Ajker Patrika

‘কাঠের নয়, এটিই আমাদের পদ্মা সেতু’

দৌলতপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ জানুয়ারি ২০২২, ১৫: ০৫
‘কাঠের নয়, এটিই আমাদের পদ্মা সেতু’

একটি কাঠের সেতু বদলে দিয়েছে কয়েকটি গ্রামের মানুষের জীবনমান। মানিকগঞ্জের দৌলতপুর চকমিরপুর ইউনিয়নের কালীবাড়ি শ্মশানঘাট সংলগ্ন খালের ওপর নির্মিত হয় ২১৮ ফুট লম্বা কাঠের সেতু। সেতু হওয়ার আগে দুই পাশের মানুষের একমাত্র ভরসা ছিল নৌকা। সেতু না থাকায় স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের নিত্যদিনের ভোগান্তি ছিল সারা বছর।

জানা যায়, চকমিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের তত্ত্বাবধানে এলজিএসপির অর্থায়নে ৬ লাখ ৪০ হাজার ৭৭৬ টাকা ব্যয়ে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩৫ মিটার লম্বা কাঠের সেতুটি নির্মাণ করা হয়। খালটি প্রস্থে অনেক বড় থাকায় নৌকা দিয়ে পারাপারে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটত।

দৌলতপুর থানা থেকে মাত্র ১০০ মিটার উত্তরে কালীবাড়ি মোড়। খালের পশ্চিম পাশে চকসমেতপুর, ষাড়োটিয়াগাজীসহ আটটি গ্রামের ২০ হাজার লোক বসবাস করেন। থানা সদর থেকে ১০০ মিটার দূরত্বে মাত্র পাঁচ মিনিটের পথ। কিন্তু সেতুর পশ্চিম পাড়ের মানুষের থানা সদরে আসতে অনেক সময় লেগে যেত। কাঠের সেতু দুই পাড়ের মানুষের মধ্যে নতুন এক সেতুবন্ধন তৈরি করেছে।

সেতুর পশ্চিম পাশের বাসিন্দা কালাম বলেন, ‘আমার বাড়ি থেকে দৌলতপুর থানার দূরত্ব ১০০ মিটার। বাড়ির সামনে খালে পানি থাকার কারণে সেই দূরত্বটা অনেক বেশি মনে হতো। কৃষিপণ্য আনা-নেওয়া ছিল খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। সেতু হওয়ার কারণে কৃষিপণ্য আনা-নেওয়ায় খরচ আগের চেয়ে অনেক কমেছে।’

দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা ও ফরিদপুর সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক কামাল হোসেন বলেন, ‘আমরা সেতুর পশ্চিম পাড়ের মানুষের দুর্ভোগ দেখতে দেখতে বড় হয়েছি। সবচেয়ে বেশি কষ্ট ছিল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের।’

দৌলতপুর আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান আলী বলেন, ‘এটি কাঠের সেতু নয়, আমাদের জন্য এটিই পদ্মা সেতু। সেতু হওয়ায় পর চকসমেতপুর, ষারোটিয়াগাজী এলাকার বাসিন্দারাসহ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এখন নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারে। আগে এ জায়গা দিয়ে বাচ্চাদের স্কুলে যাতায়াতের সময় প্রায়ই দুর্ঘটনার খবর পেতাম।’

চকমিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, ‘দীর্ঘ দিন কৃষিপ্রধান এই অঞ্চলের মানুষ বঞ্চিত ছিল। এই এলাকায় উন্নয়নের কোনো ছোঁয়া লাগেনি। তবে এখন এলাকাবাসী উন্নয়নের মুখ দেখছেন।’

দৌলতপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরুল হাসান বলেন, ‘ওই এলাকার মানুষের জন্য একটি সেতু খুব দরকার ছিল। সেতু হওয়ায় তাঁরা এখন খুব সহজেই দৌলতপুর যাতায়াত করতে পারবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

এনবিআর চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে কর্মকর্তাদের অবস্থান

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত