Ajker Patrika

লোকবল সংকটে ভোগান্তি

সুব্রত কুমার, কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ)
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২১, ১৪: ২২
লোকবল সংকটে ভোগান্তি

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) কর্মকর্তার ইউনিট কার্যালয়ে লোকবল সংকটে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক কার্যক্রম। প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় সেবা নিতে এসে ভোগান্তিতে পড়ছেন গ্রাহকেরা। এ সমস্যা থেকে দ্রুত উত্তরণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

জানা যায়, কোটচাঁদপুর বিএডিসি ইউনিট অফিসটিতে পদ রয়েছে ৩টি। এর মধ্যে জনবল রয়েছে মাত্র একটি পদে। কার্যালয়ের একমাত্র উপসহকারী প্রকৌশলী পদে রয়েছেন আব্দুল্লা আল মামুন। এ ছাড়া বাকি দুই পদ (মেকানিক ও সহকারী মেকানিক) শূন্য রয়েছে। অফিসে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করছেন ঝাড়ুদার ছাহেরা খাতুন এবং কার্য সহকারী মাসুদুর রহমান। তবে সেবা গ্রহীতাদের অভিযোগ, বিভিন্ন সময়ে অফিসে এসেও আব্দুল্লা আল মামুনকে পান না তারা।

রোববার সকালে সরেজমিন বিএডিসিতে গিয়ে জানা যায়, সেখানে বেশ কিছু লোকের ভিড়। এর মধ্যে একতা সমবায় সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে চাষাবাদের জন্য গভীর নলকূপের সেবার সঙ্গে সম্পৃক্ত আমি। আগে বিল ব্যাংকে দিতাম। তখন অত সমস্যা হতো না। এখন কার্ড করে দেওয়ায় অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।

সাইফুল ইসলামের অভিযোগ, কখনো অফিসের লোক থাকে না, আবার কখন টাকা রিচার্জ করতে যেতে হয় কালিগঞ্জ ও ঝিনাইদহে। এতে করে টাকা, সময় ও শ্রম উভয়ই নষ্ট হচ্ছে।

মহেশপুর উপজেলা ফতেপুর ইউনিয়নের চাঁনপাড়া গ্রামের গভীর নলকূপের চালক আসাদুল ইসলাম বলেন, মহেশপুর থেকে কার্ডে টাকা রিচার্জ করতে কাজ ফেলে আসতে হয়েছে। এসে দেখি অফিসে কেউ নাই। এ ভাবে দিনের পর দিন বিএডিসি কার্যালয়ে এসে টাকা ভরে নলকূপের সেবা নিয়ে আসছেন তিনি।

মোটরের লাইসেন্স করতে আসা হারুন বলেন, গত ১১ মাস আগে মোটরের লাইসেন্স করতে কাগজপত্র দিয়ে গেছি। আজও লাইসেন্স পাইনি। অফিসে আসলে কর্মকর্তাকে না পেয়ে ফিরে যাই।

অফিসের সার্বক্ষণিক দেখাশোনার কাজে নিয়োজিত ছাহেরা খাতুন বলেন, তাকে দিয়ে অফিসের সব কাজ করানো হলেও সে তুলনায় টাকা পান তিনি। ছাহেরা খাতুন বলেন, গত ২৫ বছর ধরে আমি এ অফিসে কাজ করছি।

তিনি বলেন, প্রথমে একশত টাকা দিয়ে কাজ শুরু করি। পরে প্রকল্প চালু হলে এক হাজার ৮০০ টাকা করে বেতন পেতাম। এখন স্যারেরা যা দেন, তাতেই চলে।

বিষয়টি নিয়ে কার্যালয়ের কার্য সহকারী মাসুদুর রহমান বলেন, প্রকল্পে আমার কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া। এখানে কম্পিউটার নাই। এ কারণে অফিস খোলা আর বন্ধ করা আমার কাজ।

এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর (বিএডিসি) অফিসের উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুল্লা আল মামুন জানান, লোকবল সংকটের কারণে সেবা নিতে আসা গ্রাহকেরা কিছুটা হয়রানির শিকার হতে হয়। তবে খুব শিগগির এ সংকট থেকে উত্তরণ ঘটবে। এ নিয়ে কাজ চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাকা দিয়ে নারীর চাবুকের ঘা খাচ্ছিলেন পুরুষ, দুজন গ্রেপ্তার

ভারতের সঙ্গে সংঘাতে পাকিস্তানের ভাগ্যনিয়ন্তা সেনাপ্রধান জেনারেল মুনির

প্রবাসীর রেমিট্যান্সের অর্থ আত্মসাৎ, নারী ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে

পাকিস্তানে কীভাবে হামলা চালাতে পারে ভারত, ইতিহাস যা বলছে

আইপিএলে চাহালের রেকর্ড হ্যাটট্রিকের রাতে রহস্যময় পোস্ট এই নারীর

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত