Ajker Patrika

নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে খাতুনগঞ্জ দাম কমল পেঁয়াজের

সবুর শুভ, চট্টগ্রাম
আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১: ০৬
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে খাতুনগঞ্জ দাম কমল পেঁয়াজের

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার খবরে বাংলাদেশে ভোগ্যপণ্যের অন্যতম পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজের দাম মানভেদে কেজিতে ১৫-২০ টাকা কমেছে। তবে কোনো কারণে ভারত পেঁয়াজ দিতে দেরি করলে রমজানের বাজারে পেঁয়াজের দামের লাগাম টেনে ধরা কঠিন হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

এ বিষয়ে খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস জানান, এখন বাজারে থাকা পেঁয়াজগুলো বেশি দামে কেনা হয়েছিল। ভারত থেকে আমদানি শুরু হবে-এমন সম্ভাবনায় সবাই দ্রুত মালামাল বিক্রি করতে চেয়েছিলেন। কারণ মজুত থাকলে লোকসান হতে পারে। এ জন্য দাম কিছুটা কমে। 

খাতুনগঞ্জ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, তিন দিন আগে খাতুনগঞ্জে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ছিল পাইকারিতে ১১০-১১৫ টাকা। দেশি পেঁয়াজ ছিল ১০০-১০৫ টাকা। এর মধ্যে মেহেরপুরের পেঁয়াজ ৭০-৭৫ টাকায় বিক্রি হয়। গত রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এর নেতৃত্বে মন্ত্রীদের এক বৈঠকে নিষেধাজ্ঞা তোলার বিষয়ে সিদ্ধান্তের খবর আসার পর পেঁয়াজের বাজারে প্রভাব পড়তে শুরু হয়। এ অবস্থায় গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কমে হয় ৯৫-১০০ টাকা। দেশীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৮৫-৯৫ এবং মেহেরপুরের পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৬৫-৭০ টাকায়। 

এ বিষয়ে খাতুনগঞ্জের মোহাম্মদীয়া বাণিজ্যালয়ের মালিক হাজি মো. মিন্টু সওদাগর জানান, ভারতে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের খবর আসার পর পেঁয়াজের দাম পড়ে যায়। তবে কোনো কারণে পেঁয়াজ আসতে দেরি করলে কিংবা পাওয়া না গেলে রমজানে দাম অস্বাভাবিক বাড়তে পারে।    

ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক মহাপরিচালকের কার্যালয় গত ৭ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তবে এর আগে গত আগস্টে দেশের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারত সরকার ৪০ শতাংশ শুল্কারোপ করেছিল। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত