রহিম রেজা, ঝালকাঠি
করোনার নতুন বিস্তারের মধ্যেও ঝালকাঠিতে জনসাধারণের অধিকাংশের মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই। করোনা থেকে সুরক্ষায় সবাইকে মাস্ক পরতে বলা হলেও সেটি মানছেন না অনেকেই। যারা দৈনন্দিন প্রয়োজনে বাইরে বের হচ্ছেন তাঁদের অনেকেরই মাস্ক নেই। আবার যাদের আছে তাঁদের অনেকেই সেটিকে থুতনিতে ঝুলিয়ে রেখেছেন। এতে করে সংক্রমণের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
ঝালকাঠিতে গণপরিবহনে মাস্ক পরার বিষয়টি সবচেয়ে বেশি উপেক্ষিত। তবে শুধু গণপরিবহনই নয়, বরং শপিং কমপ্লেক্স, স্থানীয় বাজার, হাসপাতাল, অফিস-আদালতে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা নেই। মাস্ক ব্যবহারেও সচেতন হচ্ছে না স্থানীয় জনসাধারণ। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী বাসের জানালা, দরজায় ‘নো মাস্ক, নো এন্ট্রি’ এবং বিভিন্ন অফিস, আদালত ও মার্কেটের সামনে ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ লেখা থাকলেও, অধিকাংশ স্থানেই তা আগের মতো মানা হচ্ছে না।
বিভিন্ন গণপরিবহন ঘুরে দেখা গেছে, করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্যেও যাত্রীদের মধ্যে নেই তেমন সচেতনতা। গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি অনেকটাই অনুপস্থিত। যাত্রীদের অধিকাংশই মাস্ক পরছেন না, যারা পরছেন তারাও ঠিকঠাক পরছেন না। অনেকেই আবার মাস্ক লাগিয়ে রেখেছেন থুতনিতে।
ঝালকাঠি বাস টার্মিনালে বরিশালগামী একটি বাসে উঠে দেখা গেছে, মাস্ক পরেনি এমন যাত্রীও তোলা হচ্ছে বাসে। তবে চালকের কোনো সহযোগীর মুখেই মাস্ক নেই। বেশির ভাগ বাসেই দাঁড়িয়ে যাত্রী নিতে দেখা গেছে। স্যানিটাইজার দিয়ে যাত্রীদের হাত পরিষ্কারের বিষয়টি বাসে মানা হচ্ছে না। মাস্ক ছাড়া যাত্রী তোলার কারণ হিসেবে চালকের সহযোগী মইনুল ইসলাম বলেন, যাত্রীরা মাস্ক পরতে চান না। আমরা না নিলে তো অন্য কোনো গাড়িতে ঠিকই যাবে। এ জন্য কোনো যাত্রীকে না করতে পারি না।
অন্যদিকে হাসপাতাল, আদালত এবং শপিং সেন্টারগুলোতে (মার্কেট) মানুষের গাদাগাদি। ঝালকাঠি শহরের কুমার পট্টি মার্কেট থেকে বের হওয়া তিনজনের দুজনের মুখেই নেই মাস্ক। ফারুক নামের আরেক জনের মাস্ক ঝুলছিল গলায়। তিনি বললেন, ‘বেশিক্ষণ মাস্ক পরে থাকতে পারি না। শ্বাস নিতে কষ্ট হয়।’
গণপরিবহনের মতোই বিধিনিষেধ উপেক্ষিত হোটেল, রেস্তোরাঁ, বাজার ও বিপণিবিতানে। একটি রেস্তোরাঁয় গিয়ে কথা হয় ব্যবস্থাপক মো. মাইনউদ্দিনের সঙ্গে। তিনি অকপটে স্বীকার করেন, খেতে আসা ব্যক্তিদের কাছে টিকা সনদ দেখতে চান না তাঁরা। টিকার সনদ দেখাতে বললে অনেকে বিরক্ত হয়ে না খেয়ে চলে যান।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে মানুষের উপচেপড়া ভিড়। বিক্রেতাদের অধিকাংশের মুখে মাস্ক নেই। মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব। সবজি, ফল, মাছ ও মুরগির ২০টি দোকান ঘুরে দেখা যায়, কেবল একজন মাছ ও একজন সবজি বিক্রেতার মুখে মাস্ক আছে।
জানতে চাইলে সবজি বিক্রেতা আব্বাস শিকদার বলেন, সব সময় মাস্ক পরা হয় না। তবে ক্রেতা এলে তখন মুখে মাস্ক পরেন তিনি।
সদর হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, চিকিৎসাসেবা প্রত্যাশীরা যখন ডাক্তারের কক্ষে যান তখন মাস্ক পড়ে প্রবেশ করেন। কিন্তু কক্ষে প্রবেশের আগে এবং কক্ষ থেকে বের হয়ে তারা মাস্ক ব্যবহার করছেন না।
স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা তৈরি না হওয়া প্রসঙ্গে সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. আমির হোসাইন বলেন, ‘প্রজ্ঞাপন জারি করে মাস্ক পরতে বলা হয়েছে। এসব কাজে মানুষের আচরণগত পরিবর্তন করতে হয়। সেখানে উদ্বুদ্ধ করতে হয়, বাধ্য করতে হয়। জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হয়। এ জায়গায় আমাদের দুর্বলতা আছে। আমরা জনগণকে মাস্ক ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে পারিনি।’
তিনি বলেন, ‘মাস্ক পরার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে উৎসাহ দিতে হবে। অন্যদিকে মাস্ক পরাতে সবাইকে বাধ্য করতে হবে। পাশাপাশি পাড়া-মহল্লায় গণ তদারকি কমিটি করে সবাইকে মাস্ক পরার কথা বলতে হবে, প্রয়োজনে বাধ্য করতে হবে।’
জেলা প্রশাসক জোহর আলী বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মানতে এবং সরকারি নির্দেশনা মানাতে মাইকিংসহ সচেতনতামূলক প্রচার অব্যাহত রয়েছে।’
করোনার নতুন বিস্তারের মধ্যেও ঝালকাঠিতে জনসাধারণের অধিকাংশের মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই। করোনা থেকে সুরক্ষায় সবাইকে মাস্ক পরতে বলা হলেও সেটি মানছেন না অনেকেই। যারা দৈনন্দিন প্রয়োজনে বাইরে বের হচ্ছেন তাঁদের অনেকেরই মাস্ক নেই। আবার যাদের আছে তাঁদের অনেকেই সেটিকে থুতনিতে ঝুলিয়ে রেখেছেন। এতে করে সংক্রমণের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
ঝালকাঠিতে গণপরিবহনে মাস্ক পরার বিষয়টি সবচেয়ে বেশি উপেক্ষিত। তবে শুধু গণপরিবহনই নয়, বরং শপিং কমপ্লেক্স, স্থানীয় বাজার, হাসপাতাল, অফিস-আদালতে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা নেই। মাস্ক ব্যবহারেও সচেতন হচ্ছে না স্থানীয় জনসাধারণ। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী বাসের জানালা, দরজায় ‘নো মাস্ক, নো এন্ট্রি’ এবং বিভিন্ন অফিস, আদালত ও মার্কেটের সামনে ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ লেখা থাকলেও, অধিকাংশ স্থানেই তা আগের মতো মানা হচ্ছে না।
বিভিন্ন গণপরিবহন ঘুরে দেখা গেছে, করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্যেও যাত্রীদের মধ্যে নেই তেমন সচেতনতা। গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি অনেকটাই অনুপস্থিত। যাত্রীদের অধিকাংশই মাস্ক পরছেন না, যারা পরছেন তারাও ঠিকঠাক পরছেন না। অনেকেই আবার মাস্ক লাগিয়ে রেখেছেন থুতনিতে।
ঝালকাঠি বাস টার্মিনালে বরিশালগামী একটি বাসে উঠে দেখা গেছে, মাস্ক পরেনি এমন যাত্রীও তোলা হচ্ছে বাসে। তবে চালকের কোনো সহযোগীর মুখেই মাস্ক নেই। বেশির ভাগ বাসেই দাঁড়িয়ে যাত্রী নিতে দেখা গেছে। স্যানিটাইজার দিয়ে যাত্রীদের হাত পরিষ্কারের বিষয়টি বাসে মানা হচ্ছে না। মাস্ক ছাড়া যাত্রী তোলার কারণ হিসেবে চালকের সহযোগী মইনুল ইসলাম বলেন, যাত্রীরা মাস্ক পরতে চান না। আমরা না নিলে তো অন্য কোনো গাড়িতে ঠিকই যাবে। এ জন্য কোনো যাত্রীকে না করতে পারি না।
অন্যদিকে হাসপাতাল, আদালত এবং শপিং সেন্টারগুলোতে (মার্কেট) মানুষের গাদাগাদি। ঝালকাঠি শহরের কুমার পট্টি মার্কেট থেকে বের হওয়া তিনজনের দুজনের মুখেই নেই মাস্ক। ফারুক নামের আরেক জনের মাস্ক ঝুলছিল গলায়। তিনি বললেন, ‘বেশিক্ষণ মাস্ক পরে থাকতে পারি না। শ্বাস নিতে কষ্ট হয়।’
গণপরিবহনের মতোই বিধিনিষেধ উপেক্ষিত হোটেল, রেস্তোরাঁ, বাজার ও বিপণিবিতানে। একটি রেস্তোরাঁয় গিয়ে কথা হয় ব্যবস্থাপক মো. মাইনউদ্দিনের সঙ্গে। তিনি অকপটে স্বীকার করেন, খেতে আসা ব্যক্তিদের কাছে টিকা সনদ দেখতে চান না তাঁরা। টিকার সনদ দেখাতে বললে অনেকে বিরক্ত হয়ে না খেয়ে চলে যান।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে মানুষের উপচেপড়া ভিড়। বিক্রেতাদের অধিকাংশের মুখে মাস্ক নেই। মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব। সবজি, ফল, মাছ ও মুরগির ২০টি দোকান ঘুরে দেখা যায়, কেবল একজন মাছ ও একজন সবজি বিক্রেতার মুখে মাস্ক আছে।
জানতে চাইলে সবজি বিক্রেতা আব্বাস শিকদার বলেন, সব সময় মাস্ক পরা হয় না। তবে ক্রেতা এলে তখন মুখে মাস্ক পরেন তিনি।
সদর হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, চিকিৎসাসেবা প্রত্যাশীরা যখন ডাক্তারের কক্ষে যান তখন মাস্ক পড়ে প্রবেশ করেন। কিন্তু কক্ষে প্রবেশের আগে এবং কক্ষ থেকে বের হয়ে তারা মাস্ক ব্যবহার করছেন না।
স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা তৈরি না হওয়া প্রসঙ্গে সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. আমির হোসাইন বলেন, ‘প্রজ্ঞাপন জারি করে মাস্ক পরতে বলা হয়েছে। এসব কাজে মানুষের আচরণগত পরিবর্তন করতে হয়। সেখানে উদ্বুদ্ধ করতে হয়, বাধ্য করতে হয়। জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হয়। এ জায়গায় আমাদের দুর্বলতা আছে। আমরা জনগণকে মাস্ক ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে পারিনি।’
তিনি বলেন, ‘মাস্ক পরার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে উৎসাহ দিতে হবে। অন্যদিকে মাস্ক পরাতে সবাইকে বাধ্য করতে হবে। পাশাপাশি পাড়া-মহল্লায় গণ তদারকি কমিটি করে সবাইকে মাস্ক পরার কথা বলতে হবে, প্রয়োজনে বাধ্য করতে হবে।’
জেলা প্রশাসক জোহর আলী বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মানতে এবং সরকারি নির্দেশনা মানাতে মাইকিংসহ সচেতনতামূলক প্রচার অব্যাহত রয়েছে।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫