Ajker Patrika

কাটেনি বানভাসিদের দুর্ভোগ

সিরাজগঞ্জ ও বগুড়া প্রতিনিধি
আপডেট : ২৭ জুন ২০২২, ১১: ৫২
কাটেনি বানভাসিদের দুর্ভোগ

বগুড়া ও সিরাজগঞ্জে যমুনাসহ অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানি দ্রুতগতিতে কমতে শুরু করেছে। বর্তমানে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে যমুনার পানি।

বগুড়ার মতো সিরাজগঞ্জেও বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। কিন্তু চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন পানিবন্দী অসংখ্য মানুষ। তবে বগুড়ায় আরও দুই দফা বন্যা হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় (গত শনিবার সকাল ৬টা থেকে গতকাল রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত) ৩২ সেন্টিমিটার কমে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল পানি।

গত দুই সপ্তাহের বন্যায় নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের বাড়িতে পানি ওঠে। অধিকাংশ সময় পানিতেই থাকতে হয় তাঁদের।

শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুড়ী গ্রামের সাইফুল ইসলাম বলেন, গ্রামের কাঁচা রাস্তা বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ায় চলাচলে দুর্ভোগ বেড়েছে।

বন্যায় সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর, সদর, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলার ৩৮ ইউনিয়নের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েন। এ ছাড়া ১২ হাজার ৫০০ হেক্টর জমির রোপা আমন, তিল, মরিচ, বাদাম, রোপা আমন, শাক-সবজি, বীজতলাসহ উঠতি ফসল পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়েছে। জেলার ৮৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি ওঠায় পাঠদান বন্ধ রয়েছে।

এর আগে, জুন মাসের শুরু থেকে যমুনার পানি বাড়তে থাকে। পরবর্তী সময়ে ১৭ জুন সন্ধ্যা থেকে যমুনার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে।

যমুনায় পানি বেড়ে যাওয়ায় বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলার প্রায় ৮৮ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছিল। বর্তমানে যমুনার পানি বাড়িঘর থেকে নেমে গেছে। কিন্তু বানভাসিদের দুর্ভোগ পুরোপুরি কাটতে সময় লাগবে আরও কিছুদিন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, যমুনা নদীর বিপৎসীমা ধরা হয় ১৬ দশমিক ৭০ মিটার। আর বাঙ্গালী নদীর বিপৎসীমা নির্ধারণ করা হয় ১৫ দশমিক ৮৫ মিটার।

গতকাল রোববার দুপুরে বগুড়ার পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. হুমায়ুন কবির জানান, চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের বাড়িঘর থেকে যমুনার পানি নেমে গেছে। সব মিলিয়ে তারা ৯ দিন পানিবন্দী ছিলেন। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। বাঙ্গালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

জেলায় আরও দুই দফা বন্যা হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জুলাই মাসের প্রথম দুই সপ্তাহের মধ্যে যমুনার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। পরবর্তী সময়ে আগস্ট মাসে যমুনার পানি আরেকবার বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া জানান, যমুনার পানি বিপৎসীমার নিচে নেমে গেছে। জুলাই ও আগস্ট মাসে যদি বন্যা হয়, তাহলে ওই সময় নতুন অর্থবছরের বরাদ্দ দিয়ে বন্যার্তদের সাহায্য করা হবে। জুন মাস পর্যন্ত বন্যার্তদের সহযোগিতা করার জন্য যথেষ্ট টাকা ও খাবার মজুত আছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নিজের প্রস্রাব পান করে ‘আশিকি’ অভিনেত্রী অনু আগারওয়াল বললেন, ‘আহা অমৃত’

মে. জে. ফজলুরের সেভেন সিস্টার্স দখলের মন্তব্য সমর্থন করে না সরকার: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে স্টারলিংকের প্রস্তাবিত কার্যক্রমের বিস্তারিত চায় ভারত

গায়ে কেরোসিন ঢেলে কলেজছাত্রীর আত্মহনন, পলাতক ইমাম গ্রেপ্তার

ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য বিধিনিষেধের মূল্য গুনছেন ব্যবসায়ীরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত