Ajker Patrika

গ্রীষ্মে টমেটো চাষে সফলতা

আবুল আহসান টিটু, ফকিরহাট (বাগেরহাট)
আপডেট : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৬: ১৯
গ্রীষ্মে টমেটো চাষে সফলতা

বাগেরহাটের ফকিরহাটে ব্যাপক হারে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ হয়েছে। মাছের ঘেরের পাশে শেডে অল্প খরচে টমেটো চাষ করে বেশি লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। প্রথমবারের মতো এ সবজি চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন তাঁরা। কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও সহযোগিতায় গ্রীষ্মকালীন টমেটোর ফলনে এই সফলতা বলে জানান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নাছরুল মিল্লাত।

ফকিরহাট কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় এ বছর ১৫০ হেক্টর গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন। উপজেলার আটটি ইউনিয়নের ২৬৫ জন চাষি বারী হাইব্রিড টমেটো-৮ নামে উন্নত জাতের টমেটো চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন। স্বল্প খরচে মাত্র দুই মাসের মধ্যে আশানুরূপ ফলন পেয়ে উচ্ছ্বসিত চাষিরা।

উপজেলার শ্যামবাগাত এলাকার টমেটোচাষি মাহমুদুল হাসান জানান, গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করে তাঁরা বেশ লাভবান হচ্ছেন। আশপাশের কৃষকেরাও টমেটো খেতে এসে চাষের বিষয়ে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন।

একই এলাকার আরেক টমেটোচাষি জাহাঙ্গীর কবির বলেন, মাছের ঘেরের পাশে ১৫ শতক জমিতে শেড দিয়ে টমেটো চাষ করেছেন। সব মিলিয়ে ৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তিনি এক লাখ টাকার টমেটো বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।

বেতাগা ইউনিয়নের টমেটোচাষি মনোরঞ্জন ঘোষ বলেন, টমেটো চাষে মাকড়ের আক্রমণ হলে তাঁরা কীটনাশকের বদলে পরিবেশবান্ধব ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করেন। ফলে ক্রেতারা নিরাপদ সবজি হিসেবে আগ্রহ নিয়ে এই টমেটো কেনেন।

গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষের প্রসারে চাষিদের মাঠ পর্যায়ে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান নওয়াপাড়া ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিপুল পাল। তিনি বলেন, সার্বক্ষণিক তদারকির মাধ্যমে কৃষকদের প্রথম পর্যায়েই লাভবান করার জন্য চেষ্টা করছেন তাঁরা। আর এমনটা হলে টমেটোর চাষ আরও প্রসার হবে। এ কারণে এই চাষ তাঁরা নিবিড় তত্ত্বাবধানে রাখছেন।

উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা নয়ন কুমার সেন বলেন, গ্রীষ্মকালীন হলেও প্রতি হেক্টরে ৩০ থেকে ৩৫ মেট্রিকটন টমেটো উৎপাদন হয়েছে। ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে টমেটো বিক্রি করে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. নাছরুল মিল্লাত বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এসএসিপি প্রকল্পের অধীনে ফকিরহাটের সবগুলো ইউনিয়নে গ্রীষ্মকালীন বারী টমেটো-৮ চাষ করা হয়েছে।

এ উপজেলায় প্রথমবার চাষ হওয়ায় কৃষকদের প্রশিক্ষণ, লজিস্টিক সহযোগিতা ও উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে প্রকল্পটি শুরু করা হয়েছিল। ফলন আশানুরূপ হওয়ায় কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন। ভবিষ্যতে ফসলটি আরও ব্যাপকভাবে চাষের জন্য কৃষি অফিস কাজ করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত