মো. আতাউর রহমান, জয়পুরহাট
শ্রাবণ মাসের শেষার্ধে জমি চাষ ও ধানের চারা রোপণ নিয়ে তড়িঘড়ি করেছিলেন জয়পুরহাটের কৃষকেরা। আগে সিরিয়াল পাওয়ার জন্য ট্রাক্টর মালিক ও শ্রমিকদের অতিরিক্ত টাকা দিয়েছেন। সে সময় চারা রোপণ করেও এখনো চিন্তামুক্ত হতে পারেননি। কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির অভাবে ধানখেত ফেটে চৌচির হয়েছে।
কৃষকেরা বলছেন, এমন পরিস্থিতিতে ফসল রক্ষায় বাধ্য হয়ে তাঁরা গভীর বা অগভীর নলকূপ চালুর মাধ্যমে জমিতে সেচ দিচ্ছেন। এতে বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে। লোকসানের শঙ্কায় আছেন তাঁরা।
সদর উপজেলার করিমনগর গ্রামের কৃষক জাকের বলেন, শ্রাবণের পর দু-এক দিন আগে ছিটেফোঁটা বৃষ্টি হয়েছে। এতে কোনো উপকার হবে না। বরং জমিতে আগাছা জন্মাবে। ইতিমধ্যে জমির আগাছা পরিষ্কার করার জন্য ৩০০ টাকা বিঘা দরে অগভীর নলকূপ থেকে একবার সেচ দিয়েছেন। আবারও ৩০০ টাকা বিঘা দরে দ্বিতীয়বার সেচ দিয়ে সার দিয়েছেন। বৃষ্টি না হলে আরও অন্তত ৩ থেকে ৪ বার সেচ দিতে হবে। তাতে উৎপাদন খরচ অনেক বাড়বে।
সদর উপজেলার নলপুকরা গ্রামের কৃষক সানোয়ার হোসেন বলেন, এবার বর্ষা মৌসুম গেল বৃষ্টিহীন। তাই আমন ধান চাষে বোরো ধানের মতোই খরচ হচ্ছে।
পুরো আমন মৌসুমে ধান কাটা পর্যন্ত এক হাজার টাকা বিঘা চুক্তিতে পানি কিনেছেন। এ মৌসুমে ধান চাষ করে লাভ হবে না; লোকসান হবে বুঝতে পারছেন না।
সবজিচাষি সদর উপজেলার কোমরগ্রামের ওয়ারেছ বলেন, বৃষ্টির অভাবে শসা, করলা ও তরমুজের ভালো ফলন হচ্ছে না। কিছু কিছু গাছ কুঁকড়ে যাচ্ছে। তাই দুশ্চিন্তা হচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শফিকুল ইসলাম জানান, জেলায় চলতি রোপা আমন মৌসুমে হাইব্রিড, উফশী ও স্থানীয় জাতের ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৯ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১৭ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে, পাঁচবিবিতে ২০ হাজার ১০০ হেক্টর, কালাইয়ে ১২ হাজার ৫০ হেক্টর, ক্ষেতলাল উপজেলায় ১০ হাজার ৫০ হেক্টর এবং আক্কেলপুর উপজেলায় ১০ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
শফিকুল ইসলাম আরও জানান, সব জমিতেই ইতিমধ্যে আমন ধানের চারা লাগানো শেষ হয়েছে। তবে পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃষ্টির অভাবে কৃষকেরা এবার খরার কবলে পড়েছেন। তাঁরা সেচ দিয়ে জমির পরিচর্যা করছেন। এতে কৃষকদের বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে। তা সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত ফসলের মাঠ ভালো আছে। আশা করা হচ্ছে ফলনও শেষ পর্যন্ত ভালো হবে।
শ্রাবণ মাসের শেষার্ধে জমি চাষ ও ধানের চারা রোপণ নিয়ে তড়িঘড়ি করেছিলেন জয়পুরহাটের কৃষকেরা। আগে সিরিয়াল পাওয়ার জন্য ট্রাক্টর মালিক ও শ্রমিকদের অতিরিক্ত টাকা দিয়েছেন। সে সময় চারা রোপণ করেও এখনো চিন্তামুক্ত হতে পারেননি। কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির অভাবে ধানখেত ফেটে চৌচির হয়েছে।
কৃষকেরা বলছেন, এমন পরিস্থিতিতে ফসল রক্ষায় বাধ্য হয়ে তাঁরা গভীর বা অগভীর নলকূপ চালুর মাধ্যমে জমিতে সেচ দিচ্ছেন। এতে বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে। লোকসানের শঙ্কায় আছেন তাঁরা।
সদর উপজেলার করিমনগর গ্রামের কৃষক জাকের বলেন, শ্রাবণের পর দু-এক দিন আগে ছিটেফোঁটা বৃষ্টি হয়েছে। এতে কোনো উপকার হবে না। বরং জমিতে আগাছা জন্মাবে। ইতিমধ্যে জমির আগাছা পরিষ্কার করার জন্য ৩০০ টাকা বিঘা দরে অগভীর নলকূপ থেকে একবার সেচ দিয়েছেন। আবারও ৩০০ টাকা বিঘা দরে দ্বিতীয়বার সেচ দিয়ে সার দিয়েছেন। বৃষ্টি না হলে আরও অন্তত ৩ থেকে ৪ বার সেচ দিতে হবে। তাতে উৎপাদন খরচ অনেক বাড়বে।
সদর উপজেলার নলপুকরা গ্রামের কৃষক সানোয়ার হোসেন বলেন, এবার বর্ষা মৌসুম গেল বৃষ্টিহীন। তাই আমন ধান চাষে বোরো ধানের মতোই খরচ হচ্ছে।
পুরো আমন মৌসুমে ধান কাটা পর্যন্ত এক হাজার টাকা বিঘা চুক্তিতে পানি কিনেছেন। এ মৌসুমে ধান চাষ করে লাভ হবে না; লোকসান হবে বুঝতে পারছেন না।
সবজিচাষি সদর উপজেলার কোমরগ্রামের ওয়ারেছ বলেন, বৃষ্টির অভাবে শসা, করলা ও তরমুজের ভালো ফলন হচ্ছে না। কিছু কিছু গাছ কুঁকড়ে যাচ্ছে। তাই দুশ্চিন্তা হচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শফিকুল ইসলাম জানান, জেলায় চলতি রোপা আমন মৌসুমে হাইব্রিড, উফশী ও স্থানীয় জাতের ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৯ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১৭ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে, পাঁচবিবিতে ২০ হাজার ১০০ হেক্টর, কালাইয়ে ১২ হাজার ৫০ হেক্টর, ক্ষেতলাল উপজেলায় ১০ হাজার ৫০ হেক্টর এবং আক্কেলপুর উপজেলায় ১০ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
শফিকুল ইসলাম আরও জানান, সব জমিতেই ইতিমধ্যে আমন ধানের চারা লাগানো শেষ হয়েছে। তবে পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃষ্টির অভাবে কৃষকেরা এবার খরার কবলে পড়েছেন। তাঁরা সেচ দিয়ে জমির পরিচর্যা করছেন। এতে কৃষকদের বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে। তা সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত ফসলের মাঠ ভালো আছে। আশা করা হচ্ছে ফলনও শেষ পর্যন্ত ভালো হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪