Ajker Patrika

সিনেমা হল এখন শুধুই স্মৃতি

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৭: ৪৭
সিনেমা হল এখন শুধুই স্মৃতি

এক সময় সিনেমা পাগল দর্শকদের উপচে পড়া ভিড় ছিল পটুয়াখালীর সিনেমা হলগুলোতে। দর্শকের করতালিতে মুখরিত সিনেমা হলে আজ সুনসান নীরবতা। তা এখন শুধুই স্মৃতি।

সিনেমা হলের পরিবেশ, সিনেমার গুণগত মান ও প্রযুক্তির অবাধ ব্যবহারসহ নানা কারণে সংকটের মুখে পটুয়াখালীর সব কটি সিনেমা হল এখন বন্ধ। লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল করলেও নতুন করে এসব সিনেমা হলে আর কোনো সিনেমা দেখানো হয়নি।

জানা যায়, পটুয়াখালী শহরে তিনটি সিনেমা হল ছিল। এর মধ্যে পটুয়াখালী শহরের কাজীপাড়া এলাকায় তিতাস সিনেমা হল, আগে এর নাম ছিল–সৈকত সিনেমা হল। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার আগে এই হলটি চালু থাকলেও এখন তা বন্ধ রয়েছে।

শহরের কাঠপট্টি এলাকার মনপুরা সিনেমা হল, যা বেশ কয়েক বছর আগেই বন্ধ হয়ে গেছে। এর আগে এটি মুকুল সিনেমা হল নামে পরিচিত ছিল।

এ ছাড়া সদর রোডে অবস্থিত রুপালি সিনেমা হলটি বেশ কয়েক বছর আগে বন্ধ হয়ে যায়। সিনেমা হল বন্ধ হলেও শহরের অনেক এলাকার নাম এখনো হলের নামের সঙ্গে সংযুক্ত।

এদিকে শুধু জেলা শহরেই নয় জেলা শহরের বাইরের সিনেমা হলগুলোও বন্ধ হয়েছে বহু আগে। পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে পায়রা সিনেমা হল, দুমকীতে নসিব সিনেমা হল, গলাচিপার লিকি টপিজ সিনেমা হল, দশমিনার আনন্দ সিনেমা হল, কলাপাড়ার আলিম সিনেমা ও সোসাইটি সিনেমা হল, মহিপুরের সাগর সিনেমা ও নুপুর সিনেমা হল, বাউফলের আনন্দ সিনেমা হল, স্বপন সিনেমা হল, সুন্দরী সিনেমা হল ও বৈশাখী সিনেমা হল। বাউফলের বৈশাখী সিনেমা হলটি করোনার কারণে বন্ধ আছে।

তিতাস সিনেমা হলের মালিক আমির হোসেন বলেন, ‘দুই বছর ধরে সিনেমা হল বন্ধ। মানুষ আর হলে আসেন না। ইন্টারনেট আসার পরে হলের অবনতি শুরু হয়েছে। আগামী ১ তারিখ থেকে হল কিছুদিনের জন্য চালু করব। যদি লোকজন হয় তাহলে চলবে, না হলে একেবারেই বন্ধ করে দেব।’

সাংস্কৃতিক সংগঠক নাসরিন মোজাম্মেল এমা এ বিষয়ে বলেন, ‘এখনকার সিনেমার কাহিনি দর্শক টানতে পারে না। প্রযুক্তির ব্যবহারে হারিয়ে গেছে সিনেমা হল। তবে দেশের ঐতিহ্যবাহী সিনেমা হলগুলো টিকিয়ে রাখতে হলে সরকারের উদ্যোগ একান্ত প্রয়োজন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত