Ajker Patrika

মুসাফাহা মহানবী (সা.)-এর সুন্নত

ড. মোহাম্মদ ইউছুফ
আপডেট : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৮: ৩৬
মুসাফাহা মহানবী (সা.)-এর সুন্নত

কারও সঙ্গে দেখা হলে সালামের পর হাত মেলানোকে ইসলামের পরিভাষায় মুসাফাহা বলে। এটি মহানবী (সা.)-এর আদর্শ ও সুন্নত। এর মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি ও ভালোবাসা বৃদ্ধি পায় এবং মুসাফাহাকারীদের গুনাহ মাফ হয়। মহানবী (সা.) বলেন, ‘দুজন মুসলিম পরস্পর মিলিত হয়ে মুসাফাহা করলে পরস্পর বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগেই তাদের ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (আবু দাউদ)

দুই হাত মিলিয়ে মুসাফাহা করা সুন্নত। মুসাফাহা করার সময় একে অপরের জন্য দোয়া করাও সুন্নত। হুজায়ফা (রা.) থেকে বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) যখনই তাঁর কোনো সাহাবির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন, তাঁর সঙ্গে মুসাফাহা করতেন এবং তাঁর জন্য দোয়া করতেন।’ (নাসায়ি) তাই মুসাফাহার সময় ‘ইয়াগফিরুল্লাহু লানা ওয়া লাকুম’ অর্থাৎ, ‘আল্লাহ আমাদের ও আপনাদের ক্ষমা করুন’ বলে একে অপরের জন্য দোয়া করা উচিত।

কাউকে বিদায় দেওয়ার সময়ও মুসাফাহা করা সুন্নত। ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেন, ‘কাউকে বিদায় দেওয়ার সময় মহানবী (সা.) নিজের হাতে ধরতেন এবং যতক্ষণ পর্যন্ত সে নিজের হাত মহানবী (সা.) থেকে না ছাড়াতেন, ততক্ষণ পর্যন্ত তিনিও তার হাত ছাড়তেন না।’ (তিরমিজি)

মুসাফাহার সুন্নত পদ্ধতি হলো, প্রথমে সালাম দেওয়া, তারপর উভয় হাতে মুসাফাহা করা। অনেকে মনে করেন, মুসাফাহার সময় হাতে হালকা চাপ দেওয়া কিংবা হাত হালকা ঝাড়া দেওয়া সুন্নত। আবার অনেকে মনে করেন, মুসাফাহার পর হাতটি এনে বুকে লাগাতে হয়। এসবের পক্ষে কোনো নির্ভরযোগ্য দলিল পাওয়া যায় না। তাই এসব থেকে বিরত থাকা উচিত।

ড. মোহাম্মদ ইউছুফ: অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত