ইয়ারা হাওয়ারি
ইসরায়েলে হামাসের হামলার কয়েক দিন পর, অর্থাৎ ১২ অক্টোবর ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজা উপত্যকার উত্তরে বসবাসকারী ১১ লাখ ফিলিস্তিনিকে দক্ষিণে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। কেননা তারা শিগগিরই গাজার ওই এলাকায় স্থল অভিযান শুরু করবে। আর ফিলিস্তিনিদের সরে যাওয়ার জন্য ইসরায়েল ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয়। তারা প্রতিশ্রুতি দেয় যে ফিলিস্তিনিদের নিরাপদে সরে যাওয়ার সুযোগ দিতে এ সময়ে কোনো হামলা চালাবে না।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর এই নির্দেশের পর অনেক ফিলিস্তিনি হেঁটে তখনই দক্ষিণ দিকে যাত্রা শুরু করে। অনেকে আবার ট্রাকে এবং ‘ভাগ্যবানেরা’ তাদের গাড়িতে করে রওনা দেয়।
এদিকে ইসরায়েল কয়েক দিন ধরে গাজা উপত্যকার উত্তর অংশের রাস্তায়-রাস্তায় বোমা ফেলছে, যা নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার প্রচেষ্টাকে মন্থর ও কঠিন করে তুলেছে। আরও খারাপ বিষয় হলো, ইসরায়েলি সরকার তার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে এবং দক্ষিণ দিকে অগ্রসর হওয়া গাড়িগুলোকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করেছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর অস্থায়ীভাবে ‘নিরাপদ’ ঘোষণা করা জনাকীর্ণ অঞ্চলের একটি প্রধান রাস্তা, সালাহ আল-দিন রোডে ১৩ অক্টোবর ইসরায়েলি হামলায় ৭০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তারা দক্ষিণ দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছিল।
শেষ পর্যন্ত অনেকে সরে গেলেও, অনেকেই পারেনি। তাদের অনেকে চলাচল করতে অক্ষম। আবার আঘাতের কারণে অনেকে নড়াচড়া করার মতো অবস্থায় নেই। বেশ কয়েকটি হাসপাতালের ডাক্তার এবং নার্সরা তাঁদের রোগীদের ফেলে যেতে অস্বীকার করছেন।
আবার কেউ কেউ আছে, যারা স্থায়ী নির্বাসনের ভয়ে চলে যেতে চাইছে না।
১৯৪৮ সালের নাকবা বা মহাদুর্যোগের ভয়াবহ স্মৃতি ফিলিস্তিনিদের কখনো ছেড়ে যাবে না; বিশেষ করে গাজায় বসবাসকারী ফিলিস্তিনিদের মাঝে সেই ভয়ের অনুভূতি এখনো স্পষ্ট। কেননা তাদের বেশির ভাগই নাকবার ফলে বাস্তুচ্যুতদের পরিবারের সদস্য। ওই নাকবায় সাড়ে সাত লাখ ফিলিস্তিনি স্থায়ীভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছিল।
ইসরায়েলি সরকার এসব জানে। তারা এটাও জানে যে মাত্র ২৪ ঘণ্টায় গাজার মতো স্থানে ১১ লাখ ফিলিস্তিনির স্থানান্তর যৌক্তিকভাবে সম্ভব নয়। কিন্তু এই সরে যাওয়ার নির্দেশের মাধ্যমে ইসরায়েল তার আসল উদ্দেশ্য হাসিল করেছে। উচ্ছেদের আড়ালে তারা ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যা চালায়।
আসলে উচ্ছেদের এই আদেশ ইসরায়েলি সরকারের ব্যাপক নৃশংসতা, জোর করে জমি দখল এবং ১৯৪৮ সালে শুরু হওয়া নাকবা চালিয়ে যাওয়ার একটি কৌশল।
আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো স্পষ্ট করেছে যে এই উচ্ছেদ আদেশ ইসরায়েল সরকারকে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে তার দায়বদ্ধতা ও দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয় না। তারা ইসরায়েলের নেতাদের আদেশ প্রত্যাহার করার আহ্বান জানায়। তবে ইসরায়েল সরকারের পক্ষ থেকে এ সত্যটি আড়াল করার জন্য খুব একটা চেষ্টা করা হয়নি যে গাজাবাসীর জন্য এই উচ্ছেদ আদেশ তার জাতিগত নিধন প্রচেষ্টার একটি অংশ। ইসরায়েলের একাধিক মন্ত্রী ও রাজনীতিবিদ গত সপ্তাহে অমানবিক ভাষা ব্যবহার করে গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের নিশ্চিহ্ন করার আহ্বান জানিয়েছেন। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গাজার ফিলিস্তিনিদের ‘মানুষ পশু’ বলে অভিহিত করেছেন।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে গাজা ও সিনাই উপদ্বীপের মধ্যে একটি মানবিক করিডর খোলার অনুমতি দেওয়ার জন্য মিসরকে চাপ দিচ্ছে। ফিলিস্তিনিদের বোমা হামলা থেকে বাঁচতে সাহায্য করার জন্য এবং তাদের কাছে সাহায্য পৌঁছে দিতে যদিও এ ধরনের প্রচেষ্টা অপরিহার্য। কিন্তু ভয় হলো, কাউকে এখন গাজা ছেড়ে যেতে বাধ্য করা হলে তিনি স্থায়ীভাবে নির্বাসিত হতে পারেন। এটি কোনো অহেতুক ভয় নয়—এটি এমন কিছু, যা ফিলিস্তিনের ইতিহাসজুড়ে ধারাবাহিকভাবে ঘটেছে।
প্রকৃতপক্ষে ইসরায়েল সরকার ক্রমাগতভাবে শরণার্থীদের অধিকারের বিষয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক রীতিনীতি উপেক্ষা করেছে, যেসবের মধ্যে তাদের স্বদেশে ফিরে যাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করা রয়েছে। অনুমান করা হয়, ৭০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি বর্তমানে স্থায়ীভাবে নির্বাসনে রয়েছে এবং তাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যাওয়ার এবং এমনকি ঘুরতে যাওয়ার অনুমতিও দেওয়া হয়নি।
উত্তর গাজার ফিলিস্তিনিরা যখন তাদের বাড়িতে থাকার বা ঝুঁকি নিয়ে সরে যাওয়ার চেষ্টা করার অসম্ভব সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, ইসরায়েলি সরকার তখন প্রস্তুতি নিচ্ছে স্থল আক্রমণের। গাজায় ইসরায়েলি বেড়ার দিকে শত শত ইসরায়েলি ট্যাংক অবস্থান নিয়েছে, যে বেড়া দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনিদের বন্দী করে রেখেছে।
এদিকে, ইসরায়েলি রাজনীতিবিদ এবং সেনাবাহিনীর জেনারেলরা ফিলিস্তিনিদের প্রতি উন্মত্ততা প্রদর্শন করছেন। এমনকি তাঁরা সৈন্যদের মধ্যে মনোবল বাড়াতে একজন ইসরায়েলি যুদ্ধাপরাধীকে নিয়ে আসেন, যিনি কিনা ১৯৪৮ সালের দেইর ইয়াসিন গণহত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি সৈন্যদের উদ্দেশে বলেন, ‘ওদের স্মৃতি মুছে ফেলো...মুছে ফেলো তাদের, তাদের পরিবার, মা এবং সন্তানদের। এই প্রাণীগুলো আর বাঁচতে পারবে না।’
সবকিছুই আমাদের বলে দিচ্ছে যে ইসরায়েলের আক্রমণটি নির্মম হতে চলেছে। ‘হামাসের শীর্ষ রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্ব’কে নিশ্চিহ্ন করতে চাওয়ার বিষয়টি কেবলই একটি অজুহাত। এই স্থল আগ্রাসন গাজার উত্তর অংশের দখল নিতে এবং ফিলিস্তিনিদের একটি ছোট কারাগারে বা গাজার সীমানার বাইরে ঠেলে দেওয়ার সুযোগ দেবে ইসরায়েলকে। আপনি যেভাবেই দেখুন না কেন, এই পরিস্থিতিকে শুধু জাতিগত নির্মূলের প্রক্রিয়া এবং নাকবা বা মহাদুর্যোগের ধারাবাহিকতা হিসেবে বর্ণনা করা যেতে পারে, যার শুরু সেই ১৯৪৮ সালে।
ইয়ারা হাওয়ারি, সদস্য, আল-শাবাকা: দ্য প্যালেস্টাইন,পলিসি নেটওয়ার্ক
(আল জাজিরায় প্রকাশিত লেখাটি ইংরেজি থেকে অনূদিত)
ইসরায়েলে হামাসের হামলার কয়েক দিন পর, অর্থাৎ ১২ অক্টোবর ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজা উপত্যকার উত্তরে বসবাসকারী ১১ লাখ ফিলিস্তিনিকে দক্ষিণে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। কেননা তারা শিগগিরই গাজার ওই এলাকায় স্থল অভিযান শুরু করবে। আর ফিলিস্তিনিদের সরে যাওয়ার জন্য ইসরায়েল ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয়। তারা প্রতিশ্রুতি দেয় যে ফিলিস্তিনিদের নিরাপদে সরে যাওয়ার সুযোগ দিতে এ সময়ে কোনো হামলা চালাবে না।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর এই নির্দেশের পর অনেক ফিলিস্তিনি হেঁটে তখনই দক্ষিণ দিকে যাত্রা শুরু করে। অনেকে আবার ট্রাকে এবং ‘ভাগ্যবানেরা’ তাদের গাড়িতে করে রওনা দেয়।
এদিকে ইসরায়েল কয়েক দিন ধরে গাজা উপত্যকার উত্তর অংশের রাস্তায়-রাস্তায় বোমা ফেলছে, যা নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার প্রচেষ্টাকে মন্থর ও কঠিন করে তুলেছে। আরও খারাপ বিষয় হলো, ইসরায়েলি সরকার তার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে এবং দক্ষিণ দিকে অগ্রসর হওয়া গাড়িগুলোকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করেছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর অস্থায়ীভাবে ‘নিরাপদ’ ঘোষণা করা জনাকীর্ণ অঞ্চলের একটি প্রধান রাস্তা, সালাহ আল-দিন রোডে ১৩ অক্টোবর ইসরায়েলি হামলায় ৭০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তারা দক্ষিণ দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছিল।
শেষ পর্যন্ত অনেকে সরে গেলেও, অনেকেই পারেনি। তাদের অনেকে চলাচল করতে অক্ষম। আবার আঘাতের কারণে অনেকে নড়াচড়া করার মতো অবস্থায় নেই। বেশ কয়েকটি হাসপাতালের ডাক্তার এবং নার্সরা তাঁদের রোগীদের ফেলে যেতে অস্বীকার করছেন।
আবার কেউ কেউ আছে, যারা স্থায়ী নির্বাসনের ভয়ে চলে যেতে চাইছে না।
১৯৪৮ সালের নাকবা বা মহাদুর্যোগের ভয়াবহ স্মৃতি ফিলিস্তিনিদের কখনো ছেড়ে যাবে না; বিশেষ করে গাজায় বসবাসকারী ফিলিস্তিনিদের মাঝে সেই ভয়ের অনুভূতি এখনো স্পষ্ট। কেননা তাদের বেশির ভাগই নাকবার ফলে বাস্তুচ্যুতদের পরিবারের সদস্য। ওই নাকবায় সাড়ে সাত লাখ ফিলিস্তিনি স্থায়ীভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছিল।
ইসরায়েলি সরকার এসব জানে। তারা এটাও জানে যে মাত্র ২৪ ঘণ্টায় গাজার মতো স্থানে ১১ লাখ ফিলিস্তিনির স্থানান্তর যৌক্তিকভাবে সম্ভব নয়। কিন্তু এই সরে যাওয়ার নির্দেশের মাধ্যমে ইসরায়েল তার আসল উদ্দেশ্য হাসিল করেছে। উচ্ছেদের আড়ালে তারা ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যা চালায়।
আসলে উচ্ছেদের এই আদেশ ইসরায়েলি সরকারের ব্যাপক নৃশংসতা, জোর করে জমি দখল এবং ১৯৪৮ সালে শুরু হওয়া নাকবা চালিয়ে যাওয়ার একটি কৌশল।
আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো স্পষ্ট করেছে যে এই উচ্ছেদ আদেশ ইসরায়েল সরকারকে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে তার দায়বদ্ধতা ও দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয় না। তারা ইসরায়েলের নেতাদের আদেশ প্রত্যাহার করার আহ্বান জানায়। তবে ইসরায়েল সরকারের পক্ষ থেকে এ সত্যটি আড়াল করার জন্য খুব একটা চেষ্টা করা হয়নি যে গাজাবাসীর জন্য এই উচ্ছেদ আদেশ তার জাতিগত নিধন প্রচেষ্টার একটি অংশ। ইসরায়েলের একাধিক মন্ত্রী ও রাজনীতিবিদ গত সপ্তাহে অমানবিক ভাষা ব্যবহার করে গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের নিশ্চিহ্ন করার আহ্বান জানিয়েছেন। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গাজার ফিলিস্তিনিদের ‘মানুষ পশু’ বলে অভিহিত করেছেন।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে গাজা ও সিনাই উপদ্বীপের মধ্যে একটি মানবিক করিডর খোলার অনুমতি দেওয়ার জন্য মিসরকে চাপ দিচ্ছে। ফিলিস্তিনিদের বোমা হামলা থেকে বাঁচতে সাহায্য করার জন্য এবং তাদের কাছে সাহায্য পৌঁছে দিতে যদিও এ ধরনের প্রচেষ্টা অপরিহার্য। কিন্তু ভয় হলো, কাউকে এখন গাজা ছেড়ে যেতে বাধ্য করা হলে তিনি স্থায়ীভাবে নির্বাসিত হতে পারেন। এটি কোনো অহেতুক ভয় নয়—এটি এমন কিছু, যা ফিলিস্তিনের ইতিহাসজুড়ে ধারাবাহিকভাবে ঘটেছে।
প্রকৃতপক্ষে ইসরায়েল সরকার ক্রমাগতভাবে শরণার্থীদের অধিকারের বিষয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক রীতিনীতি উপেক্ষা করেছে, যেসবের মধ্যে তাদের স্বদেশে ফিরে যাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করা রয়েছে। অনুমান করা হয়, ৭০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি বর্তমানে স্থায়ীভাবে নির্বাসনে রয়েছে এবং তাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যাওয়ার এবং এমনকি ঘুরতে যাওয়ার অনুমতিও দেওয়া হয়নি।
উত্তর গাজার ফিলিস্তিনিরা যখন তাদের বাড়িতে থাকার বা ঝুঁকি নিয়ে সরে যাওয়ার চেষ্টা করার অসম্ভব সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, ইসরায়েলি সরকার তখন প্রস্তুতি নিচ্ছে স্থল আক্রমণের। গাজায় ইসরায়েলি বেড়ার দিকে শত শত ইসরায়েলি ট্যাংক অবস্থান নিয়েছে, যে বেড়া দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনিদের বন্দী করে রেখেছে।
এদিকে, ইসরায়েলি রাজনীতিবিদ এবং সেনাবাহিনীর জেনারেলরা ফিলিস্তিনিদের প্রতি উন্মত্ততা প্রদর্শন করছেন। এমনকি তাঁরা সৈন্যদের মধ্যে মনোবল বাড়াতে একজন ইসরায়েলি যুদ্ধাপরাধীকে নিয়ে আসেন, যিনি কিনা ১৯৪৮ সালের দেইর ইয়াসিন গণহত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি সৈন্যদের উদ্দেশে বলেন, ‘ওদের স্মৃতি মুছে ফেলো...মুছে ফেলো তাদের, তাদের পরিবার, মা এবং সন্তানদের। এই প্রাণীগুলো আর বাঁচতে পারবে না।’
সবকিছুই আমাদের বলে দিচ্ছে যে ইসরায়েলের আক্রমণটি নির্মম হতে চলেছে। ‘হামাসের শীর্ষ রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্ব’কে নিশ্চিহ্ন করতে চাওয়ার বিষয়টি কেবলই একটি অজুহাত। এই স্থল আগ্রাসন গাজার উত্তর অংশের দখল নিতে এবং ফিলিস্তিনিদের একটি ছোট কারাগারে বা গাজার সীমানার বাইরে ঠেলে দেওয়ার সুযোগ দেবে ইসরায়েলকে। আপনি যেভাবেই দেখুন না কেন, এই পরিস্থিতিকে শুধু জাতিগত নির্মূলের প্রক্রিয়া এবং নাকবা বা মহাদুর্যোগের ধারাবাহিকতা হিসেবে বর্ণনা করা যেতে পারে, যার শুরু সেই ১৯৪৮ সালে।
ইয়ারা হাওয়ারি, সদস্য, আল-শাবাকা: দ্য প্যালেস্টাইন,পলিসি নেটওয়ার্ক
(আল জাজিরায় প্রকাশিত লেখাটি ইংরেজি থেকে অনূদিত)
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫