গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের হাউলি কেউটিল বক্স ফকির এলাকার বাসিন্দা জহুরা খাতুন। স্কুলের প্রয়োজনে মেয়ের জন্মসনদের ভুল সংশোধন করতে এক মাস আগে গোয়ালন্দ পৌরসভায় যান তিনি।
পৌর কর্মকর্তারা তাঁকে জানান, সন্তানের জন্মসনদ ঠিক করতে হলে মা-বাবার জন্মসনদ অবশ্যই থাকতে হবে এবং তা ঠিকও হতে হবে। জহুরা জানান, তাঁর জন্মসনদ ঠিক থাকলেও স্বামীরটাতে ভুল ছিল। সেটি ঠিক করতে বেশ কয়েক দিন পৌরসভার সংশ্লিষ্ট শাখায় ঘোরাঘুরি করে দরখাস্ত করেন। এতেও ভোগান্তি শেষ হয়নি। জানানো হয়, পৌরসভা থেকে দরখাস্ত অনুমোদন করে পরে তা ডিসি অফিসে জমা দিতে হবে। অথচ কয়েক দিন আগেও পৌর কর্তৃপক্ষ নিজেই সেটি জমা দিত।
জহুরার মতো পৌরসভার অনেকেই জন্মনিবন্ধন করতে এসে এবং ভুল সংশোধনের জন্য গিয়ে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। ভুক্তভোগীদের ভাষ্য, জন্মসনদের ভুল সংশোধনের জন্য আবেদন করার শর্তে জটিলতা রয়েছে। রয়েছে সনদ প্রদানে দীর্ঘসূত্রতা। সরকারি ফির বাইরেও নেওয়া হচ্ছে অর্থ। পাসপোর্ট তৈরি, বিয়ে ও জমি রেজিস্ট্রেশন, শিশুদের করোনার টিকা এবং স্কুলে ভর্তিসহ ১৭টি সেবার ক্ষেত্রে জন্মসনদ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু এটি পেতে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ভুক্তভোগী জাহিদ হাসান বলেন, ‘ছেলের জন্মসনদ করতে এসে জানতে পারি আগে নিজেরটা ঠিক করতে হবে। জানতাম না কোথায়, কী করতে হয়। বেশ কিছুদিন ঘুরতে ঘুরতে আবেদন করতে পেরেছি। তা-ও রাজবাড়ী গিয়ে। এত ভোগান্তি আগে কখনো পোহাতে হয়নি। যদি জরুরি না হতো কোনো দিনই করতাম না।’
জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন কার্যালয়ের জনবলসংকট, ইন্টারনেটের ধীরগতি ও কেন্দ্রীয় সার্ভারে নানা জটিলতার কারণে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সেবাপ্রার্থীরা। সম্প্রতি দেশে ১২ থেকে ১৮ বছরের শিশুদের করোনার টিকা কার্যক্রম শুরু হলে জন্মনিবন্ধনের সনদ উত্তোলনের হার বেড়ে যায়। কিন্তু এই সনদ সংগ্রহ করতে গিয়ে অভিভাবকেরা ঘাটে ঘাটে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। দিতে হচ্ছে বাড়তি টাকাও। আবার অনেকের জন্মসনদ সংশোধন করতে হচ্ছে। সেখানে ভোগান্তি আরও বেশি। এ ছাড়া জন্মসনদ উত্তোলন ও সংশোধনকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে দালালচক্র।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পৌরসভার এক কর্মকর্তা জানান, জনবলসংকট, ত্রুটিপূর্ণ প্রযুক্তির ব্যবহার, ইন্টারনেটের ধীরগতি, কেন্দ্রীয় সার্ভারে ত্রুটি, সেবাদানকারীর দুর্ব্যবহার, তথ্য প্রদানে অনীহা এবং নাগরিকদের সচেতনতার অভাবে জন্মনিবন্ধন সনদ কার্যক্রম দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।
জন্মনিবন্ধন সংশোধনে ভোগান্তির বিষয়ে প্যানেল মেয়র মো. ফজলুল হক বলেন, ‘সংশোধনে প্রকৃতপক্ষে কোনো ভোগান্তিই নেই। অনলাইনে ঘরে বসে সহজেই সংশোধন করা যায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ জন্মনিবন্ধনের বিষয়ে এত দিন সচেতন ছিল না। এখন সচেতন হচ্ছে। কারণ, ১৭টি সেবা পেতে বাধ্যতামূলকভাবে জন্মসনদ লাগে।’
জন্মনিবন্ধনে নতুন করে করতে কিংবা সংশোধনে বেশি টাকা নেওয়া হচ্ছে—এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে ফজলুল হক বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব। জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধনে খুবই সামান্য পরিমাণে ফি দিতে হয়।’
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের হাউলি কেউটিল বক্স ফকির এলাকার বাসিন্দা জহুরা খাতুন। স্কুলের প্রয়োজনে মেয়ের জন্মসনদের ভুল সংশোধন করতে এক মাস আগে গোয়ালন্দ পৌরসভায় যান তিনি।
পৌর কর্মকর্তারা তাঁকে জানান, সন্তানের জন্মসনদ ঠিক করতে হলে মা-বাবার জন্মসনদ অবশ্যই থাকতে হবে এবং তা ঠিকও হতে হবে। জহুরা জানান, তাঁর জন্মসনদ ঠিক থাকলেও স্বামীরটাতে ভুল ছিল। সেটি ঠিক করতে বেশ কয়েক দিন পৌরসভার সংশ্লিষ্ট শাখায় ঘোরাঘুরি করে দরখাস্ত করেন। এতেও ভোগান্তি শেষ হয়নি। জানানো হয়, পৌরসভা থেকে দরখাস্ত অনুমোদন করে পরে তা ডিসি অফিসে জমা দিতে হবে। অথচ কয়েক দিন আগেও পৌর কর্তৃপক্ষ নিজেই সেটি জমা দিত।
জহুরার মতো পৌরসভার অনেকেই জন্মনিবন্ধন করতে এসে এবং ভুল সংশোধনের জন্য গিয়ে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। ভুক্তভোগীদের ভাষ্য, জন্মসনদের ভুল সংশোধনের জন্য আবেদন করার শর্তে জটিলতা রয়েছে। রয়েছে সনদ প্রদানে দীর্ঘসূত্রতা। সরকারি ফির বাইরেও নেওয়া হচ্ছে অর্থ। পাসপোর্ট তৈরি, বিয়ে ও জমি রেজিস্ট্রেশন, শিশুদের করোনার টিকা এবং স্কুলে ভর্তিসহ ১৭টি সেবার ক্ষেত্রে জন্মসনদ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু এটি পেতে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ভুক্তভোগী জাহিদ হাসান বলেন, ‘ছেলের জন্মসনদ করতে এসে জানতে পারি আগে নিজেরটা ঠিক করতে হবে। জানতাম না কোথায়, কী করতে হয়। বেশ কিছুদিন ঘুরতে ঘুরতে আবেদন করতে পেরেছি। তা-ও রাজবাড়ী গিয়ে। এত ভোগান্তি আগে কখনো পোহাতে হয়নি। যদি জরুরি না হতো কোনো দিনই করতাম না।’
জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন কার্যালয়ের জনবলসংকট, ইন্টারনেটের ধীরগতি ও কেন্দ্রীয় সার্ভারে নানা জটিলতার কারণে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সেবাপ্রার্থীরা। সম্প্রতি দেশে ১২ থেকে ১৮ বছরের শিশুদের করোনার টিকা কার্যক্রম শুরু হলে জন্মনিবন্ধনের সনদ উত্তোলনের হার বেড়ে যায়। কিন্তু এই সনদ সংগ্রহ করতে গিয়ে অভিভাবকেরা ঘাটে ঘাটে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। দিতে হচ্ছে বাড়তি টাকাও। আবার অনেকের জন্মসনদ সংশোধন করতে হচ্ছে। সেখানে ভোগান্তি আরও বেশি। এ ছাড়া জন্মসনদ উত্তোলন ও সংশোধনকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে দালালচক্র।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পৌরসভার এক কর্মকর্তা জানান, জনবলসংকট, ত্রুটিপূর্ণ প্রযুক্তির ব্যবহার, ইন্টারনেটের ধীরগতি, কেন্দ্রীয় সার্ভারে ত্রুটি, সেবাদানকারীর দুর্ব্যবহার, তথ্য প্রদানে অনীহা এবং নাগরিকদের সচেতনতার অভাবে জন্মনিবন্ধন সনদ কার্যক্রম দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।
জন্মনিবন্ধন সংশোধনে ভোগান্তির বিষয়ে প্যানেল মেয়র মো. ফজলুল হক বলেন, ‘সংশোধনে প্রকৃতপক্ষে কোনো ভোগান্তিই নেই। অনলাইনে ঘরে বসে সহজেই সংশোধন করা যায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ জন্মনিবন্ধনের বিষয়ে এত দিন সচেতন ছিল না। এখন সচেতন হচ্ছে। কারণ, ১৭টি সেবা পেতে বাধ্যতামূলকভাবে জন্মসনদ লাগে।’
জন্মনিবন্ধনে নতুন করে করতে কিংবা সংশোধনে বেশি টাকা নেওয়া হচ্ছে—এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে ফজলুল হক বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব। জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধনে খুবই সামান্য পরিমাণে ফি দিতে হয়।’
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৩ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৩ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৩ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫