Ajker Patrika

কন্যাসন্তানের মা-বাবার মর্যাদা

আবদুল আযীয কাসেমি
কন্যাসন্তানের মা-বাবার মর্যাদা

জাহিলি সমাজে কন্যাসন্তানের জন্মকে দেখা হতো অভিশাপরূপে। মহানবী (সা.) ঘোষণা করলেন, কন্যাসন্তান সুখবর নিয়ে আসে। যারা কন্যাসন্তান জন্ম নিলে অসন্তুষ্ট হয়, তাদের নিন্দা করেছেন আল্লাহ তাআলা। এরশাদ হচ্ছে, ‘যখন তাদের কাউকে কন্যাসন্তান জন্মের সুসংবাদ দেওয়া হয়, তার চেহারা কালো হয়ে যায় এবং সে অসহনীয় মনস্তাপে ক্লিষ্ট হয়। তাকে যে সুসংবাদ দেওয়া হয়, তার গ্লানির কারণে সে নিজ সম্প্রদায় হতে আত্মগোপন করে; সে চিন্তা করে যে, হীনতা সত্ত্বেও সে তাকে রেখে দিবে, নাকি মাটিতে পুঁতে ফেলবে। দেখো, সে কত নিকৃষ্ট সিদ্ধান্ত স্থির করেছিল।’ (সুরা নাহল: ৫৮-৫৯)

কন্যাসন্তানের মা-বাবা ও অভিভাবকদের বিশেষ মর্যাদা ঘোষণা করেছে ইসলাম। মহানবী (সা) বলেন, ‘যে ব্যক্তির তিনটি কন্যাসন্তান বা তিনজন বোন আছে, আর সে তাদের সঙ্গে উত্তম আচরণ করেছে এবং তাদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করেছে, তার জন্য রয়েছে জান্নাত।’ (তিরমিজি: ১৯১৬)

মহানবী (সা) আরও বলেন, ‘যে ব্যক্তিকে কন্যা লালন-পালনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং সে ধৈর্যের সঙ্গে তা সম্পাদন করেছে, সে কন্যা তার জন্য জাহান্নাম থেকে আড়াল স্বরূপ হবে।’ (তিরমিজি: ১৯১৩)

আরেক হাদিসে আরও বড় ফজিলতের কথা বর্ণিত হয়েছে। মহানবী (সা) বলেন, ‘যে ব্যক্তি দুইজন কন্যাসন্তানকে লালন-পালন ও দেখাশোনা করল, বিয়ের সময় হলে ভালো পাত্র দেখে বিয়ে দিল, কেয়ামতের দিন সে এবং আমি দুই আঙুলের মতোই একসঙ্গে (জান্নাতে) প্রবেশ করব।’ ইঙ্গিতে তিনি দুই আঙুল মিলিয়ে দেখালেন। (তিরমিজি: ১৯১৪)

এ তিনটি হাদিস মিলিয়ে দেখলে কন্যাসন্তান লালন-পালনের তিনটি মৌলিক ফজিলত ও মর্যাদার কথা আমরা দেখতে পাই। এক. আল্লাহ তাআলা জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেবেন। দুই. জান্নাতের মতো মহান নেয়ামত ও মর্যাদায় সিক্ত করবেন। তিন. জান্নাতে প্রিয় নবী (সা.)-এর সঙ্গী হওয়ার মতো বিরল সৌভাগ্য দান করবেন। 

লেখক: শিক্ষক ও হাদিস গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত