বিচারপতি বি এ সিদ্দিকী
একাত্তরের মার্চ মাসের সেই দিনগুলোয় পূর্ব পাকিস্তান প্রদেশটি মূলত চলছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে। এই প্রদেশের গভর্নর ছিলেন তখন সাহেবজাদা ইয়াকুব খান। তাঁর কার্যক্রমে সন্তুষ্ট ছিল না ইয়াহিয়ার সামরিক সরকার। মার্চের শুরুতেই গভর্নর ইয়াকুব খানকে অপসারিত করে জেনারেল টিক্কা খানকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হয়। টিক্কা খান হন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর।
টিক্কা খান তত দিনে পরিচিতি পেয়েছেন বেলুচিস্তানের বিদ্রোহ দমনের জন্য। বেলুচিস্তানে তিনি এতটাই নৃশংসতা চালিয়েছিলেন যে তাঁর নাম হয়ে গিয়েছিল ‘বেলুচিস্তানের কসাই’।
সেই টিক্কা খানকে গভর্নর করার পরপরই আদেশ এল এখন থেকে গভর্নর তো বটেই, সেই সঙ্গে টিক্কা খান ইস্টার্ন কমান্ডের কমান্ডার এবং সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করবেন; অর্থাৎ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান প্রদেশের মূল কর্তা বনে গেলেন টিক্কা খান।
এবার তো তাঁকে শপথ নিতে হবে। শপথবাক্য পড়ানোর কথা পূর্ব পাকিস্তান হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বি এ সিদ্দিকীর (বদরুদ্দীন আহমদ সিদ্দিকী)। মার্চের ৯ তারিখে এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হওয়ার কথা। কিন্তু প্রধান বিচারপতি বি এ সিদ্দিকী বেঁকে বসলেন। তিনি বললেন, শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে দেশ চলছে। এই হরতালে সব বন্ধ। অতএব তিনি নতুন গভর্নরের শপথবাক্য পাঠ অনুষ্ঠান পরিচালনা করতে পারবেন না।
ওই দিনই পাকিস্তানি সৈন্যরা ঘেরাও করল প্রধান বিচারপতির বাড়ি। প্রেসিডেন্টের আদেশ মেনে চলার জন্য বি এ সিদ্দিকীকে জোর করতে লাগল। তারা কথা দিল, টিক্কা খানকে শপথবাক্য পাঠ করানোর পর বি এ সিদ্দিকীকে পরিবার-পরিজনসহ নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া হবে পশ্চিম পাকিস্তানে। এখানে কেউই তাঁর কেশাগ্র স্পর্শ করতে পারবে না।
প্রধান বিচারপতি বি এ সিদ্দিকী কোনো ধরনের দোদুল্যমানতায় না ভুগে বললেন, ‘আমি এই শপথবাক্য পাঠ করাতে অপারগতা প্রকাশ করছি।’
সূত্র: পঁচিশে মার্চের আগে ও পরে: মঞ্চে নেপথ্যে, পৃষ্ঠা ২৯-৩২
একাত্তরের মার্চ মাসের সেই দিনগুলোয় পূর্ব পাকিস্তান প্রদেশটি মূলত চলছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে। এই প্রদেশের গভর্নর ছিলেন তখন সাহেবজাদা ইয়াকুব খান। তাঁর কার্যক্রমে সন্তুষ্ট ছিল না ইয়াহিয়ার সামরিক সরকার। মার্চের শুরুতেই গভর্নর ইয়াকুব খানকে অপসারিত করে জেনারেল টিক্কা খানকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হয়। টিক্কা খান হন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর।
টিক্কা খান তত দিনে পরিচিতি পেয়েছেন বেলুচিস্তানের বিদ্রোহ দমনের জন্য। বেলুচিস্তানে তিনি এতটাই নৃশংসতা চালিয়েছিলেন যে তাঁর নাম হয়ে গিয়েছিল ‘বেলুচিস্তানের কসাই’।
সেই টিক্কা খানকে গভর্নর করার পরপরই আদেশ এল এখন থেকে গভর্নর তো বটেই, সেই সঙ্গে টিক্কা খান ইস্টার্ন কমান্ডের কমান্ডার এবং সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করবেন; অর্থাৎ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান প্রদেশের মূল কর্তা বনে গেলেন টিক্কা খান।
এবার তো তাঁকে শপথ নিতে হবে। শপথবাক্য পড়ানোর কথা পূর্ব পাকিস্তান হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বি এ সিদ্দিকীর (বদরুদ্দীন আহমদ সিদ্দিকী)। মার্চের ৯ তারিখে এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হওয়ার কথা। কিন্তু প্রধান বিচারপতি বি এ সিদ্দিকী বেঁকে বসলেন। তিনি বললেন, শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে দেশ চলছে। এই হরতালে সব বন্ধ। অতএব তিনি নতুন গভর্নরের শপথবাক্য পাঠ অনুষ্ঠান পরিচালনা করতে পারবেন না।
ওই দিনই পাকিস্তানি সৈন্যরা ঘেরাও করল প্রধান বিচারপতির বাড়ি। প্রেসিডেন্টের আদেশ মেনে চলার জন্য বি এ সিদ্দিকীকে জোর করতে লাগল। তারা কথা দিল, টিক্কা খানকে শপথবাক্য পাঠ করানোর পর বি এ সিদ্দিকীকে পরিবার-পরিজনসহ নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া হবে পশ্চিম পাকিস্তানে। এখানে কেউই তাঁর কেশাগ্র স্পর্শ করতে পারবে না।
প্রধান বিচারপতি বি এ সিদ্দিকী কোনো ধরনের দোদুল্যমানতায় না ভুগে বললেন, ‘আমি এই শপথবাক্য পাঠ করাতে অপারগতা প্রকাশ করছি।’
সূত্র: পঁচিশে মার্চের আগে ও পরে: মঞ্চে নেপথ্যে, পৃষ্ঠা ২৯-৩২
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫