Ajker Patrika

প্রত্যেকেরই ছবিটি দেখা উচিত

খায়রুল বাসার নির্ঝর
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২১, ১০: ৪০
প্রত্যেকেরই ছবিটি দেখা উচিত

স্বাধীনতা উত্তর সময়ের প্রথম জেনারেশন আমরা। ১৯৭২-৭৩ সালে আমরা সবে স্কুলে ভর্তি হই। বাংলাদেশের জন্মের ইতিহাসের সঙ্গে আমাদের নাড়ির যোগ। বাংলাদেশ বললে বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু বললে বাংলাদেশ। একটি আরেকটির প্রতিশব্দ। পরাধীনতার সময়ের ভেতর দিয়ে এত বড় মাপের একজন নেতা তৈরি হয়ে আমাদের উজ্জীবিত করেছেন, ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন, নতুন দেশ তৈরি করেছেন। এসব অধ্যায় ইতিহাসের অংশ যেহেতু, যতটা সম্ভব জানার চেষ্টা করেছি। চিরঞ্জীব মুজিবে অভিনয়ের আগে পড়াশোনাটাই ছিল আমার সবচেয়ে বড় প্রস্তুতি।

একই সঙ্গে এটাও যোগ করতে হয়, আমি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। আমার বাবা ছাত্রলীগ করতেন। রাজশাহী বিভাগের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। পরবর্তী সময়ে স্বাধীনতাযুদ্ধ করেছেন। সে কারণে পারিবারিকভাবে ছোটবেলা থেকেই ‘বঙ্গবন্ধু’, ‘স্বাধীনতা’—এসব শব্দের সঙ্গে আমার যোগসূত্র। পরে আমিও স্কুলজীবনে ছাত্রলীগের সদস্য হই। ১৯৭৯ থেকে ’৯১ সাল পর্যন্ত কাগজে-কলমে ছাত্রলীগের সদস্য ছিলাম। ফলে বঙ্গবন্ধু আগে থেকেই আমার বিশ্বাসের জায়গায় ছিলেন। এ ধরনের প্র্যাকটিসের মধ্য দিয়েই আমি বড় হয়েছি। কখনো যে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ছবি হবে, বা সেই চরিত্রে আমি অভিনয়ের সুযোগ পাব; সেটি আমার কাছে অনেকটা স্বপ্নের মতোই ছিল।

চিরঞ্জীব মুজিব ছবির সঙ্গে আমার দেড় বছরেরও বেশি সময়ের জার্নি। ছবির শুটিং শুরু করার কথা ছিল ২০১৮ সালের শেষ দিকে। তখন নির্বাচন চলে এল। সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো, নির্বাচনের পর শুরু করা হবে। প্রথম লটের শুটিং করলাম ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে। লোকেশন-জেলখানা। পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগার ভেঙে ফেলা হবে। তাই দ্রুত শুটিংয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হলো। আমাদের ছবির গল্পে জেলখানার অংশটা বেশ বড়, প্রেক্ষাপট যেহেতু ১৯৪৭-৫২ সাল পর্যন্ত, বঙ্গবন্ধু ওই সময় বিভিন্নভাবে বিভিন্ন কারণে জেলখানায় কাটিয়েছেন। ১০ দিন আমরা কেন্দ্রীয় কারাগারে শুট করি। তারপর আবার বিরতি পড়ে।

পরের বছর জানুয়ারিতে আমরা যাই মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে। এরপর চাঁদপুর, ফেনী, পাকশি, এফডিসি—নানা লোকেশনে কাজ করেছি আমরা। ফেনীতে আসার পর করোনার কবলে পড়ে অনেক দিন কাজ বন্ধ ছিল। সব মিলে দীর্ঘ একটা সময় আমি ছবির সঙ্গে, চরিত্রটির সঙ্গে কাটিয়েছি। চেষ্টা করেছি চরিত্রটি যথাযথভাবে ফুটিযে তুলতে। অবশেষে ‘চিরঞ্জীব মুজিব’ হলে আসছে। আমি বলব, বাংলাদেশের প্রত্যেকেরই ছবিটি দেখা উচিত।

ছবির পরিচালক নজরুল ইসলামের জন্মস্থান বগুড়ায় প্রথম মুক্তি পাবে। এরপর গাজীপুর, রংপুর, দিনাজপুর, ঢাকাসহ পর্যায়ক্রমে সারা দেশের হলে যাবে চিরঞ্জীব মুজিব। ছবিটি দর্শক দারুণভাবে গ্রহণ করবেন, এটাই প্রত্যাশা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইরানের ‘দানবীয় ক্ষেপণাস্ত্রের’ সামনে উন্মুক্ত ইসরায়েলের ‘অ্যাকিলিস হিল’

ভারতীয় বিমানবন্দরে ১১ দিন ধরে পড়ে আছে ব্রিটিশ এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান, ঘনাচ্ছে রহস্য

মা-মেয়ের ত্রিভুজ প্রেম, বিয়ে ও একটি খুন

পাকিস্তানের পরমাণু প্রকল্প ধ্বংসে ভারত-ইসরায়েলের যৌথ প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় যেভাবে

খামেনি কোথায়, কেমন আছেন—উৎকণ্ঠিত ইরানিদের প্রশ্নের বন্যা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত