Ajker Patrika

সুদের সীমা তুলে দেওয়া উচিত ছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১০ জুন ২০২২, ১১: ৩৯
সুদের সীমা তুলে দেওয়া উচিত ছিল

প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যাংকের আমানত ও ঋণের বেঁধে দেওয়া সুদের হারের সীমা তুলে দিতে হতো। তা না হলে মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ব্যাংকগুলো আমানত সংগ্রহ ও ঋণ বিতরণ করতে আরও হিমশিম খাবে। কারণ গ্রাহক বাজার বিদ্যমান মূল্যস্ফীতির কথা ভেবে টাকা ব্যাংকে রাখতে চাইবেন না। কারণ তাঁরা অন্যত্র বিনিয়োগ করলে ব্যাংকের চেয়ে অধিক সুদ পাবেন।

এ ছাড়া মুদ্রানীতি ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদের হার ওঠা-নামা করার সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। আর মুক্তবাজার অর্থনীতিতে সুদের হার কেন্দ্রীয় ব্যাংক তথা সরকার কর্তৃক বেঁধে দেওয়াটা উচিত নয়। এভাবে বেঁধে দেওয়া সুদের কারণে ব্যাংকগুলো চাপে পড়বে।

বাজেটে ব্যাংকগুলো থেকে ঋণ গ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়েছে সরকার। এতে ব্যাংক সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে। ব্যাংক তো ঋণ দেয়, যেভাবে অন্যান্য ক্ষেত্রে ঋণ দেয়। এটা তো ব্যাংকের চিরাচরিত কাজ। আর সরকারকে ঋণ দিলে ব্যাংকের ওপর বাড়তি কোনো চাপ এখন পর্যন্ত পড়েনি। সামনে পড়ার আশঙ্কা দেখছি না।

দেশের প্রবাসী আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে রেমিট্যান্সে প্রণোদনা আড়াই শতাংশ অপরিবর্তিত না রেখে বাড়াতে পারলে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স সংগ্রহ বাড়ত। তা দিয়ে বাড়তি ডলারের চাহিদা মেটানো সহজ হতো এবং আমাদের রিজার্ভের সংকট কেটে যেত।

উল্লেখ্য, এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকার ব্যাংকঋণ নিতে যাচ্ছে সরকার। এই ঋণের পরিমাণ চলতি অর্থবছরের চেয়ে ২৯ হাজার ৮৮২ কোটি টাকার বেশি। চলতি অর্থবছরের বাজেটে ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য ঠিক ছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত