমেটো চাষে সাফল্য পেয়েছেন। তা ছাড়া মেহগনিগাছের বীজের ভেতরের সাদা অংশ ছেঁচে রাতে পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হয়। সকালে পরিমাণ মতো রসুন, ডিটারজেন্ট মিশ্রণ করে জমিতে ছিটানো যায়।
নিরাপদ এই সবজি উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বুড়িচং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বিক তত্ত্বাবধানে রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার ছাড়া টমেটো চাষের সাফল্যের পর পর্যায়ক্রমে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ পদ্ধতি ব্যবহার শুরুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, বুড়িচং উপজেলার নিমসার, রামপুর, শংকুচাইল, ভারেল্লাসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে কৃষকদের জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করাতে বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। শুরুতে উপসহকারী কৃষি অফিসারদের পাক্ষিক প্রশিক্ষণে জৈব বালাইনাশক তৈরি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। পরবর্তীকালে তাঁরা স্থানীয় কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে বিষমুক্ত সবজি চাষ কার্যক্রমটি বাস্তবায়ন করছেন।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোছা. সুলতানা ইয়াসমিন জানান, প্রতিবছর টমেটো চাষ করলেও কীটনাশকের খরচ ও রোগবালাইয়ের আক্রমণ মিলিয়ে আর্থিকভাবে কৃষক লাভবান হতে পারছিলেন না।
কৃষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘কৃষি বিভাগ থেকে হাতে বালাইনাশক তৈরির প্রশিক্ষণ পেয়েছি। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর জমিতে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ কম হয়েছে। খরচ কমে অর্ধেকে নেমে এসেছে এবং ফলন হয়েছে দ্বিগুণ।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা বানিন রায় বলেন, পোকা দমনে অতি মাত্রায় রাসায়নিক কীটনাশকের ব্যবহার করা হতো। যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। পাশাপাশি বিষ ছিটানোয় কৃষকেরা জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই কৃষকদের বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন এবং প্রয়োজনে রাসায়নিক কীটনাশকের যুক্তিসংগত ব্যবহার বিষয়ে অভ্যস্ত করতে কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪