খায়রুল বাসার নির্ঝর
স্বাধীনতা উত্তর সময়ের প্রথম জেনারেশন আমরা। ১৯৭২-৭৩ সালে আমরা সবে স্কুলে ভর্তি হই। বাংলাদেশের জন্মের ইতিহাসের সঙ্গে আমাদের নাড়ির যোগ। বাংলাদেশ বললে বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু বললে বাংলাদেশ। একটি আরেকটির প্রতিশব্দ। পরাধীনতার সময়ের ভেতর দিয়ে এত বড় মাপের একজন নেতা তৈরি হয়ে আমাদের উজ্জীবিত করেছেন, ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন, নতুন দেশ তৈরি করেছেন। এসব অধ্যায় ইতিহাসের অংশ যেহেতু, যতটা সম্ভব জানার চেষ্টা করেছি। চিরঞ্জীব মুজিবে অভিনয়ের আগে পড়াশোনাটাই ছিল আমার সবচেয়ে বড় প্রস্তুতি।
একই সঙ্গে এটাও যোগ করতে হয়, আমি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। আমার বাবা ছাত্রলীগ করতেন। রাজশাহী বিভাগের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। পরবর্তী সময়ে স্বাধীনতাযুদ্ধ করেছেন। সে কারণে পারিবারিকভাবে ছোটবেলা থেকেই ‘বঙ্গবন্ধু’, ‘স্বাধীনতা’—এসব শব্দের সঙ্গে আমার যোগসূত্র। পরে আমিও স্কুলজীবনে ছাত্রলীগের সদস্য হই। ১৯৭৯ থেকে ’৯১ সাল পর্যন্ত কাগজে-কলমে ছাত্রলীগের সদস্য ছিলাম। ফলে বঙ্গবন্ধু আগে থেকেই আমার বিশ্বাসের জায়গায় ছিলেন। এ ধরনের প্র্যাকটিসের মধ্য দিয়েই আমি বড় হয়েছি। কখনো যে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ছবি হবে, বা সেই চরিত্রে আমি অভিনয়ের সুযোগ পাব; সেটি আমার কাছে অনেকটা স্বপ্নের মতোই ছিল।
চিরঞ্জীব মুজিব ছবির সঙ্গে আমার দেড় বছরেরও বেশি সময়ের জার্নি। ছবির শুটিং শুরু করার কথা ছিল ২০১৮ সালের শেষ দিকে। তখন নির্বাচন চলে এল। সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো, নির্বাচনের পর শুরু করা হবে। প্রথম লটের শুটিং করলাম ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে। লোকেশন-জেলখানা। পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগার ভেঙে ফেলা হবে। তাই দ্রুত শুটিংয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হলো। আমাদের ছবির গল্পে জেলখানার অংশটা বেশ বড়, প্রেক্ষাপট যেহেতু ১৯৪৭-৫২ সাল পর্যন্ত, বঙ্গবন্ধু ওই সময় বিভিন্নভাবে বিভিন্ন কারণে জেলখানায় কাটিয়েছেন। ১০ দিন আমরা কেন্দ্রীয় কারাগারে শুট করি। তারপর আবার বিরতি পড়ে।
পরের বছর জানুয়ারিতে আমরা যাই মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে। এরপর চাঁদপুর, ফেনী, পাকশি, এফডিসি—নানা লোকেশনে কাজ করেছি আমরা। ফেনীতে আসার পর করোনার কবলে পড়ে অনেক দিন কাজ বন্ধ ছিল। সব মিলে দীর্ঘ একটা সময় আমি ছবির সঙ্গে, চরিত্রটির সঙ্গে কাটিয়েছি। চেষ্টা করেছি চরিত্রটি যথাযথভাবে ফুটিযে তুলতে। অবশেষে ‘চিরঞ্জীব মুজিব’ হলে আসছে। আমি বলব, বাংলাদেশের প্রত্যেকেরই ছবিটি দেখা উচিত।
ছবির পরিচালক নজরুল ইসলামের জন্মস্থান বগুড়ায় প্রথম মুক্তি পাবে। এরপর গাজীপুর, রংপুর, দিনাজপুর, ঢাকাসহ পর্যায়ক্রমে সারা দেশের হলে যাবে চিরঞ্জীব মুজিব। ছবিটি দর্শক দারুণভাবে গ্রহণ করবেন, এটাই প্রত্যাশা।
স্বাধীনতা উত্তর সময়ের প্রথম জেনারেশন আমরা। ১৯৭২-৭৩ সালে আমরা সবে স্কুলে ভর্তি হই। বাংলাদেশের জন্মের ইতিহাসের সঙ্গে আমাদের নাড়ির যোগ। বাংলাদেশ বললে বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু বললে বাংলাদেশ। একটি আরেকটির প্রতিশব্দ। পরাধীনতার সময়ের ভেতর দিয়ে এত বড় মাপের একজন নেতা তৈরি হয়ে আমাদের উজ্জীবিত করেছেন, ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন, নতুন দেশ তৈরি করেছেন। এসব অধ্যায় ইতিহাসের অংশ যেহেতু, যতটা সম্ভব জানার চেষ্টা করেছি। চিরঞ্জীব মুজিবে অভিনয়ের আগে পড়াশোনাটাই ছিল আমার সবচেয়ে বড় প্রস্তুতি।
একই সঙ্গে এটাও যোগ করতে হয়, আমি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। আমার বাবা ছাত্রলীগ করতেন। রাজশাহী বিভাগের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। পরবর্তী সময়ে স্বাধীনতাযুদ্ধ করেছেন। সে কারণে পারিবারিকভাবে ছোটবেলা থেকেই ‘বঙ্গবন্ধু’, ‘স্বাধীনতা’—এসব শব্দের সঙ্গে আমার যোগসূত্র। পরে আমিও স্কুলজীবনে ছাত্রলীগের সদস্য হই। ১৯৭৯ থেকে ’৯১ সাল পর্যন্ত কাগজে-কলমে ছাত্রলীগের সদস্য ছিলাম। ফলে বঙ্গবন্ধু আগে থেকেই আমার বিশ্বাসের জায়গায় ছিলেন। এ ধরনের প্র্যাকটিসের মধ্য দিয়েই আমি বড় হয়েছি। কখনো যে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ছবি হবে, বা সেই চরিত্রে আমি অভিনয়ের সুযোগ পাব; সেটি আমার কাছে অনেকটা স্বপ্নের মতোই ছিল।
চিরঞ্জীব মুজিব ছবির সঙ্গে আমার দেড় বছরেরও বেশি সময়ের জার্নি। ছবির শুটিং শুরু করার কথা ছিল ২০১৮ সালের শেষ দিকে। তখন নির্বাচন চলে এল। সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো, নির্বাচনের পর শুরু করা হবে। প্রথম লটের শুটিং করলাম ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে। লোকেশন-জেলখানা। পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগার ভেঙে ফেলা হবে। তাই দ্রুত শুটিংয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হলো। আমাদের ছবির গল্পে জেলখানার অংশটা বেশ বড়, প্রেক্ষাপট যেহেতু ১৯৪৭-৫২ সাল পর্যন্ত, বঙ্গবন্ধু ওই সময় বিভিন্নভাবে বিভিন্ন কারণে জেলখানায় কাটিয়েছেন। ১০ দিন আমরা কেন্দ্রীয় কারাগারে শুট করি। তারপর আবার বিরতি পড়ে।
পরের বছর জানুয়ারিতে আমরা যাই মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে। এরপর চাঁদপুর, ফেনী, পাকশি, এফডিসি—নানা লোকেশনে কাজ করেছি আমরা। ফেনীতে আসার পর করোনার কবলে পড়ে অনেক দিন কাজ বন্ধ ছিল। সব মিলে দীর্ঘ একটা সময় আমি ছবির সঙ্গে, চরিত্রটির সঙ্গে কাটিয়েছি। চেষ্টা করেছি চরিত্রটি যথাযথভাবে ফুটিযে তুলতে। অবশেষে ‘চিরঞ্জীব মুজিব’ হলে আসছে। আমি বলব, বাংলাদেশের প্রত্যেকেরই ছবিটি দেখা উচিত।
ছবির পরিচালক নজরুল ইসলামের জন্মস্থান বগুড়ায় প্রথম মুক্তি পাবে। এরপর গাজীপুর, রংপুর, দিনাজপুর, ঢাকাসহ পর্যায়ক্রমে সারা দেশের হলে যাবে চিরঞ্জীব মুজিব। ছবিটি দর্শক দারুণভাবে গ্রহণ করবেন, এটাই প্রত্যাশা।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১৫ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫